Tag: কৌতুক

  • বন্ধুত্বের সম্পর্ক গুলো হয়তো এমনি হয়…

    বন্ধুত্বের সম্পর্ক গুলো হয়তো এমনি হয়…

    হসপিটাল এ অন্য রোগী দেখতে এসেছেন এক মধ্যবয়সী লোক।

    পাশের বেড এ হঠাৎ করে এক পুরোনো বন্ধুকে দেখলেন স্যালাইন লাগানো।

    দেখেই লোকটি চমকে উঠে জিজ্ঞেস করলেন, আরে বন্ধু তুই অসুস্থ হয়েছিস?

    ঐ অসুস্থ বন্ধুটিও কম যান না, তিনিও সাথে সাথে উত্তর দিলেন..

    “” নাহ্! মুখে খেতে খেতে বরিং লাগছিলো তাই স্যালাইন লাগিয়ে খাচ্ছি!””

    আশেপাশে মুহূর্তেই একটি হাসির রোল পড়ে গেলো…..

    হাহাহা…..

    ……….বন্ধুত্বের সম্পর্ক গুলো হয়তো এমনি হয়………

    Dr. Rezbaul Hasan

  • “” ইউরেকা””….

    “” ইউরেকা””….

    বাংলাদেশের এক সাংবাদিক সারাজীবন হলুদ সাংবাদিকতা করে, শেষ বয়সে তার ইচ্ছা হলো বিজ্ঞানী হবেন।

    অনেকদিন ধরে গবেষণা করলেন এবং শেষ বয়সে এসে ডায়রিয়া হয়ে মারা গেলেন।

    দাফন শেষে, সবাই উন্মুখ হয়ে ঐ সাংবাদিক কাম বিজ্ঞানীর রুমে খুঁজতে লাগলো কোন সূত্র কিংবা কিছু আবিষ্কার করেছে কি না।

    টেবিলের ওপরই একটা খাম পাওয়া গেলে….যার উপরে লেখা ……….

    “” ইউরেকা””

    এই আধুনিক স্যাটালাইটের যুগে সারা বাংলাদেশ এমন কি মুহূর্তের মধ্যে সারা বিশ্বে নিউজ হয়ে গেলো….

    বিশিষ্ট সাংবাদিক ওরফে বিজ্ঞানী একটি সূত্র আবিষ্কার করেছেন।

    এতো ভালোমানুষ ছিলেন যে, নাম ডাক হওয়ার জন্য বেঁচে থাকতে তা প্রকাশ করেন নি।

    তার মৃত্যুর পর তার গবেষণার রুমে একটি খাম পাওয়া যায়,

    খামের ওপর লেখা….

    “”” ইউরেকা”””

    অর্থাৎ তিনি পেয়ে গেছেন।

    কি পেয়েছেন তিনি?

    এবার সবার সামনে সেই মূল্যবান খাম টি খুলে…সূত্রটি পড়া হবে….

    সারা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে আছে….

    পিনপতন নিরবতা….কারো মুখে কথা নেই….মিডিয়া এমন সব ইয়া বড় বড় গল্পের নায়ক বানিয়েছে যে মানুষ হ্যাঁ করে মিডিয়ার দিকে চেয়ে আছে সেই বিখ্যাত সূত্রটি দেখার জন্য…….

    অবশেষে খামটি খোলা হলো।
    সেখানে লেখা ছিলো……

    …গতির চতুর্থ সূত্র…

    “”” লুজ মোশন ক্যান নেভার বি ডান ইন স্লো মোশন!”””

    …………….. 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ ডাক্টারের চ্যাম্বারে গেলো..

    ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ ডাক্টারের চ্যাম্বারে গেলো..

    ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ ডাক্টারের চ্যাম্বারে গেলো।

    ডাক্টার সাহেব পরীক্ষা নীরিক্ষা করে কিছু উপদেশ দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন।

    কয়েক দিন পর, ডাক্টার সাহেব ঐ লোকটিকে রাস্তায় একজন কম বয়সী সুন্দরী মহিলার হাত ধরে হাঁটতে দেখলেন।

    এবং তারা দুজনেই খুব হাসিখুশি ছিলো।

    আরো, কিছুদিনপর, ঐ লোকের সাথে দেখা হলে, ডাক্টার সাহেব বললেন….

