Category: Health Tips

Explore practical health tips, the latest medical news, and expert wellness advice to help you maintain a balanced and healthy lifestyle every day.

  • করোনা আবার বাড়ছে। নতুন রূপে,নতুন ভাবে..

    করোনা আবার বাড়ছে। নতুন রূপে,নতুন ভাবে..

    করোনা আবার বাড়ছে। নতুন রূপে,নতুন ভাবে..

    NB.1.8.1 (এন বি ১.৮.১)

    World Health Organisation একে “Variant Under Monitoring” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

    এটি Omicron‑এর JN.1‑লাইনেজের একটা সাব-ভ্যারিয়েন্ট ।

    ২০২৫ সালের জানুয়ারীতেই এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম সনাক্ত করা হয়..এখন, চীন, হংকং, তাইওয়ান, ইউরোপ, আমেরিকা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে।

    প্রাথমিকভাবে Omicron‑এর মত — গলা ব্যথা, কাশি, হালকা জ্বর, ক্লান্তি,শরীর ব্যাথা, স্বাদহীনতা, লস অব স্মেল…সহ মাঝে মাঝে পেটের সমস্যা….যেমন..বমি বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দা, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে।

    এটি মানুষের কোষে “বেশি সহজে সংযুক্ত হতে পারে”, অর্থাৎ transmissibility বেশি; কিন্তু গুরুতর অসুস্থতার প্রমাণ তেমন নেই।

    World health Organisation(WHO) and Centers for Disease Control and Prevention (CDC) এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন—টিকা (বুস্টার), মাস্ক, ভালো হাইজিন ও বয়স, ঝুঁকিপ্রাপ্তদের (Co-morbidity and Risk factors such as…. Diabetes Mellitus, Asthma, COPD, HTN, Obesity, Kidney or Liver Transplantation) জন্য বাড়তি সতর্কতা খুবই জরুরি।

    অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট গুলো হলো….

    LF.7, XEC… যার সংক্রমণ বাড়াচ্ছে এবং JN.1‑এর মতো সাইন সিম্পটম দেখা দিচ্ছে….

    HKU5‑CoV‑2 এটি মূলত একটি MERS ভাইরাস, মানুষের সংক্রমণ এখনও হয়নি, তবে গবেষকরা এটিকে “potentially pandemic threat” হিসেবে বিবেচনা করছেন।

    ** বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি…..

    ভারতে NB.1.8.1 ও LF.7 শনাক্ত হয়েছে। কিছু রাজ্যে সংক্রমণ বেড়েছে ।চীন, হংকং, তাইওয়ান ও থাইল্যান্ডে রুগীর সংখ্যা এবং হসপিটাল এডমিশন সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে…..।

    ভারতে সাম্প্রতিক কেস ও মৃত্যু এনবিসি, লোকাল মিডিয়া সংক্রান্ত তথ্য থেকে জানা গেছে ভারতে প্রতিদিন… ৪০০–৬০০…..মৃত্যুর খবর…..

    *** করণীয়……

    ১। মাস্ক ব্যবহার করুন – বিশেষ করে ভিড় বা ঘন বসতি স্থানে…

    ২। হাত পরিষ্কার রাখুন – সাবান বা স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন।

    ৩। লক্ষণ দেখুন – গলা ব্যথা, হালকা জ্বর, ক্লান্তি ইত্যাদি থাকলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

    ৪। পরীক্ষা করান – RT‑PCR বা দ্রুত অ্যানটিজেন টেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

    ৫। আবদ্ধ থাকলে নিজেকে আলাদা রাখুন (Isolation) – অন্যদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে।

    Dr. Rezbaul Hasan royal

  • সাপের কামড়ে করণীয়…..

    সাপের কামড়ে করণীয়…..

    সাপের কামড়ে করণীয়…..

    বর্ষাকাল চলছে।বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ছে সাপের কামড়ের প্রকোপ।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) এর ২০১৮ সালের হিসেব অনু্যায়ী বাংলাদেশে এখনো বছরে প্রায় ৭ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয় তার মধ্যে প্রায় ৬০০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করে।

    বন্যাপ্লাবিত অঞ্চলে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এই সাপের কামড়।

    যার বড় একটা অংশ মৃত্যুবরণ করে অপচিকিৎসা,ওঁঝা বৈদ্যের ঝাড় ফুঁক,সাপ কম বিষধর হওয়া সত্ত্বেও ব্লেড বা অন্যকিছু দিয়ে কেটে বিষ নামানোর ভ্রান্ত ধারণা যেটার পরবর্তী রক্তে ইনফেকশন এর কারণে মানুষ মৃত্যুবরণ করে।

    তবে বেশীর ভাগ মানুষ যাদের সাপে কাটে সেখানে বিষধর সাপের সংখ্যা কম।আবার অনেকসময় সাপ কামড় দিলেও তাদের লালা(saliva) যেটাকে আমরা বিষ বলি সেটা মানুষের দেহে প্রবেশ করেনা।

    বিষহীন সাপের কামড় কিভাবে বুঝবো….

    অনেকগুলো দাঁতের কামড় থাকবে

    বিষাক্ত সাপের কামড় চেনার উপায় হলো….

    দুটি ফ্যাং চিহ্ন বা ক্ষত পাওয়া যাবে, ক্ষত স্থান থেকে রক্ত পড়বে, কামড়ের আশেপাশে প্রদাহ, জ্বলন, ব্যাথা ও ত্বকের রং পরিবর্তন হবে….

    যাই হোক,বিষধর সাপে কামড়ের বিপদজনক লক্ষণ গুলি হলো….

    ১.ঘাড় সোজা করে রাখতে না পারা(Broken neck sign)

    ২.চোখের পাতা পড়ে যাওয়া(ptosis)

    ৩.নাকে নাকে কথা বলা (nasal voice)

    ৪.মুখের কথা জড়িয়ে আসা (verbal difficulty)

    ৫.ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকা (Respiratory distress)

    ৬। বমি বমি ভাব (Nausea)

    ৭। চোখে ঝাপসা দেখা, অসাড়তা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, মুখমন্ডল এবং চোখেররপাতা ঝুলে পড়া।

    ৮। ক্লান্তি ও পেশী দুর্বলতা, তৃষ্ণা এমন কি এলার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে…

    এছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ সাপের কামড়ে দেখা যায়….

