Tag: মানুষ

  • আমরা জাতি হিসেবে বড়োই অদ্ভূত…

    আমরা জাতি হিসেবে বড়োই অদ্ভূত…

    আমরা জাতি হিসেবে বড়োই অদ্ভূত। মুখদিয়ে যে কথাটা বের হয়ে যায় তাকে আর ফেরানো সম্ভব নয়, সেটা কথা বলা শেষ করে ভাবতে বসি।

    পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী খাবারে মুখ লাগিয়ে খায়। খাবারে মাথা নতো করে খাবার খায়।একমাত্র প্রাণী আশরাফুল মাখলুকাতকে মহান আল্লাহ্ এমনভাবে সৃষ্টি করলেন যাতে মানুষ খাবার হাতদিয়ে তুলে মুখে দেয়। মাথা নতো হবে তা যেনো রিযিকের সামনে না হয়।

    মানুষের মাথাটা নতো হোক রাজ্জাকের( রিজিকদাতা) সামনে……মহান আল্লাহর সামনে।

    মায়ের পেটে ফিটাস অবস্থায় থাকা কালেও মহান আল্লাহ্ মানুষের মুখটাকে পবিত্র রেখে প্লাসেন্টার মাধ্যমে নাভীর সাহায্যে আহার করিয়েছেন। যাতে মানুষের মুখটা পবিত্র থাকে।

    কেনো জানেন?

    যাতে মানুষ পবিত্র মুখে মহান আল্লাহর পবিত্রতম নাম ধরে ডাকে…..

    আমরা, জন্মেরপর সেই পবিত্রমুখটাকে কথা বলে অপবিত্র করে থাকি।

    প্রথমত আপনি মানুষকে কিভাবে চিনবেন? তার ড্রেসআপ দেখে?

    না! হ্যাঁ, ড্রেসআপ কিংবা গেটআপ দেখেও চিনবেন কিছুটা। কিন্তু মানুষটাকে ভালো করে চিনতে হলে তার কথা শুনতে হবে আপনাকে। যে মানুষগুলো বেশি বেশি আমি, আমি করে তারা বেশিরভাগ সময় স্বার্থপর ও প্রচারমুখী হয়।

    ছোটবেলা থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও জাতির ব্যাপারে জানার আগ্রহ ছিলো। সম্পুর্ণ অপ্রত্যাশিত একটি কারনে আজ পৃথিবীর একটি দেশ ও জাতির কথা মনে পড়ে গেলো……যারা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী।

    উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে বাল্টিক সাগরের উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড।

    বছরের বেশিরভাগ সময় বরফে আচ্ছাদিত থাকে দেশটি। তাই তারা ঠান্ডায় জ্যাকেটের ভেতর থেকে হাত বের করে কখনোই হ্যান্ডশেক করে না।

    এমনকি চায়ের দোকানে বসে ঘন্টারপর ঘন্টা আড্ডাও দেয় না।

    বাকী ৩/৪ মাস গ্রীষ্ম থাকে তখনও তাদের ঐ অভ্যাসটাই থেকে যায়।

    এক বড়োভাই একটা ঘটনা বলেছিলেন,

    ফিনিশ এক রুমমেট নাকি তার অপর রুমমেট কে টানা ৬ মাস পর একটা কথা বলেছিলো……..
    “”””I think it’s your turn to buy a toilet paper””””

    বুঝুন ব্যাপারটা।

    যাইহোক্ আসল কথায় আসি……

    এই ফিনিশীয়রা চুপচাপ সৎ ও পরিশ্রমি একটি জাতি। অনেক কয়েকবার তারা দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তবুও কোনদিন গর্ব করে বুক ফুলে বলে বেড়ান নাই।

    তারচেয়েও বড়ো ব্যাপার কি জানেন?

    এই ফিনল্যান্ডকে বলায় ইউরোপের উচ্চশিক্ষার স্বর্গরাজ্য……

    কারণ কি?

    শিক্ষা একটি জাতির জন্মগত অধিকার ও রাষ্ট্রকর্তৃক প্রদত্ত সেবা হিসেবে বিবেচিত হয় ফিনল্যান্ডে।

    ফিনল্যান্ডে ৭ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা বিনামূল্যে শিক্ষা লাভ করে।

    প্রাথমিক স্কুলে ৬ বছর এবং মাধ্যমিক স্কুলে ৩ বছর লেখাপড়া করা সবার জন্য বাধ্যতামূলক।

    গবেষণায় ফিনল্যান্ডের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিশ্বের শিক্ষাছকের শীর্ষে অবস্থান করছে।

    উচ্চশিক্ষার জন্য ফিনল্যান্ডে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়, অসংখ্য কলেজ এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ স্কুল রয়েছে।

    ইউরোপের যে দেশেগুলোতে টিউশন ফি ছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যায় তাদের একটি ফিনল্যান্ড।

    তাই এদেশে বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার বিশেষ সুযোগ রয়েছে । এখানে অভিবাসীদের ছেলেমেয়েদের জন্য তাদের নিজেদের ভাষা শিক্ষার সুযোগও রয়েছে, যেটা যুক্তরাজ্যের মতো বহু বর্ণ ও সংস্কৃতির দেশেও অনুপস্থিত।

    আর আমরা এখনো টিউশন ফ্রি বাড়াতে ব্যাস্ত!

