3rd
টার্ম পরীক্ষা দিচ্ছিলাম।
……..যেগুলো পারি লেখা শেষ! বাকী উত্তর
গুলো চাঁদা তুলতে হবে!
এদিক ওদিক তাকালাম। কোট টাই পড়া অতি মিষ্টি দুজন ভদ্রলোক ডিউটি দিচ্ছেন।
হঠাত্ করে দুজন
সিনিয়র টিচার অবশর নেওয়ায় নতুন এই স্যার দুজন
কে উপজেলা স্বাস্থকমপ্লেক্স থেকে কলেজে আনা হয়েছে! আমরা স্যাদের ক্লাস পাইনি।
সেই রকম ভলো মানুষের মতো বুকের ওপর হাত
বেঁধে হাঁটছেন দুজনেই।
ভালোই! এই সুযোগে সবাই চাঁদা তোলা শুরু করে দিছে!
আমিও পাশের জনের কাছে থেকে কানেক্টিভ টিস্যুর ক্লাসিফিকেশনটা দেখে লিখলাম।
এক স্যার পাশে দাঁড়িয়ে দেখতেছেন, কিছুই
বল্লেন না! লেখা শেষ করে ঘুরে দেখি স্যার
দাড়িয়ে আছেন।
শুকনো ঠোঁট দুটো জিহ্বা দিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে একটা অমায়িক হাসি উপহার দিলাম!
স্যার ও একটা হাসি দিয়ে বললেন, এই প্রশ্নটা
কিন্তু আমি তোমাকে ভাইভায় ধরবো।
– অবশ্যই স্যার! নো প্রবলেম!
স্যার পুনরায় একটা হাসি দিয়ে প্রস্থান করিলেন।
দুইদিন পর ভাইভা!!!
ভুলেই গেছিলাম কানেক্টিভ টিস্যুর ব্যাপারটা। আর নিশ্চিত ছিলাম যে স্যার এত্তোগুলো এক্সাম নিতে গিয়ে আমার ব্যাপারটা ভুলেই যাবেন!!
Viscera Board এ দেখালাম ঐ স্যার বসে আছেন।
-মে আই কাম ইন স্যার?
-ইয়েস কাম ইন।
-আস্সালামুআলাইকুম!
-ওয়ালাইকুমআস্সালাম!
Tongue। নাও………….
-This is the viscera of tongue with…….
-কানেক্টিভ টিস্যুর ক্লাসিফিকেশন বলো!
হা করে চেয়ে রইলাম! এটা কি হলো……?
জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে অমায়িক
একটা হাসি দিলাম! স্যার তো সেই খুশি মুচকি
মুচকি হাসতেছেন।
-ওয়াও স্যার, সুবাহানআল্লাহ! আপনার
স্মৃতিশক্তি এতো ভালো……….মাশাল্লাহ্! কাজে দিলো ডোজ টা! স্যার সেই খুশি! শুরু করে দিলেন কলেজ জীবনের গল্প! স্যারের বন্ধুরা নাকি তাঁকে, চলন্ত লাইব্রেরি বলতেন!!!
ব্লাব্লাব্লাব্লা…………..শুনলাম আর হজম করলাম!
কিছুক্ষণ পর……..
-স্যার আরো অনেকেই বাঁকী আছে!!
-ওহ্! হ্যা…….তোমার রোল কতো? পারো তো! নাকি?
-অফকোর্স স্যার! হোয়াই নট্?
……………………
এর পর আর স্যারের সাথে এক সপ্তাহ্ দেখা হয়নি!
একদিন, ডিসেকশান রুমে স্যারের সাথে দেখা
হলো…………………
-আস্সালামুআলাইকুম স্যার! স্যার, কেমন আছেন?
-ওয়ালাইকুমআস্সালাম! ভাল! তুমি কোন ব্যাচ?
আমি হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছি! স্যার কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে ঘড়ি দেখতে দেখতে চলে গেলেন………………..
…………………
Rezbaul Hasan Royal