Tag: মেডিকেল কলেজ কৌতুক

  • তিন বন্ধু “”” Welcome Back”””” মুভি দেখে..fuuny joke

    তিন বন্ধু “”” Welcome Back”””” মুভি দেখে, রাত দুটার সময় ক্যাম্পাসের চিপার গেইট দিয়ে চা খেতে যাচ্ছে আর গল্প করছে………..

    ১ম বন্ধু (উত্তম কুমার টাইপ বয়) : আল্লাহ্ কা দিয়া হুয়া মেডিকেল মেইন সবকুছ্ হ্যায়……………

    দৌলাত্ হ্যায়, সৌরাত্ হ্যায়, ইজ্জত্ হ্যায়……প্যায়সা ভি হ্যায়……..

    লেকিন, কয়ি ইজ্জতদ্বার, শারীফ, খানদানী লাড়কি নেহি মিলা পেয়ার কারনে কে লিয়ে………….

    ২য় বন্ধু (ইমরান হাশমি টাইপ বয়) : নেহি, নেহি! দোস্ত অ্যায়সে কাহো……

    “” আল্লাহ্ কা দিয়া হুয়া মেডিকেল মেইন সবকুছ্ হ্যায়……..

    আইটেম হ্যায়, কার্ড হ্যায়, টার্ম হ্যায়, প্রফ হ্যায়…… সাপ্লি ভি হ্যায়……..

    লেকিন কয়ি…….আইটেম গার্ল নেহি হে! “””

    ৩য় বন্ধু (আতেল বয়) : নেহি ইয়ার…… দোস্ত অ্যায়ছে কাহো অ্যায়ছে………

    “”আল্লাহ্ কা দিয়া হোয়া মেডিকেল মেইন সব কুছ্ হ্যায়………………

    ইজ্জত্ হ্যায়, দিল্ মে পেয়ার হ্যায়, লাড়কি হ্যায়, খান দানি ক্যাম্পাস ভি হ্যায়……..

    লেকিন কোয়ি টাইম নেহি মিলা পেয়ার কারনে কে লিয়ে।

    [শেষমেশ, বাকীদুজন মিলে আতেল বয় কে ধরে একটা করে মাইর লাগিয়ে দিলো………]

    হাহাহাহাহাহা…………….

    Rezbaul Hasan Royal

  • the Diaphragm ” funny joke

    the Diaphragm “

    মেয়েদের খবর জানি না!!!

    তবে,

    এই ডায়াফ্রাম নিয়ে দুষ্টুমি করে নাই, মেডিকেল এ এমন ছেলে খুব কম আছে।

    ………………………….

    আমাদের ব্যাচমেট দের মধ্যে দুই-তিন জন মেয়ে আছে যারা এক ধাপ বেশি বোঝে সব সময়।

    তার মধ্যে একজন, আরো বেশি বোঝে, আর মুখটাও মাশাল্লাহ্ বাংলার ব্লেড ‘বলাকা’!

    আমি সবসময় ওর থেকে একশো হাত দুরে থাকি,

    না জানি কি বোঝাতে যাবো আর সে কি বুঝে

    ফেলে!!! মিস্ ঝামেলা মেডাম।

    ………………………………

    ছেলেদের মধ্যে সবচেয়ে আতেল ছেলেটা একদিন ডায়াফ্রাম নিয়ে নাড়া-চাড়া

    করছিল। আসলে কাউকে খুঁজতেছে ডেমো দেয়ার জন্য!!

    আতেলদের পচাতে ভালোই লাগে, তাই বুদ্ধি করে মি. আতেল কে বললাম ঝামেলা ম্যাডাম ডায়াফ্রাম পড়ে

    নাই, তুই পড়াতে পারিস।

    ডাক দে!

    বলেই আমি একটু দূরে সরে গেলাম।

    তো আতেল সাহেব ঝামেলা ম্যাডাম কে

    ডাক দিলেন আর ডায়াফ্রাম টা এনাটমিকেল

    পজিশনে ধরে বললো…….

    -তুমি নাকি এটা পড়ো নাই?

    ঝামেলা ম্যাডাম তো রাগে আগুন হয়ে গেলন,আর ধারালো ব্লেড এর মতো বললেন………

    -বেয়াদ্দব ছোড়া! ঘরে তোর মা-বোন নাই????