    ১.আক্রান্ত স্থান ফুলে ফেঁপে যাওয়া।

    ২. মুখ দিয়ে, দাতের মাড়ি থেকে কিংবা শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তপাত

    ৩.প্রস্রাব না হওয়া কিংবা কমে যাওয়া ইত্যাদি।

    আমাদের দেশে কিছু কুসংস্কার কিছু ভ্রান্ত ধারণা বিজ্ঞান বর্জিত ধারণা এখনো প্রবল ভাবে মানুষের বিশ্বাস দখল করে আছে।

    ওঁঝা বৈদ্যের চিকিৎসায় বিষ নেমে যায় তেমনি একটা মিথ্যাদৃষ্টি।

    অনেক সময় যেটা হয় সাপে কাটার পর তীব্র ভয়ের কারণে vasovagal inhibition হয়।অতিমাত্রায় ভয় পাওয়ার কারণে ব্রেইন এ রক্ত সরবরাহ কমে গিয়ে কেউ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

    এর কিছুক্ষণ পর যখন রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় এমনিতেই জ্ঞান ফিরে আসে কিন্তু মানুষ মনে করে ওঝার চিকিৎসা তেই বোধ হয় জ্ঞান ফিরে আসলো।

    এটা একটা co-incidence।

    সুতরাং সাপে কাটলে কোনভাবেই এক সেকেন্ড সময় দেরী না করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যাবস্থা করবেন।

    এক্ষেত্রে খুব সাবধান থাকতে হবে, যে জায়গায় কামড় দিয়েছে যেমন পায়ে যদি কামড় দেয় তাহলে গাছের পট্টি কিংবা শক্ত লম্বা কোন লাঠি পায়ের সাথে বেধে দিন যাতে পা এর কোনরকম নড়াচড়া না হয়।

    মনে রাখবেন নড়াচড়া যত কম হবে বিষ তত আস্তে ছড়াবে।৩-৪ টা বাঁধ দেয়ার দরকার নেই।

    রশি দিয়ে শক্ত করে বাঁধার দরকার নেই, এতে রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে আক্রান্ত অংশে পঁচন ধরতে পারে। এমনভাবে বাঁধুন যেনো এক বা দুটো আঙুল বাঁধনের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করানো যায়।

    হাসপাতালে যাওয়ার পর, ডাক্তার এক সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে বিষাক্ত সাপের কামড় নাকি বিষহীন সাপের কামড় বুঝতে পারবেন।

    এটাকে Whole blood clotting test বলে। একটি টেস্টটিউব এ কিছু পরিমাণ রক্ত নিয়ে রেখে দিলে যদি তা স্বাভাবিক নিয়মে জমে যায় তবে, এটি বিষহীন সাপের কামড়। আর যদি না জমে যায় তবে, বিষাক্ত সাপের কামড়। এবং বিষটি হেমাটোটক্সিক। আর যদি নিউরোটক্সিক হয় তবে, Broken neck sign, Salivation, Ptosi, Verbal difficulty ইত্যাদি সাইন সিম্পটম পাওয়া যাবে…..

    বিষাক্ত সাপের কামড় হলে…. Polyvenom snake antivenom ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা করবেন। উল্লেখ্য যে, এই ইনজেকশন এর কারনে এলার্জিক রিয়েকশন হতে পারে….

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • Scabies (বাংলায় খোশ,পাচড়া)

    Scabies (বাংলায় খোশ,পাচড়া)

    Scabies (বাংলায় খোশ,পাচড়া) বর্তমানে বাংলাদেশে একটি ভয়াবহ সংক্রামক ব্যাধি হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে……..

    এটি Sarcoptes scabiei নামক ক্ষুদ্র পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট, যা শরীরের তীব্র চুলকানি, জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি, এবং রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়..

    স্ক্যাবিস একটি ছোঁয়াচে রোগ Sarcoptes scabiei নামক ক্ষুদ্র পরজীবীর সংক্রমণের মাধ্যমে এ রোগটি ছড়ায়। পরজীবীটি মানুুষের চামড়ার নীচে ডিম পাড়ে, বাচ্চাফুটায় এবং বিশেষ করে রাতে ঘুমের সময় চামড়ার নিচে চলাচল করে, সেজন্য তীব্র চুলকানি হয়। চুলকানি সাধারণত রাতের বলা তীব্রতর হয়।

    কোথায় হয়…….

    কনুইয়ের উপর, পেটের পাশে, এমনকি কোমরের নিচে, আঙুলের ফাঁকে, কনুইয়ে, বগলে, কোমরে, বুকের নিচে ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা যায়।

    একই বিছানায় শুইলে অন্যের দেহেও এই চুলকানি ছড়িয়ে পড়ে।

    ***চুলকাতে চুলকাতে ঘুম হারাম হয়ে যায়, রাত যতো বাড়ে চুলকানীও ততোই বাড়তে থাকে।

    বাচ্চাদের স্কুল, মাদ্রাসা, থেকে সংক্রমিত হয় এবং পরীবারের সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও ঘনবসতি, শীতকালে, গার্মেন্টস কর্মীদের মধ্যে এই রোগটির প্রাদুর্ভাব বেশি লক্ষণীয়।

    এ রোগটি নিরাময়যোগ্য…….