    “”আমার সত্যিই খুব ভালো লাগছে এটা জেনে যে, আপনি খুব ভালো আছেন””

    বৃদ্ধ লোকটি ডাক্টার কে দেখে খুব খুশি হলো এবং ধন্যবাদ জানালো আর বললো,

    ডাক্টার সাহেব আপনি সেদিন বললেন না যে…..

    “”Get a hot mamma and be cheerful…””

    আমি আপনার উপদেশমত চলেছি আর সেজন্যই আমি ভালো আছি।

    এই কথা শুনে ডাক্টার সাহেব চোখ বড় বড় করে তাকালেন আর মাথায় হাত দিয়ে চেয়ার এ বসে পড়লেন আর বিড় বিড় করে বললেন, ওরে গাধারে গাধা……

    আমি বলেছিলাম…..

    “””you have got a heart murmur and be careful “””

    ……… 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • ডাক্তার বড় ভাইয়ের মিডিয়ায় কাজ করার খুব শখ ছিলো..

    ডাক্তার বড় ভাইয়ের মিডিয়ায় কাজ করার খুব শখ ছিলো..

    ডাক্তার বড় ভাইয়ের মিডিয়ায় কাজ করার খুব শখ ছিলো।

    সমস্যাটা হলো, পড়তে পড়তে ভাইয়ার মাথায় কোন চুল ছিলো না। ভাইয়া তো স্টেডিয়াম টাইপ মাথা নিয়ে খুব বিপদে পড়লেন।

    অনেকদিনপর, খুব খুশি হয়ে জানালেন….তিনি খুব ভালো একটা তেল কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার অফার পেয়েছেন।

    আর আজকে কোম্পানির ডিরেক্টরের কাছে যাবেন ডিল সাইন করতে।

    আমিও খুব খুশি হলাম।

    কিন্তু পরে শুনলাম তিনি ডিলটা সাইন করেন নাই।

    ব্যাপারটা খুব অবাক করলো আমাকে।

    জিজ্ঞেস করলাম ঘটনা কি? সাইন করলেন না কেনো?

    ->আর বলিশ না। ওরা বললো আমাকে দিয়ে এ্যাড এবং বিলবোর্ড তৈরি করবে…

    -> হ্যাঁ ভালো কথা তাতে কি হয়েছে?

    -> আরে শোন্ আগে। বিল বোর্ডে কি লেখা থাকবে জানিস?

    -> কি?

    -> প্রথমে আমার বড় একটা ছবি আর তার নিচে বড় বড় করে লেখা থাকবে
    “‘” নকল তেল হতে সাবধান!!!!””

    ………………….. 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান..

    ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান..

    এক লোক অনেক পেরেশান হয়ে, একজন মেডিসিন স্পেশালিস্ট ডাক্তারের কাছে ছুটে গেলেন।

    সবকিছু শুনে তিনি ঐ লোককে Referred করলেন একজন psychiatrist এর কাছে।

    লোকটি psychiatrist এর চ্যাম্বারে ঢুকে……

    -> ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান।

    -> কি হয়েছে আপনার?

    -> রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারি না। শুয়ে পড়লে মনে হয় খাটের নিচে কেউ লুকিয়ে আছে। আবার খাটের নিচে শুয়ে পড়লে মনে হয় খাটের ওপর কেউ শুয়ে আছে।

    কি যে বলবো ডাক্তার সাহেব।

    খাটের ওপর- নীচে করতেই সারা রাত কেটে যায়। একদম ঘুমাতে পারি না। আমি মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছি।

    -> হুমমম……। এই সমস্যাটা কি আপনি একা থাকলে হয় নাকি আশে- পাশে মানুষজন থাকলেও হয়।

    -> একা থাকলে হয় স্যার….!