    বলেই রাগে গজ্ গজ্ করতে ককরতে ডেমো রুম থেকে প্রস্থান করলেন।

    ………………..

    মি. আতেল হাঁ……….করে আমার দিকে ঘুরে

    তাকালেন!!!

    ………আমার কতোক্ষনে হাসতে হাসতে

    গড়াগড়ি খাচ্ছি………..হাহাহাহাহ…….

    Rezbaul Hasan Royal

  • মরুভূমির মধ্যে বসে এক্সাম দিচ্ছি যেনো! funny joke

    মরুভূমির মধ্যে বসে এক্সাম দিচ্ছি যেনো!

    লাস্ট বেন্স! পিছেও কেউ নেই পাশেও কেউ নেই!!!

    সামনে একটা বিচ্ছু মেয়ে আছে!একটা

    জিগাইলে আর একটা কয়।

    এনাটমি ফার্স্ট পেপার এক্সাম দিচ্ছি………

    Tongue এর নার্ভ সাপ্লাই আসছে।

    সামনের বিচ্ছু টারে কইলাম……..

    -Tongue টা একটু দেখা তো!

    পিছনে ঘুরে জিহ্বা দেখালো!

    -কি রে জিহ্বা দেখাস কেন্?

    -তুই তো কইলি Tongue দেখাইতে!!!!

    -অ…………. আইচ্ছা, এই বার তাইলে কিডনি দেখা!!!

    -পারুম না! টাইম নাই!

    -অ……বুঝছি!!!

    ………………………………………………………

    কিছুক্ষণ পর…….

    -আচ্ছা তুই আজ ব্রাশ করোস নাই?

    -কেন্?

    -তোর মুখ থেকে গন্ধ আসতেছে!!!!

    মুখটা আগুনের মতো লাল করে গোঁ গোঁ

    শব্দ করতেছে আর লিখতেছে……

    আর আমি, হিহিহিহিহাহাহাহুহুহু………..

    Rezbaul Hasan Royal

  • টিপিকেল রিবস্ যখন চামুচ………….funny joke

    টিপিকেল রিবস্ যখন চামুচ………….

    রুমমেট বড়ো ভাই থার্ড ইয়ার! খাঁটি বাংলার

    ঊর্বর মাটি দিয়ে তৈরি সেই রকম ভাল মানুষ!!!

    পরীক্ষা থাকলে প্রায়ই চা তৈরি করে

    খাওয়ান ভদ্রলোক!!!

    ……..তখন ফার্স্ট প্রফ চলছিলো আমার।এনাটমি ফার্স্ট পেপার এক্সামের আগের রাত!!

    রাত ১ টার দিকে, ভাইয়াকে বললাম চা তৈরি

    করেন তো বস্…….

    পানি গরম করে, আমাকে জিগ্গেস করলেন, চামুচ

    কই?(চায়ের চিনি গুলাবেন)

    -জানি না!

    ………………………………………………………….

    কিছুক্ষণ পর………চা দিলেন,

    চেয়ারে হেলান দিয়ে আয়েস করে চায়ের কাপে গভীর একটা চুমু দিলাম!

    -সেই হয়েছে! বস্……অসংখ্য ধন্যবাদ!

    চামুচ পাইলেন কই?

    ……………উনি কিছু না বলে একটা টিপিকেল

    রিবস্ দেখালেন!!!

    ব্যাপারটা বুঝতে না পেরে আবার চায়ে চুমুক

    দিলাম!!!

    আর ঠিক তখনি, ব্যাপারটা মাথার ওপর দিয়ে গেল!

    -অ, কি! মরা মানুষের হাড্ডি দিয়ে চায়ের

    চিনি গুলালেন?

    -সবগুলো দাঁত বের করে………. হাহাহাহা…….

    খা ব্যাটা ক্যালসিয়াম আছে……………

    -ওয়াক্ থুহ্!!!

    ………….বমি আসে না, কেন্……….. 😢

    Dr.Rezbaul Hasan Royal

    Like

    Comment

    Send

  • ডাক্টার মা’এর মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ে…

    ডাক্টার মা’এর মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ে…

    অনেকদিন পর বাসায় আসছে……..

    মেয়ে: আর খেতে পারছি না মা, পেটের মধ্যে পেন্ডিং দিয়েছে।

    মা: বাটিতে করে ফ্রিজে রেখে দে, পরে সাপ্লি দিবি!!!