    ১। রোগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। যেমন, রোগটি ছোঁয়াচে এবং সবার চিকিৎসা একত্রে প্রয়োজন।

    ২। সারা শরীরে ওষুধ মাখতে হবে (যেমন: 5% permethrin যা বাজারে Scabex or Permisol cream নামে পাওয়া যায়) এবং 12 ঘন্টা রেখে সকালে গোসল করে ফেলতে হবে প্রতি সপ্তাহে ব্যবহার করতে হবে এভাবে মোট চার সপ্তাহ সর্বোচ্চ। এছাড়াও বাজারে Scabnil or E-scab বার নামক সাবান পাওয়া যায় যা দিয়ে পরিবারের সবাই গোসল করবে ১মাস।

    ৩। নখ কাটতে হবে এবং প্রতিদিন গোসল করতে হবে।

    ৪। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একই চিকিৎসা একত্রে শুরু করতে হবে।

    ৫। জামা কাপড় বিছানার চাদর ভালোভাবে গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে এবং তারপর ইস্ত্রী করতে হবে।

    ৬। যেকোনো কাপড় পরার পূর্বে ইস্ত্রী করে পরতে হবে এভাবে দুই সপ্তাহ চলবে কাপড়ের চিকিৎসা।

    ৮. SCABIES চিকিৎসায় কোনরকম Steroid বা Steroid জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করা যাবে না। নয়তো পরবর্তীতে এটা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে।

    ৯. Scabies এর চুলকানি যেতে সময় লাগতে পারে তাই এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ ছয় থেকে আট সপ্তাহ কন্টিনিউ করা লাগতে পারে।

    ১০.সকলের সহযোগিতা এবং সচেতনতাই Scabies থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব।

    ১১। সেকেন্ডারি ইনফেকশন এর ক্ষেত্রে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক নিতে হবে।

    ****রাস্তাঘাটে মলম বিক্রেতা বা ফার্মেসী ওলা বা ম্যাটস্, গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তারের পরামর্শ বা চিকিৎসা নিবেন না। ওষুধের দোকান থেকে যত্রতত্র এলার্জির কথা বলে ওষুধ কিনে খাবেন না।

    উল্লেখ্য যে, হাতুড়ে ও ফার্মেসী ওলা রা এটিকে করোনা ভ্যাক্সিন নেয়ার পর এলার্জি হচ্ছে বলে মুড়ির মতো নামি বেনামি মেডিসিন বিক্রি করছে এমনকি স্টেরয়েড ইনজেকশন ও দিচ্ছে যার কারনে রোগটি দিন দিন ভয়াবহ অবস্থা নিচ্ছে।

    রোগটি খুব দ্রুত একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকেও সংক্রমিত হয়। যেমন, একসাথে থাকলে, আক্রান্ত ব্যাক্তির কাপড়, বেডশিট, চিরুনি, গামছা ইত্যাদি ব্যবহার করলে।

    করণীয়……
    ->ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।

    ->আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত পোশাক, বিছানার চাদর ইত্যাদি আলাদা রাখুন।

    -> ডার্মাটোলোজিস্ট বা স্কিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং আশেপাশের মানুষদের সচেতন করুন।

    জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োজন:
    সরকারিভাবে জনগণকে সচেতন করা। আক্রান্ত পরিবারগুলোকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা।

    চিকিৎসা :
    5% Permithrin cream
    Permithrin soap

    10-25% Benzyl benzoate emulsion

    5-10% Sulfur ointment

    চুলকানী কমাতে Antihistamine (Fexofenadine, Rupatidine etc)

    সবচেয়ে ভালো হয় স্কিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিলে…..

    Scabies প্রতিরোধে আমরা সবাই একসাথে সচেতন হই এবং অন্যদের সহযোগিতা করি।

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • ডেঙ্গু জ্বর…..

    ডেঙ্গু জ্বর…..

    আসসালামু আলাইকুম,

    আমরা সকলেই জানি ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ। গতবছর ডেঙ্গু মহামারী আকারে দেখা দিয়েছিলো। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিদিন হাসপাতালে মানুষ মারা যাচ্ছে।

    আজকের এই প্রতিবেদন টি, ডেঙ্গু প্রতিকারে করনীয় কি কি? ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি কি? কখন হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে? চিকিৎসা ও পরীক্ষা নীরিক্ষা সম্পর্কে আলোকপাত করছি……

    ডেঙ্গু ভাইরাস টি ছাড়ায় এডিস মশার কামড়ে। এডিস মশাটি মোটামুটি একটি অভিজাত প্রজাতির মশা, বড় বিল্ডিং দালান কোটাতে এদের বসবাস, এরা ফ্রেশ পানিতে ডিম পাড়ে আর বংশবৃদ্ধি করে। রাস্তায় ফেলে রাখা ডাবে খোসা, চিপস্ এর প্যাকেট, ফুলের টব ইত্যাদিতে বৃষ্টির ফলে পানি জমে থাকে সেই সব জায়গায় পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে ও বংস বিস্তার করে।বর্তমানে বৃষ্টি হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন, এই সময়টি এডিস মশার বিস্তার লাভের উপযুক্ত সময়।

    মনে রাখতে হবে যে, এডিস মশা দিনের বেলা কামড়ায়, গভীর রাতে এই মশা কামড়ায় না। বিশেষ করে সন্ধ্যা বেলা ও ভোরের দিকে এই মশা বেশি কামড়ায়। হাত ও পা এ বেশি কামড়ায়।

    এমন কি একটি ডেঙ্গুবাহিত মশাও যদি কাউকে কেবল এক কামড় দেয়, তখনো মশার লালাতে অবস্থিত ডেঙ্গু ভাইরাস মশা থেকে মানুষের শরিরে চলে আসবে, এবং কামড় দেওয়ার ৩-১৪ দিনের মধ্যে জ্বর আসবে। বেশির ভাগ রোগীর, মশার কামড়ের ৫-৬ দিনের মধ্যে জ্বর দেখা যায়।

    ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ: প্রথম ৩-৪ দিন

    ১। জ্বরের সাথে সাথে সারা শরীর ব্যাথা করবে

    ২। চোখের পিছনে খুব ব্যাথা হবে

    ৩। পেটে ব্যাথা হবে

    ৪। শরীর চুলকাবে, Rash দেখা দিবে

    ৫। সর্দি কাশি তেমন একটা থাকেনা

    ৬। জয়েন্ট পেইন হবে, এবং মাংশপেশিতে ব্যাথা হবে

    ৭। পেটে ও বুকে পানি জমে যেতে পারে

    ৮। জ্বর হাই গ্রেড থাকবে

    এছাড়াও বমি বা বমি বমি ভাব থাকতে পারে, অরুচি থাকে।

    প্রথম ৩-৪ দিন পর ৮০-৯০% পেশেন্ট রিকভারি স্টেজে চলে যায়, ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকে। সুস্থ হবার আগে শরীরে Rash দেখা দিতে পারে।

    আর ১০-২০ % পেশেন্টে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ডেভেলপ করতে পারে, জ্বর শুরু হওয়ার ৪-৫ দিন পর। তাই মনে রাখবেন, জ্বর কমে গেলে ডেঙ্গু রোগী আরো বেশি খারাপ হওয়ার ঝুঁকি থাকে….