    পাশে কেউ থকলে হয় না।

    -> আচ্ছা শুনেন, আপনার closed phobia আছে। এটা একটা Anxiety Disorder. এটা একবারে ভালো হবে না। Gradually ভালো হবে। এর জন্য Self-exposure থেরাপি নিতে হবে। সাথে আমি কিছু ওষুধ দিচ্ছি, সেগুলো চালিয়ে যাবেন।

    আর প্রতি সপ্তাহে দুইদিন ভিজিট করবেন।

    -> লোকটি চলে যাওয়ার পরে আর কোনদিন আসেনি……

    হঠাৎ একদিন ডাক্তার সাহেব এর সাথে দেখা হলে…লোকটি বললো….স্যার আমাকে চিনতে পারছেন?

    -> আপনি তো আর চ্যাম্বারে আসলেন না। সুস্থ হয়েছেন?

    -> জ্বি স্যার। মাত্র ৫০ টাকা খরচ করেছি। এখন রাতে ভালো ঘুম হয়।

    ডাক্তার সাহেব অবাক হয়ে….

    -> বলেন কি? সেটা কি করে সম্ভব হলো?

    -> স্যার, আমার বাসার ওপর তলায় একজন অর্থপেডিক সার্জন থাকেন। তাঁর পরামর্শে একজন কাঠ মিস্ত্রী ডেকে খাটের পায়া চারখানা কেটে ফেলে দিয়েছি…….

    এখন আর ভুতের হয় নাই স্যার…

    ………… 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • “””মুখ বন্ধ করে খাবি কিনা বল্????””””

    “””মুখ বন্ধ করে খাবি কিনা বল্????””””

    যে ছেলে রান্না করতে পারে তার বউ এর জন্য দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে ক্রিটিকেল টাইম হলো তিন বেলা তার হাসবেন্ড কে খাবার খেতে দেয়া…..

    বিয়ের প্রথম ৬ মাস…..

    বউ খাবার দিয়ে বসে আছে….

    হাসবেন্ড : বাহ্ খুব সুন্দর হয়েছে রান্না…তবে কাঁচা মরিচটা একটু পিষে দিলে ভালো হতো….সাথে একটু ধনে পাতা….

    বউ : ইমা….আপনার তো বহুমুখী প্রতিভা! রান্নাও পারেন….

    বিয়ের ১বছর পর……

    বউ রান্না করে টেবিলের ওপর খুব জোরে জোরে বাটি রাখছে আর বিড় বিড় করছে….

    হাসবেন্ড : উঁহু এটা রান্না হয়নি! মাংসের মধ্যে লবণ ঢোকেনি। এরপর থেকে এক কাজ করবা…আগে সবকিছু দিয়ে ভালো করে মাখবা। তারপর আগে ভাল করে কসাতে হবে, তারপর পানি দিবা।লবন যদি কম হয় তবে পানি দেয়ার আগে সেটা দিবা। পানি দেয়ার পর মাংসতে লবণ দিলে সেটা ঝোলের মধ্যে থেকে যায় মাংসের ভেতর ঢোকে না…..

    বউ : বিরক্ত হয়ে, উফ্ এবার খাও তো! ঠিক আছে এরপর তাই করবো।

    বিয়ের ২য় এমনকি ৩য়, ৪র্থ বছরও খুব ধর্য্য ধরে চলে গেলো……..

    এরপর, বউ খাবার রেডি করে দিয়ে শাড়ির আঁচল দিয়ে কোমড় বাঁধতে বাঁধতে রান্না ঘরে ঢুকলো…..

    হাসবেন্ড : খাবার মুখে দিয়ে। কি সব যে তিন বেলা রান্না করে। সারাদিন তোমার কাজটা কি শুনি? গাঁজা খেয়ে রান্না করো?

    বউ ঐ দিকে দাঁত চিবাতে চিবাতে বটী হাতে রান্নাঘর থেকে বের হয়ে বললো……

    ->”””মুখ বন্ধ করে খাবি কিনা বল্????””””

    হাসবেন্ড বেচারা কাচুমাচু করে…..না মানে বলছিলাম….