    ……. 😛

    Rezbaul Hasan Royal

    Like

    Comment

    Send

  • বায়োকেমিস্ট্রি ভাইভা…Fuuny Viva

    বায়োকেমিস্ট্রি ভাইভা..(এক্সটার্ণাল

    বোর্ড)

    -হাইপোনেট্রেমিয়ার ক্লিনিকেল ফিচার বলো?

    -স্যার, ডেথ, কোমা!

    -গুড! মানুষ তাহলে মরার পরে কোমায় চলে যায়?

    -ওফস্ সরি, স্যার, কোমা, ডেথ!

    -আর?

    -স্যার কনফিউশন।

    -ভেরি গুড্! এবার তাহলে তোমার মতে মানুষ মরে গেলে কনফিউজড হয়ে যায়?

    -স্যার, কনফিউশন, তারপর কোমা, তারপর ডেথ!

    -তারপর?

    -স্যার, জানাজা!

    -অ্যাঁ?

    -স্যার মৃত্যুর পর তো অবশ্যই জানাজা হবে তাই না??

    -ও……….আচ্ছা, আচ্ছা! তারপর?

    -কবর

    -তারপর?

    -মুনকার-নাকির ফেরেস্তার প্রশ্ন!

    -তারপর?

    -পাস করলে শান্তি, ফেইল করলে শাস্তি!

    -কি কি শাস্তি দেয়া হবে?

    -স্যার কবর চাপা দেয়া হবে।

    -তাহলে কি হবে?

    -স্যার বোনস্-মাসল গুড়ো হয়ে যাবে!

    -গুড্, বোনস্ এর কন্টেন্ট বলো তো?

    -স্যার, ক্যালসিয়াম!

    -ভেরি গুড! ক্যালসিয়ামের অভাবে কি হয়?

    -স্যার, টিটানী হয়!

    -টিটানীর ক্লিনিকেল ফিচার বলতে পারবা?

    -স্যার, কনভালশন, কোমা, ডেথ!

    -তারপর?

    -স্যার, জানাজা!

    -ওকে, ওকে…….বাবা…… ..তুমি এবার যেতে পারো!!!

    ………. 😛

    Dr.Rezbaul Hasan Royal

  • ভাইভা বোর্ডে একজন সুশিক্ষিত, দক্ষ, জ্ঞ্যানী, বিদ্বাণ স্যারে মুখোমুখি হওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার!!!

    ভাইভা বোর্ডে একজন সুশিক্ষিত, দক্ষ, জ্ঞ্যানী, বিদ্বাণ স্যারে মুখোমুখি হওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার!!!

    প্রথম বোর্ডে ভাইভা দিলাম,

    স্যার আকাশ থেকে পড়ে বললেন, কি সব বলো? কোথায় পেয়েছ? পড়ালেখা তো কিছুই করো নাই! কি ধরবো তোমাকে????

    (স্যার বোঝাতে চাইলেন, আমি তাঁর শীট তোতা পাখির মতো মুখস্ত করিনি)

    আমার সমস্ত শরীর ঠান্ডা হয়ে গেলো! সারারাত জেগে তাহলে কি করলাম? হঠাৎ করে জীবনের মূল্য খুঁজে পেলাম না!!! একরাশ হতাশা নেমে এলো বুকে!!! সব ভূলে গেলাম!!!!

    আর মুখ খুলতে পারছি না! ইতোতোস্ত করছি!! ঘেমে যাচ্ছি, নাহ্! নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে, কেনো জীবনটা নষ্ট করছি?????

    তবুও মন খারাপ করে দ্বিতীয় বোর্ডের জন্য পড়ছি বসে বসে!!! ভাবছিলাম দ্বিতীয় বোর্ডে পরীক্ষা দিবো না!!!

    কিন্তু, একবারে হাল ছেড়ে দিবো??? এতো দূর যখন এসেছি, শেষটা দেখেই যাই!!!

    ভয়ে ভয়ে ঢুকলাম দ্বিতীয় বোর্ডে………..

    প্রথম প্রশ্নটার উত্তর দিচ্ছি আর ভাবছি আমি শেষ করা মাত্র হয়তো স্যার বলবেন!!!!