    সামান্য কিছু করলে তা মিডিয়ায় প্রচার করতে ব্যাস্ত।

    হয়তো দেখে থাকবেন!

    বন্যাদুর্গতের মাঝে এক মগ ডাল ঢেলে দিতে নয়জন মানুষ ভীর করেছে……..শুধুমাত্র প্রচারের জন্য।

    আমাদের কাজে কর্মে সংযত হওয়া দরকার। বিশেষ করে মুখটাকে বেশি সংযত করে চালোনা করা দরকার…….

    Dr. Rezbaul Hasan

  • আজ ভালোবাসার এক অতুলনীয় গল্প শোনাবো….

    আজ ভালোবাসার এক অতুলনীয় গল্প শোনাবো….

    আজ ভালোবাসার এক অতুলনীয় গল্প শোনাবো….

    ওয়াইফ অসুস্থ দীর্ঘদিন ধরে।

    দুটো কিডনী তার বিকল হয়েছে।

    প্রায় দৌড়ান হাসপাতালে। ৭/৮ বছর পর যখন আর
    কোনোভাবেই কাজ হচ্ছিলো না, তখন, নিজের একটা কিডনী দিয়ে দিলেন স্ত্রী কে…….।

    জীবনের শুরুটা করেছিলেন অনেক কষ্টে, সারাজীবন তাঁর স্ত্রী তাঁকে সহযোগিতা করেছেন পাশে থেকে….। খুব ছোট বেলায় তাদের বিয়ে হয়। চার সন্তানের জনক-জননী তারা।

    বিবাহিত জীবনের ৪৫ বছর হতে চলেছে, তাঁদের। এই দীর্ঘ সময়, কখনো খেয়ে, কখনো বা না খেয়ে কেটেছে দিনগুলো। কিন্তু, ভালোবাসার কমতি ছিলো না, কখনো।

    বৃদ্ধ চাচা-চাচী ফোকলা দাঁতে, হেসে দিয়ে বলেন…..মানুষ, খেয়ে মরে, না খেয়ে মনে না!

    আর ভালোবাসা না থাকলে তো, জীবনটাই বৃথা। তাঁরা ভালোবাসার স্বাদ পেয়েছেন।

    ক’জনে বা পায়?

    আজকাল তো, বিয়ের পর ৪/৫ বছরও একিছাদের নিচে থাকে না, মানুষ। ঝগড়াঝাঁটি, মারামারি, কাটাকাটি করে…..জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্তটি নিয়ে আলাদা হয়ে যায়…।

    তারপর শুরু হয় জীবনের নতুন অধ্যায়…. তখন, বুঝতে পারে, কি ভুলটাই না করেছেন তারা!

    এই চাচা-চাচী ৪৫ বছর কাটিয়েছেন একসাথে, একটাবারের জন্যও স্বামীকে অবজ্ঞা, অবহেলা করেন নি, একদিনের জন্যও কষ্ট দিয়ে কথা বলেন নি। আজ তাইতো, তাঁর জীবনের কঠিন মুহূর্তে স্বামী নিজের সবচেয়ে মূল্যবান অর্গান দিয়ে স্ত্রী কে সুস্থ করলেন।

    একটি কিডনি দান করলেন। বাঁচলে দুজন একসাথে, মরলে দুজন একসাথে।

    এইরকম স্ত্রীর জন্য এইটুকু তো অবশ্যই প্রাপ্য তাই না বলেন?

    তাঁদের ভালোবাসার গল্প আজ পুরো হসপিটালের মুখে মুখে।

    এরকম আরো অনেক গল্পের স্বাক্ষী হয়ে যাই আমরা।

    চাচীর কিছু হলেই, চাচা হাতদুটো ধরে সান্ত্বনা দেয়, মাথা টিপে দেয়, সারাজীবন পাশে থাকার অঙ্গীকার করে বার বার…..ওদের মা-বাবা, দাদা-দাদী, দু বংসের কেউ বেঁচে নেই। সন্তানরাও যে যাকে নিয়ে ব্যাস্ত। কিন্তু ওরা দুজন দুজনের।

    জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ওরা উপভোগ করেছে। ভালোবাসার স্বাদ নিয়েছে।

    শুনেছি, স্বামী সন্তুষ্ট থাকলে নাকি স্ত্রী জান্নাতি হয়। আর মহানবী (স:) বলেছেন, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম সেই উত্তম পুরুষ।

    ……….আল্লাহ তাদের দুজন কে এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের শেষে, আখিরাতে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান করুন। আমিন।

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

Verified by MonsterInsights