    “””ওয়াও ফার্স্টক্লাস হয়েছে…..বাহ্ বাহ্ চমৎকার হয়েছে….””””
    ………. 🙂

    Dr. Rezbaul Hasan

  • অটো ওলা মামার চালাকি….🤪

    অটো ওলা মামার চালাকি….🤪

    একজন অটোচালক কিভাবে তিন থেকে চারগুণ ভাড়া আদায় করে………


    ১। এক ছেলে গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে দিনাজপুর রামসাগর ঘুরতে যাবে! সে যেখান থেকে যাবে সেখান থেকে ভাড়া সবোর্চ্চ ৩০/-।

    -> মামা যাবেন?

    -> হ! যামু! কই যাবেন?

    -> রামসাগর দুইজন! কতো ভাড়া?

    -> ১০০ টাকা

    -> কি কন মিয়া? ৩০ টাকা ভাড়া ১০০ টাকা চাচ্ছেন কেনো?

    -> ঠিক আছে! ওঠেন! তয় রাস্তায় লোক্ পাইলে তুইলা নিমু!

    -> না, না, লোক তোলা যাবে না!

    চলেন ১০০ টাকাই নিয়েন!

    অটোঅলার মুচকি হাসি………

    ২। এক মেয়ের প্রইভেট শেষ হওয়ার কথা ৫ টায়। সে প্রাইভেট শেষ করে অটো নিলো।

    মাঝপথে অটো থামিয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে চা-কফি খেয়ে আড্ডা দিলো ১ ঘন্টা।

    অটোঅলা চুপ করে বসেছিলো।

    বাসার সবাই অস্থির হয়ে নিচে নেমে ফোন দিচ্ছে বার বার।

    এদিকে মেয়ে অটোতে উঠে বলছে….”””মামা তাড়াতাড়ি যান্””…এমনিতে সামনে জ্যাম।

    মামার মেজাজ গরম হয়ে গেলো!

    অটোথামিয়ে বললো….”””তুমি প্লেইন ভাড়া করে যাও!”””

    অগত্যা সরি বলে মেয়ে চুপ মেরে বসে আছে। বাসার কাছে যাওয়া মাত্র মেয়ের মা, বোন, ভাই ছুটে এসেছে! দেরি হলো কেনো তোর?

    অটোচালককে বললো ভাড়া কতো??

    -> ১৫০ টাকা

    মেয়ের ভাই ঝাড়ি দিলো! মিয়া ৩০ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা চান কেনো?

    “””আপনার বোন অটো থামিয়ে কলো করে লম্বা, চশমা পড়া একটা ছেলের সাথে দেড় ঘন্টা আড্ডা দিয়েছে! তাই অপেক্ষা করার জন্য ভাড়া ১৫০ টাকা!”””

    ভাই ক্ষেপে গিয়ে ১৫০ টাকা বের করে দিয়ে মেয়ের দিকে ঘুরে বলছে ”’চল্ বাসায় তোর খবর আছে”””
    …….. 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • “””এই যে! চোখে দেখেন না?”””

    “””এই যে! চোখে দেখেন না?”””

    রংপুর মেডিকেল মোড়,
    বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, দিনাজপুর যাবো!

    একটা মেইল সার্ভিস (সিটিং বাস) আসল।

    বেশি ভিড় নেই তবুও বাসে ওঠার জন্য একটা ন্যাচারেল তাড়া সবারই থাকে।

    ঠিক যখন আমি উঠবো, হাই হিল পড়া এক মেয়ে ফোনে বাবু, শোনা, বাসে উঠবো বাই,বাই,টা,টা….করে দৌড়ে এসে ধাক্কা দিয়ে উঠে গেলো।

    পিছনে হেল্পারের গায়ে না লগলে পড়েই যেতাম। সরি তো দুরের কথা সেই মেয়ে ঘুরে বলছে….

    “””এই যে! চোখে দেখেন না?”””

    আশেপাশে যারা ছিলেন ক্ষেপে গেলেন। আমি তাদের থামিয়ে দিলাম।

    কিন্তু মেজাজটা এতোটাই গরম হয়েছিলো যে, প্রতিঙ্গা করে ফেললাম “””তুমি যে-ই হও, আজ তোমাকে সাইজ করবো!”””