    “”এই ছেলে কোথায় পেয়েছো এসব???? যাও বেরিয়ে যাও!!!””

    নাহ্!!! তা হলো না!!!

    স্যার, সুন্দর করে হেসে দিয়ে বললেন, “”বাবা, ভয় পাচ্ছ কেনো? আমি কি বাঘ বসে আছি নাকি???? হচ্ছে তো সুন্দর হচ্ছে!!! আস্তে আস্তে সময় নিয়ে সুন্দর করে বলো!!!””

    আগের বোর্ডে যেখানে হতাশায়, লজ্জায় চোখ ভিজে উঠছিলো, এই বোর্ডে সেখানে, সাহসী, উদ্দাম, আত্নবিশ্বাসে ভারা একবুক আশা জমে উঠলো!!!!

    বিশ্বাস করুন, আমি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে স্যারকে সন্তুষ্ট করেছি!!!!!

    Dr. Rezbaul Hasan Royal…

    Like

    Comment

    Send

  • এক সাংবাদিক আর একজন ডাক্টার ট্রেইন এ জার্নি করছিলেন!………

    এক সাংবাদিক আর একজন ডাক্টার ট্রেইন এ জার্নি করছিলেন!………

    অনেক্ষণ কাচুমাচু করে সাংবাদিক চিন্তা করলো আজ ডাক্টার সাহেবের থেকে কিছু টাকা মেরে নেওয়ার একটা ফন্দি করতেই হবে!!!!

    কিছুক্ষণ চিন্তা করে একটা ফন্দি এঁটে সাংবাদিক সাহেব পাশের সিটে বসে থাকা ডাক্টার সাহেব কে বললেন…..

    “””ডাক্টার সাহেব চলুন একটা গেইম খেলি! আমি আপনাকে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবো, আপনি উত্তর দিতে না পারলে আমাকে ১০০০ টাকা দিবেন! আর আপনি একটা প্রশ্ন করবেন আমি উত্তর দিতে না পারলে আপনাকে তিনগুন বেশি মানে ৩০০০ টাকা দিবো!”””

    ডাক্টার সাহেব বললেন, আচ্ছা প্রশ্ন করেন!

    সাংবাদিক : পৃথিবীর কোথায় মাটির নীচে একটা শহর আছে?

    ডাক্টার সাহেব বললেন পারবো না! এই নেন ১০০০ টাকা!

    সাংবাদিক খুব খুশি হলো!!!

    এবার ডাক্টার সাহেবের পালা…..

    ডাক্টার সাহেব : বলেন কোন্ জিনিস তিন পায়ে পাহাড়ে ওঠে আর চার পায়ে নেমে আসে?????

    সাংবাদিক সাহেব, গুগলে সার্চ দিলেন! অফিসে ফোন দিলেন, বন্ধুদের ফোন দিলেন! কিন্তু কাজ হলো না!!!

    উত্তর দিতে না পেরে অগত্যা কথামত ৩০০০ টাকা ডাক্টার কে দিয়ে দিলেন!!!!

    কিছুক্ষণ পর………ঐ সাংবাদিক ডাক্টার সাহেব কে জিজ্ঞেস করলেন…… আচ্ছা ডাক্টার সাহেব আপনার প্রশ্নটার উত্তরটা দেন…. কি এমন প্রাণী যে তিন পায়ে পাহাড়ে উঠে আর চার পায়ে নিচে নেমে আসে????

    ডাক্টার : পারবো না! এই নেন ১০০০ টাকা!!!

    হাহাহাহা………

    সাংবাদিক সাহেবের মাথায় হাত! ডাক্টার সাহেবের পকেটে ১০০০ টাকা লাভ!!!!

    ……Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • বড় ভাই সন্ধ্যা থেকে মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী রিসিভ করতেছেন…

    বড় ভাই সন্ধ্যা থেকে মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী রিসিভ করতেছেন!! রাত ১০ টার দিকে স্যারের সাথে রোগী ফলোআপ দিলেন। এরপর আরো ৭-৮ জন রোগী রিসিভ করলেন।।

    আমি ভাইয়ার কাছে একটা টপিক্স বুঝে নিবো ভেবে বই নিয়ে গিয়েছিলাম!!! ১ টার দিকে হাই তুলতে তুলতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম!!!

