Tag: ডাক্তার কৌতুক

  • মেডিকেল জোক্স


    এক বন্ধু ফোন দিয়েছে….
    ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করার পর সমস্যার কথা বললো…..
    তার, বাবার এমন সিচুয়েশন যে হসপিটালাইজেশন অতিবো জরুরি হয়েছে। ১০ টা মিনিট ও লেট করা ঠিক হবে না।


    সে, ঐ ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলে কিনা, বাসায় কি করা যাবে, সেটা বল্? বাবার বয়স হয়েছে, এদিকে আবার করোনা মহামারী চলছে, সব মিলে…..বুঝতেই পারতেছিস।


    এইতো গেলো মেজাজটা খারাপ হয়ে। ওর বাবা স্ট্রোক (হিস্ট্রি তে পরিষ্কার মনে হচ্ছে) করেছে,


    এখন, স্যালাইন দিতে হবে, নাকে নল্ দিয়ে খাওয়াতে হবে, প্রস্রাবের রাস্তায় নল্ দিতে হবে…..আরো অনেক কিছু। এগুলো বাসায় সম্ভব????


    সিটি-স্ক্যান করাতে হবে। শুনেই….সে ফাউল একটা কথা বলে উঠলো….এই টেস্ট সেই টেস্ট…..হাতে টাকা পয়সা নেই…..


    তোর মতো কুলাঙ্গার কে জন্ম দিয়ে আঙ্কেল যে ভুল করেছেন তার পরিণাম তো তাকে ভোগাতেই হবে…….


    সম্পর্ক নষ্ট হবে জন্য কিছুই বললাম না। শুনেছি সে নাকি বিয়ে করেছে……জানিনা, সেও সামনে তারমতোই কুলাঙ্গার জন্ম দিবে কিনা…..

    (কর্মের ফলটা তো তাকে পেতেই হবে একসময়)


    তাই জিজ্ঞেস করলাম……


    -> আচ্ছা তুই কোনো গাধাকে বিয়ে করলি না কেনো?

    আরে কিসব বলিস? মানুষ হয়ে গাধাকে বিয়ে করবো নাকি?


    এক্সাক্টলি, এই চিন্তাটা তোর বউ করলো না কেনো?


    Dr.Royal

  • রোগী ও ডাক্তার বাবু…

    ইটালিতে বৃষ্টির দিনে, ৯০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে, করোনা মহামারী তে মাস্ক না পরে পিছনে একটা লম্বা রড বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
    সাথে সাথে তাকে পুলিশ ধরে ফেললো।
    -> আপনি মাস্ক পরেন নাই কেনো?
    বৃদ্ধ……
    -> দেখুন স্যার….আমার Diabetes গত ৩৫ বছর ধরে, High pressure গত ২৭ বছর ধরে, CKD (chronic kidney disease) গত ২৫/২৬ বছর ধরে। এদিকে লিভার ক্যান্সার ধরা পড়েছে ৭ বছর হলো….সব মিলে জীবনে বেঁচে থাকার ইচ্ছে টা মরে গেছে।
    -> সে না হয় বুঝলাম, কিন্তু পিছনে রড বেঁধে এই কাক ভেজা বৃষ্টিতে ঘুরতেছেন কেনো?
    -> এতোকিছু তে যেহেতু মরিনি, আমার ধারণা আমি বজ্রপাতে মরবো। আর সেটাতেও যেনো মিস না হয় তাই রড বেঁধে নিয়েছি………. 😛

    Dr.Royal

  • মেডিকেল জোক্স

    প্রত্যেক বছর আমাদের মেডিকেল এ কিছু বিদেশী স্টুডেন্টস আসে! আমাদের সাথেও ৭ জন আছে! তার মধ্যে দুজন ছেলে। একজন পাকিস্তানি আর একজন নেপালি!
    শুরুর দিকে বিদেশী স্টুডেন্টস গুলো বাংলা বুঝতোও না, বলতেও পারতো না!!! তখন ওদের ইচ্ছা মত বাংলায় গালি দেয়া যেত! কিছুই বুঝতো না! খালি হাঁ করে থাকতো!!!
    একদিন, ফিজিওলজি ক্লাস এ পাকিস্তানি ছেলেটা আমার পাশে বসলো!!! উল্টাপাশ থেকে বেঞ্চ এ বসতে গিয়ে আমার গায়ে ধাক্কা লাগলো!

