করোনা আবার বাড়ছে। নতুন রূপে,নতুন ভাবে..
NB.1.8.1 (এন বি ১.৮.১)
World Health Organisation একে “Variant Under Monitoring” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এটি Omicron‑এর JN.1‑লাইনেজের একটা সাব-ভ্যারিয়েন্ট ।
২০২৫ সালের জানুয়ারীতেই এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম সনাক্ত করা হয়..এখন, চীন, হংকং, তাইওয়ান, ইউরোপ, আমেরিকা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে।
প্রাথমিকভাবে Omicron‑এর মত — গলা ব্যথা, কাশি, হালকা জ্বর, ক্লান্তি,শরীর ব্যাথা, স্বাদহীনতা, লস অব স্মেল…সহ মাঝে মাঝে পেটের সমস্যা….যেমন..বমি বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দা, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে।
এটি মানুষের কোষে “বেশি সহজে সংযুক্ত হতে পারে”, অর্থাৎ transmissibility বেশি; কিন্তু গুরুতর অসুস্থতার প্রমাণ তেমন নেই।
World health Organisation(WHO) and Centers for Disease Control and Prevention (CDC) এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন—টিকা (বুস্টার), মাস্ক, ভালো হাইজিন ও বয়স, ঝুঁকিপ্রাপ্তদের (Co-morbidity and Risk factors such as…. Diabetes Mellitus, Asthma, COPD, HTN, Obesity, Kidney or Liver Transplantation) জন্য বাড়তি সতর্কতা খুবই জরুরি।

অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট গুলো হলো….
LF.7, XEC… যার সংক্রমণ বাড়াচ্ছে এবং JN.1‑এর মতো সাইন সিম্পটম দেখা দিচ্ছে….
HKU5‑CoV‑2 এটি মূলত একটি MERS ভাইরাস, মানুষের সংক্রমণ এখনও হয়নি, তবে গবেষকরা এটিকে “potentially pandemic threat” হিসেবে বিবেচনা করছেন।
** বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি…..
ভারতে NB.1.8.1 ও LF.7 শনাক্ত হয়েছে। কিছু রাজ্যে সংক্রমণ বেড়েছে ।চীন, হংকং, তাইওয়ান ও থাইল্যান্ডে রুগীর সংখ্যা এবং হসপিটাল এডমিশন সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে…..।
ভারতে সাম্প্রতিক কেস ও মৃত্যু এনবিসি, লোকাল মিডিয়া সংক্রান্ত তথ্য থেকে জানা গেছে ভারতে প্রতিদিন… ৪০০–৬০০…..মৃত্যুর খবর…..

*** করণীয়……
১। মাস্ক ব্যবহার করুন – বিশেষ করে ভিড় বা ঘন বসতি স্থানে…
২। হাত পরিষ্কার রাখুন – সাবান বা স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন।
৩। লক্ষণ দেখুন – গলা ব্যথা, হালকা জ্বর, ক্লান্তি ইত্যাদি থাকলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।
৪। পরীক্ষা করান – RT‑PCR বা দ্রুত অ্যানটিজেন টেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।
৫। আবদ্ধ থাকলে নিজেকে আলাদা রাখুন (Isolation) – অন্যদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে।
Dr. Rezbaul Hasan royal