    তখন নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো পাওয়া যাবে:

    ১। বমির সাথে রক্ত যাবে

    ২। ডায়েরিয়ার সাথে রক্ত যাবে

    ৩। নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে

    ৪। দাতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হবে

    ৫। মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হতে পারে

    তখন সাথে সাথে পেশেন্ট কে হসপিটালে ভর্তি করাতে হবে। এই সময় রোগীর প্রেসার কমে যায়, হার্টবিট বেড়ে যায়, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। কিডনি বিকল হওয়াসহ রোগী শকে চলে যেতে পারে এবং তখন মৃত্যু ও হতে পারে।

    ডেঙ্গু কনর্ফাম হওয়ার জন্য, CBC করে Platelet count দেখা হয়। Platelet Count কমে যাবে, আর জ্বর শুর হবার প্রথম ৪ দিনের মধ্যে Dengue NS1 Antigen positive আসবে। প্রথম ৫ দিন পর…….

    Dengue IgM পজিটিভ =Active infection

    Dengue IgG পজিটিভ = রিকভারি (৮ম থেকে ৯ম দিনে পজিটিভ হয়) মানে রোগী ভালোর দিকে…..

    বর্তমানে ঢাকা ও এর আশে পাশের শহরে কেউ জ্বর, শরীর ব্যাথা, জয়েন্টে ব্যাথা, ক্ষুধা মন্দা, বমি বমি ভাব, নিয়ে আসলে ডেঙ্গু সন্দেহ করে নিচের পরীক্ষা গুলো করে নেয়া খুব জরুরি

    CBC

    Dengue NS1 antihigen (জ্বর শুরু হবার প্রথম ৪ দিনের মধ্যে আসলে)

    ৫ম দিনে আসলে

    CBC,

    NS1

    Dengue IgM

    ৫ দিন শেষ হবার পরে আসলে-

    CBC,

    Dengue IgM antibody

    এই গুলি ডেঙ্গু কনফার্ম করার জন্য।

    চিকিৎসা :

    জ্বর অনেক বেশি থাকে তাই paracetamol 500mg

    2+2+2 করে ভরা পেটে, বাচ্চাদের জন্য নয়।

    চুলকানি থাকলে Fexofenadin 120mg রাতে এক বেলা। সাথে প্রচুর পরিমানে তরল জাতীয় খাবার খাবেন। যেমন, ডাবের পানি, ORS(১/২লিটার পানিতে গুলিয়ে) রুম টেম্পারেচার ফ্যান ছেড়ে দিয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে গা মুছে দিবেন। আর যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব MBBS ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

    ছোট বাচ্চা, গর্ভবতী মা, হার্ট এর রোগী, কিডনির রোগী, ডায়বেটিস ও হাই প্রেসারের রোগী অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • জলাতঙ্ক কি? কেনো হয়?কুকুর বা বিড়ালের কামড়ালে কি কি করনীয়?

    জলাতঙ্ক কি? কেনো হয়?কুকুর বা বিড়ালের কামড়ালে কি কি করনীয়?

    জলাতঙ্ক মস্তিষ্কের এমন একটি গুরুতর অসুখ, যেখানে মৃত্যুর হার অনেক বেশি……

    পৃথিবীতে খুব কম রোগ ই আছে,

    যা হলে মৃত্যু অনিবার্য তথা ১০০% মৃত্যু

    র‍্যাবিস হলো তারমধ্য অন্যতম,

    অর্থাৎ র‍্যবিস হলে রক্ষা নেই, ১০০% মৃত্যু নিশ্চিত…..

    জলাতঙ্ক (Rabies) এর টিকা সম্পর্কে

    জলাতঙ্ক রোগ হয় Rabies virus আক্রান্ত কিছু প্রাণীর কামড় বা আক্রমণে।

    যেসব প্রাণী থেকে জলাতঙ্ক জীবাণু ছড়ায়:

    গৃহপালিত: কুকুর (সবচেয়ে বেশি), বিড়াল

    গৃহ-পরিবেষ্টিত: গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া (হতে পারে রেয়ার কেস)

    জলাতঙ্কের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে-

    কর্কশ কণ্ঠস্বর

    খিটখিটে মেজাজ

    অন্যকে অকারণে কামড় বা আক্রমণের প্রবণতা

    খাবারে অরুচি

    অস্বাভাবিক কথাবার্তা

    উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়ানো

    পানি পিপাসা পেলেও পানি দেখে আতঙ্কিত হওয়া

    আলো বাতাসের সংস্পর্শে এলে ভয় বেড়ে যাওয়া

    মানুষের চোখের আড়ালে, অন্ধকারে, একা থাকতে পছন্দ করেন।

    খিঁচুনি ও মুখে লালা বের হওয়া ইত্যাদি।শেয়াল, বানর, নেকড়ে, বাদুড়, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, বেজি, চিকা, বনবিড়াল ( রেয়ার কেস)

    সুপ্তি কাল:

    ৫ দিন থেকে কয়েক বছর (সাধারণত ২-৩ মাস, ১বছরের উপর খুউব কম ক্ষেত্রেই)।

    প্রি- এক্সপোজার (প্রাণী দ্বারা আক্রমণ না হলেও): Anti-Rabies Vaccine (ARV)

    জলাতঙ্কের জন্য দুই ধরনের টিকা রয়েছে। একধরনের টিকা মাংসপেশিতে (শুধু বাহুতে) এবং অন্যটি চামড়ায় দিতে হয়।

    ১) ইন্ট্রাডারমাল (চামড়ায়): ০.১মিলি/ডোজ ২টি স্থানে দিতে হবে ০, ৭ দিন।

    ২) ইন্ট্রামাসকুলার (মাংসপেশীতে): ১টি ভায়াল (১মিলি ও ০.৫ মিলি হিসাবে পাওয়া যায়) দিতে হবে ০, ৭ দিন।