    • ওহ্! সরি! 😘
      আমি =
      [একটু বিরক্ত হয়ে ওর দিকে ঘুরে] বলদ!
      সে কিছু না বুঝে…….
      -‘বলদ’ means?
      মনে মনে ভাবলাম, পাইছি একটা মুরগী! 😛 মজা করা যাক্ তাইলে!!!! 😉
      = ওহ্! ইউ ডোন্ট নো বাংলা?
      -নোহ। 😢
      = অ…কে… “বলদ” means………ওহ্ ইয়াদ আয়া…….”বলদ” means “Best friend “…… 😃
      সে তো খুব খুশি!!! 😃
      সে একটা বাংলা শব্দ শিখেছে! সেইরাম খুশি হয়ে ব্যাগ থেকে আমাকে একটা চকোলেট বের করে দিল!!!
      আমি চকোলেট খাচ্ছি আর ফোন টিপাটিপি করছি!!!
      কিছুক্ষণ পর, সে বললো,
      -এহ্ বলদ এক পেন্সিল দে না!
      = কেয়া কাহা? 😮
    • বলদ এক পেন্সিল দে না?
      আমি তো আকাশ থেকে পড়লাম!!! 😮
      আমার গর্তে শেষপর্যন্ত আমিই…….. 😑
      = দেখ্, ভাই, মুঝে বলদ মাত্ বোলাও!
    • কিউ? তুনে তো বোলা ‘বলদ’ means best friend?
      = কিউ কি মে তেরি বেস্ট ফ্রেন্ড নেহি হু!
      -ওকে, হাত্ মিলাও!
      = কিউ? 😑
    • আজছে, হাম্ বলদ হো! 😘
      = আব্বে তেরি তো! দেখ্, ভাই মেরে পাস্ দো দো চকোলেটস্ হেয়, আব সব্ তেরি, লেকিন মুঝে ‘বলদ’ মাত্ বোলাও!!!
    • মে সামঝা নেহি! মে তেরি বলদ হুন্ তো তুম্ কিউ নেহি?
      = ওত্ তেরি দাদি কি আখঁ, ভাগ্ এহাসে!
      সেদিন আর কোন কথা হলা না! ………………..­
      ………………..­
      ………………..­
      …………… ………………..­..
      দুই দিন পর……..
      আমি নিশ্চিত সে এর মধ্যে কিছু বাংলা শিখেছে। at least বলদ মানে তো অবশ্যই!!! 😛
      তো দুইদিন পর আবার ক্লাস এ দেখা হলো…….
      = কেয়সে হো ভাই, কুছ্ বাংলা শিখেগা? 🙂
      -নেহি, নেহি………..তু এক নাম্বার কা কামিনা হো………………­…… 😘
      হাহাহাহাহাহাহা……­…………… 😉
    • Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • মেডিকেল জোক্স

    একটা স্বপ্ন মানুষকে কতোটা খুশি করতে পারে! আর কতোটা ব্যথিত করতে পারে?
    আজ বুঝতে পারলাম……..
    তেমনকিছু না। এটা জাস্ট একটা স্বপ্ন ছিলো। রাতে দেরিতে ঘুমানোর কারনে সকাল ৮ টার দিকেও গভীর ঘুমে ছিলাম।
    স্বপ্নে দেখলাম, এক বন্ধু এসে ডাকছে…..ঘুম জড়ানো চোখে উঠলাম।
    -> কি হয়েছে বল্?
    -> দোস্ত একটা সুখবর আছে?
    -> কার আমার না তোর?
    -> পৃথিবীর সবার জন্য সুখবর……….
    শুনেই চিৎকার করে উঠলাম….করোনার ভ্যাক্সিন তাহলে বের হয়েছে…আলহামদুলিল্লাহ…. আমি এবার বাড়ি যাবো………………..
    বন্ধুর হাসিটা মিলিয়ে গেলো, আমার ঘুম ভঙ্গে গেলো…….
    টেবিল ফ্যানটি ঘুরছে, সিলিং ফ্যানটা ঠাঁয় দাড়িয়ে আছে…কালকে রাতে বন্ধ করে শুয়েছিলাম।
    আকাশটা পরিষ্কার, গতকাল রাতে ঝড় হয়েছে, জানালা দিয়ে সূর্যের আলো এসে ঘরটা ভরিয়ে দিয়েছে….
    বাস্তবতায় ফিরে, মনটা আবার ডুবে গেলো অন্ধকারের কালো ধোঁয়ায়………… 😢