    বাসে উঠে দেখি, মহিলাদের জন্য বরাদ্দ ৯ টা সিটের মধ্যে খালি থাকলে সেই মেয়েটি মাঝের সিটে বসেছে। সামনে সিট খালি না থাকায়, বাধ্য হয়ে মেয়েটির পাশে বসে পড়লাম।

    ইয়া মোটা সান গ্লাসের ভেতর দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি একটা শুকনো হাসি দিলাম।

    দেখে মনে হয় না কোন অভদ্র ঘরের মেয়ে। হয়তো পরিবারের ছোট্ট মেয়ে না হয় কোন ধনীর একমাত্র দুলালী। সুন্দরীও বটে!

    পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ছেকড়া তাকাচ্ছে বার বার। বাসের ছোট্ট সিটগুলোতে পায়ের ওপর পা দিয়ে অতি কষ্টে বসে আছে মেয়েটি। হঠাৎ মনে হলো, হতে পারে প্রাইভেট কার নষ্ট হয়েছে তাই জীবনের প্রথম বাসে উঠেছে!

    বুঝতে পারছি না……
    এসব ভাবতেছিলাম। সাডেনলি মেয়েঠি চশমা খুলে আমাকে জিজ্ঞেস করছে, “”আপনি কোথায় যাবেন???””

    আমি অবাক হওয়ার ভান করে, চিল্লায়ে বললাম, কি ১০০০টাকা?

    আশেপাশের সবাই চমকে উঠলো আর মেয়েটার দিকে তাকালো।

    কে কি বুঝলো জানি না! হ্যাংলা একটা ছেলে পকেটে হাত দিলো। টাকা গুনছে মনে হয় ১০০০ হবে কিনা। আমি চুপচাপ বসে আছি।

    মেয়েটি লজ্জায় লাল্ হয়ে গেলো! একটা ছাল ওঠানো পাকা কমলা, এই বুঝি ফেটে যাবে।

    গায়ের চাদরটি মাথায় দিয়ে মাথা নীচু করে বসে রইলো।

    ঠিক্ দশমিনিট পর, আমার গায়ে বমি করে দিলো! না ঠিক্ বমি নয়, বমি করার আগে উকি আসলে যে লালামিশ্রিত মিউকাস বের হয় সেটা। লাফ দিয়ে উঠে বাস স্টাফের কাছে পলিথিন নিয়ে দিলাম এবং পকেট থেকে টিশ্যু পেপার বের করে আমার শার্ট ও প্যান্টে লাগা মিউকাসগুলো মুছে ফেললাম।

    আগের চেয়ে অনেক বেশি ঘৃণা জিনিসটা কমে গেছে আমার বুঝতে পারলাম। একদিন বড়ো ভাইয়ের সাথে সিসিইউ তে নাইটে ছিলাম। তিনটা সিরিয়াস রোগীর ২০ মিনিট পরপর বিপি নিতে হয়েছে সেদিন।

    তারমধ্যে এক রোগী বাথরুম করেছিলো আর ঐ রোগীর আশেপাশে দুর্গন্ধ শুরু হয়েছিলো। ভাইয়া বিষয়টা জানতেন না, তাই আমাকে বিপি নিতে বলে একটা নতুন রোগী রিসিভ করছিলেন। আমি বিপি নিতে গিয়ে গড়গড় করে বমি করে দিলাম। রোগী ও সাথে তাদের লোকজন কাচুমাচু করে তাকালেন।

    লজ্জায় আমার কান্না চলে এসেছিলো। ভাইয়া হেসে দিয়ে বলেছিলেন সব রোগী কিংবা রোগীনী তোমার বাবা-মা’য়ের মতো ভাববা।

    যাইহোক্ মেয়েটিকে কিছু বললাম না বরং ব্যাগ থেকে পানি বের করে দিলাম। সে কুলি করে ফ্রেশ হলো। একটা হায়োসাইন হাইড্রো ব্রোমাইড (Joytrip) দিয়ে চুষে ক্ষেতে বললাম।

    একটু হেসে বললাম কি ব্যাপার?

