বাচ্চাদের মধ্যে কৃমির সমস্যা যদি বারবার দেখা দেয়, তাহলে এর পেছনে কিছু সাধারণ কারণ এবং প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ…
কারণসমূহ:
- পরিচ্ছন্নতার অভাব:
বাচ্চারা হাত ধুতে অবহেলা করে, মাটি বা ময়লা মুখে দেয়, এবং অপরিষ্কার খাবার খায়। এগুলো কৃমি সংক্রমণের প্রধান কারণ।
- কৃমির পুনঃসংক্রমণ:
কৃমি ডিম মাটিতে, নখে, এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে পারে। বাচ্চারা বারবার এগুলোতে সংস্পর্শে এলে পুনঃসংক্রমণ ঘটে।
- পরিবারের অন্য সদস্যদের সংক্রমণ:
পরিবারের কোনো সদস্য কৃমিতে আক্রান্ত হলে, সেখান থেকে বাচ্চারাও সংক্রমিত হতে পারে।
- সঠিকভাবে কৃমিনাশক ব্যবহার না করা:
অনেক সময় কৃমিনাশক ওষুধ ঠিকমতো প্রয়োগ না করলে সব কৃমি মারা যায় না।
- পুষ্টিহীনতা ও দুর্বল ইমিউন সিস্টেম:
অপুষ্টির কারণে শরীর কৃমির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে না।
—
চিকিৎসা ও প্রতিকার:
১. প্রাথমিক চিকিৎসা:
কৃমিনাশক ওষুধ যেমন মেবেনডাজল বা আলবেনডাজল প্রয়োগ করতে হবে।
এক ডোজের পর ২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে, কারণ প্রথম ডোজে কৃমির ডিম নষ্ট নাও হতে পারে।
২. পরিবারের সবাইকে চিকিৎসা:
কৃমি সমস্যার ক্ষেত্রে পরিবারের সবাইকে একসঙ্গে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো উচিত।
৩. পুষ্টি নিশ্চিত করা:
বাচ্চার খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ভিটামিন এ, ও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে, যাতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৪. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা:
বাচ্চাকে প্রতিবার খাওয়ার আগে ও টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে শেখাতে হবে।
নখ ছোট রাখতে হবে।
খেলনা এবং অন্যান্য ব্যবহৃত জিনিস পরিষ্কার রাখতে হবে।
৫. পরিবেশের স্বাস্থ্যবিধি:
বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
টয়লেট ব্যবস্থার উন্নয়ন।
পানীয় জল ফুটিয়ে পান করা।
৬. স্কুলে সচেতনতা:
স্কুল বা খেলার জায়গায় কৃমির সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন।
Dr. Rezbaul hasan royal