    Dr. Royal

  • Medical jokes

    এক সাংবাদিক খুব অসুস্থ হলে, চিন্তা করল নিজেই নিজের চিকিৎসা করবে।
    তাই তিনি, বই কিনে পড়া শুরু করলেন।
    অনেক পড়াশুনা করে নিজের জন্য নিজেই একটা প্রেসক্রিপশন তৈরি করে ফার্মেসীতে গেলো ওষুধ কিনতে।
    ফার্মেসীর কর্মচারী অনেক্ষণ ধরে প্রেসক্রিপশনটা দেখলেন।
    তারপর……করুন কন্ঠে বললেন….
    “” স্যার আপনার কুকুরটা কি খুব বেশি অসুস্থ? অদূরেই একটা পশু হাসপাতাল আছে…….একবার দেখাতে পারেন।””
    ………. 😛

  • রোগী ও ডাক্তার বাবু…

    রোগীকে ড্রেসিং এর জিনিসপত্র আনতে দিবো….
    বললাম…কি কি আছে দেখি? যেগুলো নাই সেগুলো আনতে হবে….
    রোগী বললোঃ স্যার….মুজা আছে….
    -> মুজা মানে?
    -> স্যার হাত মুজা একটা আছে……
    আমি পাক্কা ৬০ সেকেন্ড হা করে তাকিয়ে থেকে বুঝতে পারলাম……পরে আস্তে করে স্লিপ প্যাডে…লেখা…
    ……Golves 7″ “… (1). একটানে কেটে দিলাম……. 😛

  • রোগী ও ডাক্তার বাবু…

    Outdoor এ patients এর variety দেখতে দেখতে ডাক্তারদের patience ধরে রাখা মুশকিল হয়ে যায়….
    প্রতিদিন-ই অনেক ছোট খাটো হাসির রোল পড়ে যায়…..তবে আজকের ব্যাপারটা ছিলো সবচেয়ে মজার……
    রোগী : স্যার জ্বরের চোটে মাথা তুলতে পারি না….
    -> কবে থেকে জ্বর?
    -> ৩-৪ দিন থেকে স্যার….
    -> জ্বর টা কতো? মাপছিলেন?
    -> জ্বি স্যার….কম করে হলেও ১৫০ থেকে ২০০ হবে স্যার…
    ……স্যার অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন…! আমার মাথায় হাত….
    স্যার হালকা ধমক দিয়ে বললেন….এই মিয়া, প্রেসার কুকারে ঢুকে জ্বর মাপছিলেন নাকি??
    স্টাফরা সবাই হো হো করে হেসে দিলো……কিন্তু রোগী অনড়। না স্যার…. ১৫০ নিচে নামে না স্যার… বিশ্বাস করেন!
    নাহ্….ধর্য্য কুলায় না। স্যার হিস্ট্রি নিয়ে ওষুধ লিখে দিলেন।
    আর….যাওয়ার সময় বলে দিলেন….এরপর ১৫০ ডিগ্রির বেশি জ্বর আসলে ডিপ ফ্রিজে ঢুকে বসে থাকবেন।……. 😛

    Dr. Rezbaul hasan royal

  • রোগী ও ডাক্তার বাবু…

    এক মহিলা ডাক্তারের কাছে গেলেন…..
    “ডাক্তার সাহেব, আমি আমার ওজন নিয়ে চিন্তিত নই। কিন্ত হাইট টা নিয়ে একটু ঝামেলার মধ্যে আছি।
    ডাক্তার : কি রকম ঝামেলা?
    মহিলা : আসলে আমি বিএমআই করে দেখলাম যে, ওজন অনুযায়ী আমার হাইট ১০ ফুট ৯ ইঞ্চ হওয়ার কথা ছিলো……….এখন কি করা যায় বলুন তো! ওজন অনুযায়ী হাইট বাড়ানোর কোনো পদ্ধতি আছে কি?
    ডাক্তার সাহেবের মাথা ঘুরতে শুর করলো……… 😛

