Tag: scaly skin

  • Ichthyosis Vulgaris..খসখসে,শুষ্ক ত্বক..

    Ichthyosis Vulgaris..খসখসে,শুষ্ক ত্বক..

    ……. Ichthyosis Vulgaris……..

    এটি একটি Genetic স্কিন ডিজঅর্ডার, যেখানে… শুষ্ক ও খসখসে মাছের আঁশের মতো ত্বক দেখা যায়।

    ছবিটি খেয়াল করলেই দেখবেন, এইরকম সমস্যার মানুষ নেহায়েত কম নয়। অনুমান করা হয় প্রতি ২৫০ জনে ১ জনের এই সমস্যা টি আছে।

    এটি একটি জেনেটিক রোগ। মানে, বংশগত।

    গ্রীক শব্দ Ichthys and Vulgaris দুটি শব্দে গঠিত যার গ্রীক অর্থ যথাক্রমে হলো Fish and সাধারণ।
    রোগটি যেহেতু জেনেটিক তাই ছোট বেলাতেই প্রকাশ পায়।

    আপনারা হয়তো খেয়াল করে দেখবেন…..মসজিদ কিংবা বাজারে এই রকম কিছু রোগী ভিক্ষা করে….
    আসলে এটি কোনো বড় রোগ নয় বা এটি ডিজেবল ও করে না।

    কারণ…..কি?

    আমাদের শরীরে Filaggrin (FLG) নামক একটি gene থাকে।

    এই জীনের কোডিং থেকে Filaggrin protein তৈরি হয় যা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিন ব্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে বা একটি সুরক্ষা স্তর গঠন করে।

    এটি Dehydration Prevent করে। ফলে ত্বকের কোষ গুলো কে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

    যাদের এই Filaggrin gene এর মিউটেশন ঘটে তাদের Filaggrin প্রোটিন এর অভাব দেখা দেয়, ফলে ত্বক শুষ্ক, খসখসে ও আঁশযুক্ত ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।

    Filaggrin কমে গেলে Skin Barrier Function কমে যায় ফলে Water retention কমে গিয়ে শুষ্ক ত্বক শীতকালে,

    যেমন পুকুর বা নদীর তলদেশে পানি শুকিয়ে যায়ার পর ফাটল ধরে সেইরকম হয়।

    এতে খুসকির মতো Scale তৈরি হতে পারে, চুলকানি ও Eczema হওয়ার ও চান্স থাকে। পাশাপাশি স্কিন Infection এর চান্স বেড়ে যায়।

    এই রোগটি Autosomal Dominant pattern এর মানে হলো, মা কিংবা বাবা র যেকোনো একজনের এই রোগটি থাকলে সন্তানের হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% থাকে।

    লক্ষণ……..

    শুষ্ক, সাদা-ধূসর মাছের আঁশের মতো স্কিন বাহু বা পা এর সামনের অংশে বেশি দেখা যায়। পেটে দিকেও দেখা যায়।

    হাতের তালু পায়ের তালু ও মুখে সাধারণত দেখা দেয় না। শীতের সময় সাধারণ মানুষের স্কিন খসখসে হয়ে যায়,

    তাহলে Ichthyosis Vulgaris রোগীর ত্বকের অবস্থা কেমন হবে, সহজেই অনুমেয়।

    শীতের মৌসুমে বাতাসে আদ্রতা কম থাকে, ফলে আমাদের স্কিন, ঠোঁট থেকে পানি বের হয় জন্য ত্বক শুষ্ক হয়।

    গরমকালে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম অস্বস্তিকর থাকে এই রোগী।

    মনে রাখা জরুরী…. এটি Contagious বা ছোঁয়াচে রোগ নয়। তাই….একজনের থেকে আর একজনের হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

    Treatment (চিকিৎসা)……

    যেহেতু রোগটি জেনেটিক, তাই এটি কখনোই ভালো হবে না। ত্বক কে হাইড্রেড করে রাখতে বেশি বেশি পানি পান করা।

    Moisturizer ব্যবহার করতে হবে। যেমন, যেকোন, লোশন, পেট্রোলিয়াম জেলি, ইউরিয়া, ল্যাক্টিক এসিড।

    Salicylic acid সমৃদ্ধ লোশন গুলো ত্বকের আঁশ ভাব দূর করতে সাহায্য করে…..

    এছাড়াও Dermatologist এর পরামর্শে থাকা উচিত।

    ধন্যবাদ……..

    Dr. Rezbaul Hasan Royal
    MBBD, MPH(Epidemiology)
    MCGP, PGT(Medicine)
    DOC (Skin and VD)

Verified by MonsterInsights