    পোস্ট এক্সপোজার (প্রাণী দ্বারা আক্রমণ হওয়ার পর):

    জীবাণুর সংস্পর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা:

    ক্যাটাগরি ১: পশু যদি শুধু স্পর্শ করে বা অক্ষত চামড়া স্পর্শ (licking) করে।

    চিকিৎসা: কিছুই করতে হবে না। ত্বক সাবান পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

    ক্যাটাগরি ২: আঁচড়, ছুলে গেছে কিন্তু রক্ত বের হয় নি।

    চিকিৎসা: স্কিন বা চমড়ার যত্ন নেওয়া এবং টিকা নিতে হবে।

    ক্যাটাগরি ৩:

    -চামড়া ভেদ করা কামড়,

    -ছুলে যাওয়া চামড়া কিংবা দেহাভ্যন্তরে লেহন,

    -মুখমণ্ডল বা পিঠে মেরুদণ্ডের কাছাকাছি আঁচড়,

    -মারাত্মক কামড়ে আহত

    -রক্তখেকো বাদুড়ের আঁচড় দিলে

    চিকিৎসা:

    • চামড়ার যত্ন, ক্ষতের চিকিৎসা,

    *টিকা ও

    • ইমিউনোগ্লোবিন ইনজেকশন নেওয়া
    • Anti Tetanus প্রয়োজন হলে

    *Antibiotics প্রয়োজন হলে।

    চামড়ার যত্নে করণীয়-

    • তীব্র পানির ঝাঁপটায় ধুয়ে ফেলুন।
    • সাবান, জীবাণুনাশক ব্যবহার করুন।
    • গভীর ক্ষত হয়ে গেলে আক্রান্ত স্থানে ক্যাটাগরি ৩-এর ব্যবস্থা নিতে হবে।

    চামড়ার যত্নে বর্জনীয়:-

    ক) হাত দিয়ে সরাসরি স্পর্শ করবেন না।

    খ) মাটি, কয়লা, তেল, চক লাগাবেন না।

    গ) সেলাই, বৈদ্যুতিক কটারি (পুড়িয়ে দেওয়া) করবেন না।

    ঘ) টিকা ও ইমিউনোগ্লোবিন একই সিরিঞ্জে দেওয়া যাবে না। ইমিউনোগ্লোবিন দেওয়ার আগে ত্বক পরীক্ষা (স্কিন টেস্ট) করে নেওয়া উচিত।

    টিকা এবং ডোজ:

    আগে কিংবা গত পাঁচ বছরে টিকা দেওয়া হয়নি, এমন ব্যক্তি বা শিশুর জন্য ডোজ:

    ০, ৩, ৭, ১৪ ও ২৮ তম দিন। (মোট ৫টি)

    ইন্ট্রাডারমাল টিকার জন্য:

    দুই বাহুতে ২টি টিকা এবং ০, ৩ ও ৭ম দিনে।

    • পশু আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে অন্তত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই টিকা নিয়ে নেওয়া উচিত।
    • শুধু গৃহপালিত কুকুর ও বিড়ালের কামড়ের পর যদি সেই প্রাণী পরবর্তী ১০ দিন সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে, তবে ১৪ ও ২৮তম দিনের টিকা না দিলেও হবে।

    জলাতঙ্ক মস্তিষ্কের এমন একটি গুরুতর অসুখ, যেখানে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।

    কোনো রকম সন্দেহ থাকলেও ভয়াবহতা বিবেচনা করে টিকা নিয়ে নেওয়াই উত্তম

    Dr. Rezbaul Hasan royal

  • Miliaria বা ঘামাচি কি? কেনো হয়? প্রতিকার কি….?

    Miliaria বা ঘামাচি কি? কেনো হয়? প্রতিকার কি….?

    Miliaria বা ঘামাচি কি? কেনো হয়? প্রতিকার কি….?

    𝐌𝐢𝐥𝐢𝐫𝐢𝐚 বা ঘামাচি হল একধরণের চর্মরোগ……

    আমাদের ঘাম গ্রন্থির মুখ যখন ময়লা ও ব্যাক্টেরিয়ার জন্য বন্ধ হয়ে যায়,তখন আমাদের রেচনতন্ত্র ঠিকমত কাজ করতে পারে না এর ফলে ঘাম দেহ থেকে বের হতে পারে না।

    কারন ত্বকের মৃতজীবি কোষ এবং ব্যাক্টেরিয়া (𝐒𝐭𝐚𝐩𝐡𝐲𝐥𝐨𝐜𝐨𝐜𝐜𝐮𝐬 𝐞𝐩𝐢𝐝𝐞𝐫𝐦𝐢𝐝𝐢s) ত্বকের লোমকূপের সঙ্গে লুকিয়ে থাকা ঘামগ্রন্থির মুখ বন্ধ করে দেয়।

    ফলে ঘাম গ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে লাল ফুসকুড়ি বা দানার আকারে ফুলে ওঠে এবং 𝐌𝐢𝐥𝐢𝐚𝐫𝐢𝐚 বা ঘামাচি তৈরি হয়।

    ঘামাচি হলে চুলকানির পাশাপাশি জ্বালাপোড়া করতে পারে।

    ->বড়দের বেলায় ত্বকের যে সব স্থানে ভাঁজ পড়ে এবং কাপড়ের ঘষা লাগে, যেমন বগল, ঘাড়, কুঁচকি, কাঁধে, বুকে, পেটে, নাভির চারপাশে, পিঠে, হাতে ও রানে, অনেক সময় মুখেও হয়ে থাকে।

    এবং শিশুদের ক্ষেত্রে সবত্রই হতে পারে।

    অতিরিক্ত ঘামাচির ফলে বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে, যেমন Heat Cramping, Heat Syncope, Heat exhaustion এমনকি Heat Stroke ও হতে পারে।

    Heat syncope যেমন… ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়া,মাথা ব্যাথা, বমিবমি ভাব, অবসাদ, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া ও তন্দ্রাহীন জটিলতা দেখা যেতে পারে।