    ২ টার পর রোগী আসা বন্ধ হলে, ওয়ার্ডের সব রোগী কয়েবার করে দেখে রাত ৩ টার দিকে ভাইয়া, সন্তষ্ট চিত্তে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লেন। আলহামদুল্লিহ্! সবাই ভালো আছে, একটু জিরিয়ে নেয়া যাক্ এবার!!!!

    চোখদুটো কেবল লেগে এসেছে! হঠাৎ চারিদিকে হৈহুল্লোড় পড়ে গেছে!! দরজায় খট্ খট্ শব্দে ভাইয়া লাফ দিয়ে উঠলেন!!

    প্রচন্ড ভয়ে আমার বুক ধড়ফর করে উঠলো!! ঘুম থেকে উঠে চোখ ডলছিলাম!!!

    ধনীর দুলালী রাত তিটার সময় বয়ফ্রেন্ডের সাথে ফোনে কথা কাটাকাটি করে তির-চারটা সিডাটিভ খেয়ে ফেলেছেন। বাসায় তোলপাড়!! সাথে সাথে হসপিটাল নিয়ে আসছে! সাথে এ্যাটেন্ডেন্ট ১৫-২০ জন!

    মেডিসিন ওয়ার্ড মাথায় তুলেছে!!!

    ভাইয়া, খুব দ্রুত বেসিনে গিয়ে চোখে মুখে পানি দিলেন! সামনের আয়নাটায় চোখ দুটো দেখলেন! লাল হয়ে গেছে! গত ৮ ঘন্টা ধরে টানা ডিউটি করছেন!

    সকাল ১০ টায় ডিউটি শেষ! এখনও প্রায় ৭ ঘন্টা বাকী! এক নাগারে ১৫ ঘন্টা ডিউটি!

    ইন্টার্ণ অবস্থায় এটা প্রায় কমন একটা ব্যাপার!! দুচোখ বেয়ে নিজের অজান্তেই দুফোটা পানি টপ্ টপ্ করে বেসিনে কলের পানির সাথে মিশে গেলো!! কেউ দেখলো না, সেই দুফোটা পানি তে কি পরিমাণ দুঃখ ছিলো!!!

    স্টেথোস্কোপ আর স্ফিগমোম্যনোমিটার গলায় ঝুলিয়ে বের হলেন!!!! রোগীকে জিজ্ঞেস করলেন :- “””কি হয়েছে আপনার???”””

    ধনীর দুলালী, হাত দিয়ে মাথার চুল ঠিক করতে করতে বললেন “”ভাইয়া, আমার কেমন যেনো ডিজি ডিজি ফিল হচ্ছে!”””কন্ঠে তার ন্যাকামির প্রকাশ!!!

    আমার কান-মাথা গরম হয়ে গেলো!!! অন্যদিকে ভাইয়ার অমায়িক হাসি!!!

    রোগী সম্পুর্ণ স্বাভাবিক! তিন-চার টা সিডাটিভ এ কেউ মরে না!!!

    কিন্তু এই ডাক্টার নামক রোবট গুলোর একটানা ১২-১৮ ঘন্টা ডিউটি, তাদের স্মরণ করে দেয় বিভীষিকাময় নরক যন্ত্রনার কথা!!! সেটা কেউ বুঝে না………

    হয়তো এমন কতোগুলো রাত আমাকেও পার করতে হবে…..

    তবে……

    ছাত্র অবস্থায় আমি ভাইয়ার এমন একটি বিভীষিকাময়

    রাতের চাক্ষুষ স্বাক্ষী হয়ে থাকলাম!!

    বেঁচে থাক এই মানুষগুলো মানুষের জন্য……যারা বিলিয়ে দিয়েছে তাদের শখ্, আহ্ল্লাদ, হাসি-খুশি আর সুখ……………..

    ……..Dr. Rezbaul Hasan Royal

    Like

    Comment

    Send

  • আক্কাস পর পর তিনবার এস.এস.সি তে ফেইল করে…

    আক্কাস পর পর তিনবার এস.এস.সি তে ফেইল করে…অনেক ভেবেচিন্তে সীদ্ধান্ত নিলো….ডিসটেন্স থেকে পরিক্ষা দিবে।

    চাপায় প্রচুর জোর থাকায়, ঘরে বসেই কোন মতে এইচ.এস.সি পাশ করলো!! কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ালো তার বয়স!! চাকরীর বয়স প্রায় শেষ! কি করা যায়?