    আপনি মা হতে চলেছেন নাকি?

    মুখে হাত দিয়ে খিল্ খিল্ করে হেসে উঠলো!………

    কিচ্ছুক্ষণ পর সে সুস্থ হলো এবং কানে চিমটি দিয়ে সরি বললো আর অনেকগুলো ধন্যবাদ দিলো…….

    তারপর, পুরো দুই ঘন্টা জার্নি তে অনেক কথা হলো……

    তারমধ্যে আমার প্রেডিকশনের সাথে কমন পড়েছে যেটা সেটা হলো……সে বাড়ির ছোট্ট এবং একমাত্র মেয়ে!

    ওহ্ ভালো কথা, ওর বিয়ে আমাগী মাসে ঐ যে ফোনের শোনা বাবু টার সাথে , আমাকে স্পেশালি দাওয়াত দিয়েছে।

    জিহ্বা দিয়ে ঠোঁটদুটো ভিজিয়ে বলেছিলাম “আসবো!”……..

    Dr. Rezbaul Hasan

  • সার্জারি ওয়ার্ড….

    সার্জারি ওয়ার্ড….

    সার্জারি ওয়ার্ড:

    লেপারোস্কোপি করার আগে রোগীর পেটের মধ্যে কার্বনডাইঅক্সাইড দিয়ে পেট ফুলিয়ে নেয়া হয়।

    যাতে ভিতরের অর্গানগুলো ঠিকমত বোঝা য়ায়।

    তারপর শরীরে চারটা ফুটো করে পাইপের মতো যন্ত্র দিয়ে অপারেশন করা হয়। (সাধারণ ভাষায়)

    ভালো কথা।

    পিছন থেকে কে যেনো প্রশ্ন করলো….

    স্যার, অপারেশন এর পর পেটের মধ্যেকার কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাসটা কি হয়?

    ঠিক্ তারপর পিছন থেকেই উত্তর টা আসলো…..

    “””অপারেশনের পর গ্যাসটা, নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেইনটেইন করে বের হয় এবং রোগী, রকেটের গতিতে অপারেশন থীয়েটার থেকে বাড়িতে চলে যায়”””

    সবাই হো হো হো…. হেসে দিলো।

    যে বলেছিলো সে ভাবলো এই বুঝি স্যার রাগ করবেন।

    না! তা হলো না!

    স্যার, বললেন,
    “””অপারেশন শেষ হলে রোগীকে ফায়ার সার্ভিস এ জব্ দেয়া হয়, যাতে সে পেটের মধ্যে থাকা কার্বনডাইঅক্সাইড গুলো দিয়ে আগুন নেভাতে পারে!”””

    আবার সবাই হো হো হো করে হেসে উঠলো…….

    পরে অবশ্য, স্যার উত্তরটা বলে দিয়েছেন… 🙂

    Dr. Rezbaul Hasan

  • মেয়ে : আমি চোখ বন্ধ করলে আপনি কিস্ করবেন…

    মেয়ে : আমি চোখ বন্ধ করলে আপনি কিস্ করবেন…

    এক মেয়ে জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে বললো….

    -> বাবা আমি ভবিষ্যৎ দেখতে চাই!

    জ্যোতিষী : বৎস! কাছে আসো…..

    মেয়েটি কাছে আসলো….

    জ্যোতিষী : আরো কাছে….

    মেয়েটি আরো কাছে গেলো….

    জ্যোতিষী : আরো কাছে…..

    মেয়েটি আরো কাছে গেলো…

    জ্যোতিষী : এবার চোখ বন্ধ করো….

    মেয়ে : না!

    জ্যোতিষী : কেনো?

    মেয়ে : আমি চোখ বন্ধ করলে আপনি কিস্ করবেন…

    জ্যোতিষী : এই তো তুমি ভবিষ্যৎ দেখতে শুরু করেছ! এবার ভিজিট দিয়ে বিদায় হও……
    ……………. 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

Verified by MonsterInsights