    কারন হল দেহের রেচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে, দেহের বিষাক্ত ক্ষরিত পদার্থ 𝐬𝐰𝐞𝐚𝐭𝐢𝐧𝐠 𝐠𝐥𝐚𝐧𝐝 বন্ধ হওয়ার জন্য বের হতে পারবে না।

    𝐌𝐢𝐥𝐢𝐚𝐫𝐢𝐚 𝐂𝐫𝐲𝐬𝐭𝐚𝐥𝐥𝐢𝐧𝐞
    𝐌𝐢𝐥𝐢𝐚𝐫𝐢𝐚 𝐑𝐮𝐛𝐫𝐚
    𝐌𝐢𝐥𝐢𝐚𝐫𝐢𝐚 𝐩𝐫𝐨𝐟𝐮𝐧𝐝𝐚

    এরকম বিভিন্ন প্রকারভেদ লক্ষনীয়।

    ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকেই জেনে না বুঝে বিভিন্ন রকম টেলকম পাউডার ব্যবহার করেন।

    সেক্ষেত্রে হিতেহীতে বিপরীত হওয়ার সম্ভবনা বেশি, ত্বকের মারাত্নক ক্ষতি হতে পারে।

    ঘামাচি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য
    𝐂𝐚𝐥𝐚𝐦𝐢𝐧𝐞 𝐋𝐨𝐭𝐢𝐨𝐧
    আক্রান্ত স্থানে লাগাবেন দিনে ২-৩ বার ৭-১০ দিন লাগানো যেতে পারে…এটা আপনাকে সুথিং ইফেক্ট দিবে।

    𝐬𝐞𝐯𝐞𝐫𝐞 𝐜𝐨𝐧𝐝𝐢𝐭𝐢𝐨𝐧 এ 𝐥𝐨𝐰 -mid 𝐩𝐨𝐭𝐞𝐧𝐜𝐲 𝐭𝐨𝐩𝐢𝐜𝐚𝐥 𝐬𝐭𝐞𝐫𝐨𝐢𝐝 ক্রিম লাগতে পারে তাই Dermatologist বা স্কিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।

    চুলকানি থাকলে, এন্টিহিস্টামিন যেমন Fexofenadine বা Rupatidine জাতীয় ওষুধ নিতে পারেন।

    প্রতিকার……
    ->নরম ও সফট কাপড় পরিধান কর।

    ->রৌদ্রের কম যাওয়া।

    ->ঠান্ডা পানি দিয়ে নিয়মিত গোসল।
    -> ডাস্টি পরিবেশ, গার্মেন্টস, ফ্যাক্টরি, ইট ভাংগা মেশিন সহ এরকম পরিবেশ এড়িয়ে চলতে হবে।
    ->ধুলা বালি ও ময়লা এভায়েড করা।
    ->বিভিন্ন প্রকার জিনিস দিয়ে শরীর চুলকানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

    বেনামী টেলকম পাউডার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা শরীরের জন্য উপকারী।

    Dr. Rezbaul Hasan royal

  • হার্ট অ্যাটাক হলে কিভাবে বুঝবেন এবং কি করবেন?

    হার্ট অ্যাটাক হলে কিভাবে বুঝবেন এবং কি করবেন?

    হার্ট অ্যাটাক হলে কিভাবে বুঝবেন এবং কি করবেন?

    বুকের বাম পাশে আমাদের সকলের একটা মূল্যবান অর্গান থাকে, তা হলো, আমাদের হার্ট। ৩০০গ্রাম ওজনের এই অর্গানটি প্রতি মিনিটে ৭২ টা বিটস্ দেয়। অর্থাৎ আগামী ২৪ ঘন্টায় আপনার হার্ট ১ লক্ষবার বিটস্ দিবে। একটাবার চিন্তা করে দেখুন, এই মূল্যবান হার্ট টি যদি একটু রেস্ট নিতে চায় তাহলে….আপনি কিন্তু শেষ! :'(

    কোনো সমস্যা বোধ করছেন না, বুকে ব্যথা করে না কখনো, অনেক পরিশ্রমও করতে পারেন, তার মানে কোনো দিন হার্ট অ্যাটাক হবে না—এমন মনে করার কোনো কারণ নেই। তবে ঝুঁকি কতটুকু আছে, তা জেনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে অকালমৃত্যু বা কঠিন পরিণতি এড়ানো যায়। তাই ৪০ এর পর…প্রতি ৬ মাসে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

    নিম্নোক্ত সমস্যা গুলো দেখা দিলে কোনো অবহেলা নয়……সাথে সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে….

    -> বুকের মধ্যে চাপ বোধ হওয়া, যা কয়েক মিনিটের বেশি সময় ধরে থাকে। ব্যথাটা মাঝেমধ্যে চলে যায়, আবার ফিরে আসে। একটা অস্বস্তিকর চাপ ও ঝাঁকুনি অনুভূত হয়।

    -> বাহু, পিঠ, ঘাড়, চোয়াল অথবা পাকস্থলীতেও অস্বস্তি অনুভূত হয়। ব্যাথা হওয়া।

    -> অনেক সময় বুকে অস্বস্তির সঙ্গে সঙ্গে শ্বাস ছোট হয়ে আসে।

    ->ঘাম দিয়ে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব বা হালকা মাথাব্যথা, পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা হতে পারে।

    এছাড়াও, ডায়াবেটিস এর রোগী, চেইন স্মোকার, ইমোশনাল স্ট্রেস( হঠাৎ করে কাছে আত্নীয়ের মৃত্যু), মানসিক চাপ, অতিরিক্ত খাবার খাওয়া…..ইত্যাদি থাকলে এবঙ উপরের সিম্পটম গুলো থাকলে….দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

    হাসপাতালে আসতে হবে গোল্ডেন আওয়ারে……..

