বাংলা সিনেমার মেডিকেলিও ভার্সন……..
মেডিকেল এ চান্স পাওয়ার পর………নায়ক…
মা, মা! আমি মেডিকেল এ চান্স পেয়েছি…….
(…..ডিরেক্টর এই তোরা কে কোথায় আছিস? মায়ের চোখে দুই মণ গ্লিসারিন দে……)
মা ঃ ( টপ্ টপ্ করে চোখের পানি ফেলে……ছেলেকে জড়িয়ে ধরে.)….খোকা, খোকারে…..আজ যদি তোর বাবা বেঁচে থাকতো…….(এবার বাবার ছবির দিকে তাকিয়ে)…. ওগো শুনছো…..তোমার ছেলে মেডিকেল এ চান্স পেয়েছে। ডাক্তার হবে ডাক্তার। তোমার স্বপ্ন পূরণ হবে। আমি কোনো ত্রুটি করিনি ওকে মানুষ করতে……
কিছুদিন ক্লাস করে….আইটেম এ বার বার পেন্ডিং খেয়ে……বসে আছে নায়ক…
বন্ধু এসে বলছে…..চল্ যাই গা?
নায়কঃ কোথায়?
বন্ধুঃ কেন্ ভুইল্যা গেছোস….ডেমো খাইতে। আইটেম এ পাস্ করবি না? নাকি বইয়া বইয়া ক্লিয়ার হইবো?
………নায়ক….ভিসেরা ডেমো রুমে…ডায়াফ্রাম এনাটমিকেল পজিশনে ধরে পিছনে ঘুরতেই ক্লাসের দুই লাইন বেশি বোঝা মেয়েটা বলে উঠলো…..
“”” তোর ঘরে মা বোন নাই! বেয়াদ্দব ছোড়া”
……..এরপর সময় গড়িয়ে যায়……..সাপ্লির যাতাকলে পড়ে নায়ক মাইকেল বনে যায়…..
একদিন তার প্রিয়া নামক একটি মেয়েকে ভালো লাগে….প্রোপোজ করার পর….
প্রিয়াঃ ছোটলোক, সাপ্লিখোর তুই কি করে ভাবলি আমি তোকে ভালোবাসবো?
মাইকেল সিগারেট ধরিয়ে বলে, “কি হবে এ জীবন রেখে” তারপর তাকে একটা অ্যাম্বুলেন্স ধ্বাক্কা দেয়…..
জুনিয়র রা ছুটে যায় প্রিয়ার কাছে…..
“প্রিয়া আপু, জলদি চলেন মাইকেল ভাই এক্সিডেন্ট করেছে। জ্ঞান ফেরার পর থেকে প্রিয়া প্রিয়া বলে ডাকতাছে…..”
বায়োকেমিস্ট্রি রি রি সাপ্লি পরীক্ষার আগে মাইকেল কে সিনিয়র মাইকেল ডেমো দিয়ে বলে…যা এই প্রফেসর তোর ভাই এর জীবন নষ্ট করেছে আজ তার প্রতিশোধ নে……..
এভাবে সময় গড়িয়ে যেতে থাকে…..মাইকেল মধ্যবয়সে এসে এমবিবিএস পাস করে…..এবং মা কে ফোন দেয়…….
মা মা, আমি পাস করেছি। আমাদের আর কোনো কষ্ট থাকবে না। আমি এখন চাকরি করবো……
এই শুনে, মা বলে আজ যদি তোর বাবা বেঁচে থাকতো….. আহ্ আ্ হার্ট অ্যাটাক…..
মাইকেলের মন খারাপ….।
সার্জারী ওটিতে……ওটি বয় বলছে….. স্যার এবসেস টা একটু ড্রেইন করে দেন….
মাইকেল ঃ আমি ছুচো মেরে হাত গন্ধ করবো না, গলব্লাডারে পাথর হলে বলিস…….
…………….এবার আপনাদের পালা। উপরের গল্পে কোন চরিত্রে বাংলা সিনেমার কাকে দেখতে চান…..?
Rezbaul Hasan Royal