    অনেক খুঁজে পত্রিকায় একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে সে আবেগে আল্পুত হয়ে গেলো…….

    “”””””দেশের স্বনামধন্য একটি দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিক চাই”””””

    যোগ্যতা: বয়সের কোন বালাই নাই! চাপায় প্রচুর জোর লাগবে! অসম্ভব কে প্রায় সম্ভব করে দেখাতে পারার অলৌকিক ক্ষমতা থাকা বাঞ্চনীয়!!!!

    সব ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল থাকায়, আক্কাস ভাইভা দেয়ার যোগ্যতা লাভ করলো……..

    ভাইভা বোর্ড……..বাঘা বাঘা কিছু চাপাবাজ সাংবাদিক বসে আছেন……..

    আক্কাস: মে আই কাম ইন স্যার…..?

    -> ইয়েস! কাম ইন!

    -> থ্যাংকুু স্যার…….

    -> আক্কাস, সাহেব! আপনার বায়োডাটা দেখে আমরা খুব খুশি হয়েছি!!! আমরা আসলে আপনার মতোই একজনকে খুঁজতেছি!!!

    -> থ্যাংকুু, স্যার……..

    -> তবে, আজ আমরা আপনাকে একটা টাস্ক দিবো, যেটা আপনাকে সম্ভব করে দেখাতে হবে…….

    -> বলুন স্যার……!

    -> মেয়ে মানুষের সাহায্য ছাড়া, শুধুমাত্র একজন পুরুষ মানুষ সন্তান জন্ম দিতে সক্ষম?? যুক্তিসহ ব্যাখ্যা দেন।

    আক্কাস একটু চিন্তা করে……..

    -> স্যার, অবশ্যই সক্ষম!!!

    -> কিভাবে????

    -> স্যার, আমরা জানি! মানুষ ডিপ্লয়েড! অর্থাৎ একজন পুরুষ মানুষের শরীরে XY ক্রোমোসোম আছে!!! আবার শুক্রাণুর মধ্যে শুধু X নয়তো Y থাকে…….আর ডিম্বাণুর মধ্যে শুধু X থাকে….. পুরুষের থেকে X আর মহিলা থেকে X নিয়ে মেয়ে সন্তান হয়, আর পুরুষ থেকে Y আসলে এবং মহিলা থেকে X নিয়ে ছেলে সন্তান হয়!!!!

    পুরুষের শরীরে XY দুটোই তো আছে!!! মহিলার কোন দরকারই নাই……

    এখন, একজন পুরুষের শরীর থেকে দুইবার শুক্রাণু নিবো!!! পরীক্ষা করে X ও Y কে আলাদা করে একটা টেস্টটিউব এ নিয়ে প্যান্টের পকেটে রেখে দিবো!!!

    দশমাস দশদিন পর বাচ্চা বের হবে………

    ভাইভা বোর্ডের সবাই, আবেগে আল্পুত হয়ে, হাত তালি দিতে দিতে উঠে দাঁড়ালো……….

    “”ভেরি গুড্ আক্কাস, ভেরি গুড বয়””

    আক্কাস: স্যার, আমি তো আরো চিন্তা করে রেখেছি, ঐ টেস্টটিউব বেবিটাকে আমি দেশের সেরা সাংবাদিক বানিয়ে ছাড়বো……….

    …………….আক্কাসের, এই ঐতিহাসিক বুদ্ধি সাংবাদিক সমাজকে হতোবুদ্ধ করেছে!!! সাংবাদিক সমাজ তাকে ডাক্টার উপাধি দিয়েছে, একিসাথে সাইন্টিস্ট ও বলে….

    আক্কাস, এখন………

    স্বাস্থ্য কলাম লেখে, সাইন্স ফিকশান লেখে, ফরেন্সিক রিপোর্ট লিখে খুন, ধর্ষন, ইভটিজিং এর কারণ অনুসন্ধান করে ক্রাইম রিপোর্ট তৈরি করে…………

    লাস্ট খবর পেলাম, সে ইন্ডিয়া থেকে চর্ম ও যৌন বিষয়ে বিশেষ অজ্ঞ হয়ে এসেছে………..

    ……..Dr. Rezbaul Hasan Royal

    Like

    Comment

    Send

Verified by MonsterInsights