    হার্ট অ্যাটাকের পর প্রথম এক ঘণ্টা হলো গোল্ডেন আওয়ার, অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসকের জরুরি চিকিৎসা নিতে পারলে রোগীর প্রাণ রক্ষা প্রায় নিশ্চিত করা সম্ভব।

    এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে বুঝব হার্ট অ্যাটাক, না গ্যাসের কারণে বুকব্যথা? এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে অনেক সময় চলে যায়। বুকে ব্যথা চরমে উঠলে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়।

    হাসপাতালে নেওয়া আগে…..উপরোক্ত রিস্ক ফ্যাক্টর ও সিম্পল গুলো থাকলে….রোগীকে…

    Tab. Aspirin 75mg এর ৪(চার) টা ট্যাবলেট + Tab. Clopidogrel 75mg এর ৪(চার) টা ট্যাবলেট সাথে সাথে খাওয়ানো যেতে পারে। এই দুটি ট্যাবলেট কম্বিনেশন হিসেবে Clopis As, Lopirel plus, Anclog plus, plagrin plus (75+75)mg পাওয়া যায়…..যা ৪ টা খাওয়ালেই হবে…..এবং সাথে…. Nitroglycerin ( GTN, Anril, Nidocard) spray জিহ্বার নিচে…২ চাপ দিয়ে দিলে রোগী আরাম পাবেন এবং হাসপাতালে যাওয়ার সময় টুকুতে অনেকটাই মৃত্যুর ঝুঁকি কমে যায়…..

    হাসপাতালে পৌছালে….সাথে সাথে, ECG, Toponin-I ( 4 ঘন্টা পর), CBC, RBS, S. Creatinine(কিডনীর পরীক্ষা…. সহ প্রয়োজন অনুযায়ী এই পরীক্ষা গুলো করে….পরবর্তী ব্যাবস্থা নিবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

    সর্বোপরী সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন…..

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • স্বামী স্ত্রী’র রক্তের গ্রুপ এক না হলে কি সমস্যা হতে পারে…..

    স্বামী স্ত্রী’র রক্তের গ্রুপ এক না হলে কি সমস্যা হতে পারে…..

    স্বামী স্ত্রী’র রক্তের গ্রুপ এক না হলে কি সমস্যা হতে পারে…..

    স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এক না হলে, জেনে রাখুন জরুরী কিছু সতর্ক বার্তা!

    আমরা বিয়ের আগে পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন সংক্রান্ত যাবতীয় খোঁজ খবর নিয়ে থাকি, কিন্তু ভুলে যাই সব চেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাপার স্বামী স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ সংক্রান্ত ব্যাপার টি…….

    স্বামী-স্ত্রীর ব্লাড গ্রুপ কেমন হওয়া উচিত সে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার আগে…
    প্রথমে আমাদের ব্লাড গ্রুপ সম্পর্কে কিছু কথা জানা দরকার। প্রধানত রক্তের গ্রুপকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

    একটা হল………… ABO system (A, B, AB & O)

    আরেকটা হল Rh factor {Rh positive(+ve) & Rh negative(-ve)}. অর্থ্যাৎ
    Rh factor ঠিক করবে ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হবে না নেগেটিভ হবে।

    তাহলে ব্লাড গ্রুপগুলো হলঃ A+ve, A-ve, B+ve, B-ve, AB
    +ve, AB-ve O+ve, O-ve.

    যদি অন্য গ্রুপের ব্লাড কারো শরীরে দেয়া হয় তাহলে কী হবে?

    যখন কোনো Rh নেগেটিভ গ্রুপের ব্যক্তিকে Rh পজেটিভ গ্রুপের ব্লাড দেয়া হয় তখন প্রথমবার সাধারণত কিছু হবে না। কিন্তু এর বিরুদ্ধে রোগীর শরীরে একটি এন্টিবডি তৈরি হবে যার ফলে, যদি রোগী কখনো আবার পজেটিভ ব্লাড নেয় তাহলে তার ব্লাড cell গুলো ভেঙ্গে যাবে, এর কারণে অনেক সমস্যা হতে পারে….. যেমন জ্বর, কিডনি ফেইলিউর, হঠাৎ মৃত্যু ইত্যাদি। এই সমস্যাকে মেডিকেল টার্ম এ বলা হয় ABO incompatibility.

    স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ ও পজেটিভ হতে হবে।

    আর যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হয় তাহলে স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ বা নেগেটিভ যে কোনো একটি হলেই হবে।

    তবে স্বামীর ব্লাডগ্রুপ যদি পজেটিভ হয় তাহলে কোনোভাবেই স্ত্রীর ব্লাডগ্রুপ নেগেটিভ হওয়া চলবে না।

    রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে কোন সমস্যা হয় না। ***

    তবে স্ত্রী যদি নেগেটিভ হয় আর স্বামী যদি পজিটিভ হয় তাহলে ‘লিথাল জিন’ বা ‘মারন জিন’ নামে একটি জিন তৈরি হয় যা পরবর্তীতে জাইগোট তৈরিতে বাঁধা দেয় বা জাইগোট মেরে ফেলে। সে ক্ষেত্রে মৃত বাচ্চার জন্ম হয়।

    যদি স্বামীর ব্লাডগ্রুপ পজেটিভ হয় তাহলে সাধারণত বাচ্চার ব্লাডগ্রুপ ও পজেটিভ হবে। যখন কোনো নেগেটিভ ব্লাডগ্রুপের মা ধারন করবে পজেটিভ Fetus (ভ্রুন) তখন সাধারনত প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু ডেলিভারির সময় পজেটিভ Fetus এর ব্লাড, placental barrier ভেধ করে এবং placental displacement এর সময় মায়ের শরীরে প্রবেশ করবে।

    মায়ের শরীরে ডেলিভারির সময় যে ব্লাড প্রবেশ করবে, তা ডেলিভারি হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই মায়ের শরীরে Rh এন্টিবডি তৈরি করবে। যখন মা দ্বিতীয় সন্তান বহন করবে, তখন যদি তার fetus এর ব্লাডগ্রুপ পুনরায় পজেটিভ হয়। তাহলে মায়ের শরীরে আগে যেই Rh এন্টিবডি তৈরি হয়েছিলো সেটা placental barrier ভেধ করে বাচ্চার শরীরে প্রবেশ করবে। যখন fetus এর শরীরে এই Rh antibody ঢুকবে তখন fetus এর RBC এর সঙ্গে agglutination হবে, যার ফলে RBC ভেঙ্গে যাবে। একে মেডিকেল টার্ম এ “Rh incompatibility” বলে।

    এছাড়াও…..বিয়ের আগে অবশ্যই ছেলে-মেয়ে উভয়ের….আরো কিছু টেস্ট করানো জরুরি…. যেমন,

    Corona (RT-PCR), HBsAg, HIV, সহ বেশ কিছু স্ক্রিনিং টেস্ট অতিব জরুরী…….. 🙂

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • পর্যাপ্ত ঘুমের উপকারীতা ও ঘুমের স্তর…

    পর্যাপ্ত ঘুমের উপকারীতা ও ঘুমের স্তর…

    পর্যাপ্ত ঘুমের উপকারীতা ও ঘুমের স্তর…

    স্বপ্ন সেটা নয় যেটা মানুষ, ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে;
    স্বপ্ন সেটাই যেটা পূরনের প্রত্যাশা, মানুষকে ঘুমাতে দেয় না। ”

    এ পি জে আব্দুল কালাম……….