  • মেডিকেল জোক্স

    স্যারের চ্যাম্বারে ঢুকবো, সিরিয়াল নিয়ে বসে আছি। ফোনটা বের করে একটা ছেলে কে বললাম, ভাই একটা ছবি তুলে দেন তো। সুন্দর করে তুলবেন।
    ছেলেটি কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে বললো…””আমারে দেখে কি আপনার ফটোগ্রাফার মনে হয়??””
    কিছুই বুঝলাম না, ভ্যাবাচেকা খেয়ে বললাম….ইয়েস…
    হঠাৎ করে সিরিয়াস মুড অফ করে হাত বাড়িয়ে দিলো….। “ভাই আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা খুব ভালো। আমার আম্মা-আব্বায় এইটা মানতেই চায় না। আমি ফটোগ্রাফার হতে চাই। ওনারা চায় আমি ডাক্তার হই।
    আমি মনে করি একজন ডাক্তারের চেয়ে একজন ফটোগ্রাফারের ইনকাম ও সম্মান কম না। আপনি কি মনে করেন?”
    “আমিও তাই মনে করি!”
    “ভাই আপনি খুব বুদ্ধিমান মানুষ। তা যাই হোক্ আপনি কি করেন?”
    “” আমি ডাক্তারী পড়ি!”
    শুনেই জিহ্বায় কামড় দিয়ে ফোনটা ফিরিয়ে দিলো।
    …………..
    বিঃদ্রঃ
    আমার এক ফ্রেন্ড ঘন্টায় ২০-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয় ছবি তুলে দিয়ে। এছাড়াও তার গার্লফ্রেন্ডের অভাব নাই। এবং তারা সবাই তাকে খুব ভালোবাসে এবং বাইকের পিছে চিপকায়ে বসে আর আদর সোহাগ করে “ভাইয়া, জানু, পাখি, বেবি…..বাবু ইত্যাদি নামে ডেকে সম্মানও করে।
    অপর দিকে, আমার দেশের ৮০% এরও বেশি মানুষ যারা নিজেকে শিক্ষিত দাবি করে তাদেরকে ডাক্তার দের ” কসাই” বলে ডাকতে শুনেছি।
    আর দিনে ১৫ থেকে ১৬ ঘন্টা ডিউটি করে মাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন তুলতে দেখেছি।…………………..
    …………ভেরি স্যাড। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো, এ পেশায় কেউ আসতেই চাইবে না। ইটস্ রিয়েলি স্যাড…..!
    ……………… 😢

  • রোগী ও ডাক্তার বাবু…

    এক লোক অনেক পেরেশান হয়ে, একজন মেডিসিন স্পেশালিস্ট ডাক্তারের কাছে ছুটে গেলেন। সবকিছু শুনে তিনি ঐ লোককে Referred করলেন একজন psychiatrist এর কাছে।
    লোকটি psychiatrist এর চ্যাম্বারে ঢুকে……
    -> ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান।
    -> কি হয়েছে আপনার?
    -> রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারি না। শুয়ে পড়লে মনে হয় খাটের নিচে কেউ লুকিয়ে আছে। আবার খাটের নিচে শুয়ে পড়লে মনে হয় খাটের ওপর কেউ শুয়ে আছে। কি যে বলবো ডাক্তার সাহেব। খাটের ওপর- নীচে করতেই সারা রাত কেটে যায়। একদম ঘুমাতে পারি না। আমি মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছি।
    -> হুমমম……। এই সমস্যাটা কি আপনি একা থাকলে হয় নাকি আশে- পাশে মানুষজন থাকলেও হয়।
    -> একা থাকলে হয় স্যার….! পাশে কেউ থকলে হয় না।
    -> আচ্ছা শুনেন, আপনার closed phobia আছে। এটা একটা Anxiety Disorder. এটা একবারে ভালো হবে না। Gradually ভালো হবে। এর জন্য Self-exposure থেরাপি নিতে হবে। সাথে আমি কিছু ওষুধ দিচ্ছি, সেগুলো চালিয়ে যাবেন। আর প্রতি সপ্তাহে দুইদিন ভিজিট করবেন।
    -> লোকটি চলে যাওয়ার পরে আর কোনদিন আসেনি……
    হঠাৎ একদিন ডাক্তার সাহেব এর সাথে দেখা হলে…লোকটি বললো….স্যার আমাকে চিনতে পারছেন?
    -> আপনি তো আর চ্যাম্বারে আসলেন না। সুস্থ হয়েছেন।
    -> জ্বি স্যার। মাত্র ৫০ টাকা খরচ করেছি। এখন রাতে ভালো ঘুম হয়।
    ডাক্তার সাহেব অবাক হয়ে,
    -> বলেন কি? সেটা কি করে সম্ভব হলো?
    -> স্যার, আমার বাসার ওপর তলায় একজন অর্থপেডিক সার্জন থাকেন। তাঁর পরামর্শে একজন কাঠ মিস্ত্রী ডেকে খাটের পায়া চারখানা কেটে ফেলে দিয়েছি……. এখন আর ভুতের হয় নাই স্যার…….
    ………… 😛

Verified by MonsterInsights