    মানুষের ঘুমের দুটি স্তর থাকে…..

    Non Rapid eye movement (non-REM)
    Rapid eye movement (REM)
    এই দুটি স্তর cyclically আসে প্রতি 90 minutes পর পর।

    প্রথমে non-REM -> 90 min পর -> REM -> 90 min পর -> non-REM……..

    এই দুটি স্তরের গুরুত্ব সম্পূর্ন আলাদা এবং কোনোটাই একে অপরের পরিপূরক নয়। প্রত্যেকটা মানুষের জন্য দুটো স্তরই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ন।

    non-REM ->

    এই স্তর,
    1st 90 minutes…

    non-REM sleep এর তিনটি stage আছে।

    Stage 1: চোখ বন্ধ থাকে বাট্ অল্প শব্দ হলেই ঘুম ভেঙ্গে যায়।

    Stage 2: এই স্টেজ এ শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়, হার্ট রেট কমে যায় এবং শরীর গভীর একটা ঘুম দেয়ার জন্য তৈরি হয়।

    Stage 3: এটাই হলো deep sleep stage. এই সময় যদি কেউ জোর করে ডেকে তুলে দেয় তবে বুক ধড়ফড় করে, মাথা ব্যাথা করে এবং কিছু সময়ের জন্য disoriented ফিল কর।

    এই সময় শরীর tissue গুলো repair হয়, bone and muscle build হয় এবং immune system শক্তিশালী হয়।

    এছাড়াও non-REM স্তরটি তে….. কেউ স্বপ্ন দেখে না। Growth hormone release হয়। Steroid Hormone secretion বেড়ে যায়।

    বিশেষ করে শিশুদের জন্য এই স্তরটির গুরুত্ব অনেক বেশি। আর কেউ ঘুমালে কম করে হলেও ১ম ৯০ মিনিট তাকে ডিস্টার্ব করা ঠিক না।

    এবার আসি…..REM sleep এর ক্ষেত্রে….

    এই সময় ব্লাড প্রেসার ও pulse কিছুটা বেড়ে যায়। মানুষ এই সময় স্বপ্ন দেখে। এই স্তরটিতে muscles Relax থাকে…..এমনকি muscles প্রায় temporary paralysis এর মতো হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন স্বপ্নের কারনে ইনজুরি এজন্যই হয় না। যেমন দৌড়ানো, গাছ থেকে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি…..

    এই সময় ব্রেইন প্রায় জেগে থাকার মতোই active থাকে।

    REM আমাদের learning, memory, and mood activity রিমডিউল করে।
    শিশুদের ব্রেইন ডেভলোপ করে। কেউ যদি এই REM স্তরটিতে যেতে না পারে মানে Insomnia হয় তবে তার
    physical and mental health এ প্রোবলেম হতে পারে। এমনি কি তার স্মৃতিশক্তিও কমে যায়।

    এছাড়াও REM -sleep না হওয়ার কারনে……
    পড়া মুখস্ত করার ক্ষমতা কমে যায় এবং
    Migraines, Overweight এ ভূমিকা রাখে। শিশুদের জন্য এটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্লিপ স্তর…….


    Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • চুল ঝড়ে পড়ার কারণ ও প্রতিকার…..

    চুল ঝড়ে পড়ার কারণ ও প্রতিকার…..

    চুল ঝড়ে পড়ার কারণ ও প্রতিকার

    যে চলে যাবার সে যাবেই তাকে শত চেস্টা করেও বেঁধে রাখা যাবে না….
    প্রতিদিন গড়ে ৫০-১০০ টা চুল ঝরে পড়া স্বাভাবিক।
    কিন্তু এর চেয়ে বেশি গেলে অস্বাভাবিক।
    চুল পড়ার কারণ ঃ

    জেনেটিক
    মানসিক দু:চিন্তা
    অনিদ্রা
    অনিয়মিত মাসিক
    ডায়াবেটিস, হরমোনাল ডিজিজ
    গোসলের পানি আয়রণ ও লবণাক্ত থাকলে
    ভিটামিন #ডিফেসিয়েন্সী থাকলে
    অতিরিক্ত ফাস্টফুড খেলে
    পানি কম পান করলে
    ক্রনিক ডিজিস(ক্যান্সার, এইচ আইভি,টিবি)
    মেডিকেশন ( ক্যান্সারের চিকিৎসা)
    ড্যান্ড্রাফ্ট ও অন্যান্য ফাংগাল ইনফেকশন
    আরো অনেক কারণ রয়েছে চুল পড়ার।

    প্রতিকার কি?
    প্রচুর #এন্টিওক্সিডেন্ট সমৃদ্ধি ফুড খাওয়া…
    আর ভিটামিন ই,বি,সি, #বিটাকেরোটিন,জিংক সাপ্লিমেন্টারী খাওয়া যেতে পারে লং টাইম।

    আর পৃথিবীতে একমাত্র আবিস্কৃত
    চুলপড়ার পড়ার ট্রপিক্যাল,

    Minoxidil
    নিয়মিত সকাল ও বিকাল ৬ মাস ব্যবহার,
    ভাল মানের এন্টিড্যাড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহার,
    পর্যাপ্ত ঘুমানো ও প্রচুর ফলমুল খাওয়া প্রয়োজন,
    পানি কম্পপক্ষে ২-৩ লিটার পান করা প্রয়োজন।
    ধন্যবাদ


    Dr. Rezbaul Hasan Royal

Verified by MonsterInsights