Category: Health Tips

Explore practical health tips, the latest medical news, and expert wellness advice to help you maintain a balanced and healthy lifestyle every day.

  • Gout বা গেঁটেবাত সম্পর্কে A টু Z..

    Gout বা গেঁটেবাত সম্পর্কে A টু Z..

    আজকে কথা বলবো….

    Gout বা গেঁটেবাত সম্পর্কে A টু Z

    Gout হলো… Inflammation of a joint.

    মেইনলি, 1st metatarsophalangeal join (পায়ের বুড়ো আঙুলের জয়েন্ট) এ বেশি হয়।

    এছাড়াও অন্যান্য জয়েন্টও হতে পারে…. যেমন, কনুই, কব্জি, হাটু, হাতের ছোট ছোট জয়েন্ট গুলোতে হতে পারে।

    জয়েন্ট এ মুলতো, Synovial Fluid থাকে। এই Fluid এ Uric acid crystal (Monosodium urate crystals) জমে এবং Inflammation করে….

    Redness, Hotness, Swelling, Tenderness অর্থাৎ জয়েন্ট লাল হবে, ব্যাথা থাকবে, গরম হবে এবং ফুলে যাবে।

    এখন, এই Uric acid crystal জিনিস টা কি?

    Blood এ Uric acid তৈরি হলে তা আয়োনাইজড্ হয় এবং Na+ এর সাথে যুক্ত হয়ে Monosodium urate crystals তৈরি করে।

    এটি সুচের মতো (Sharp needle like) Sharp and severe pain তৈরি করে।

    এখন আসি,

    Uric acid কেনো বেড়ে যায় আর কিভাবে Crystal তৈরি করে…?

    আমরা জানি মানুষের Body লক্ষ কোটি কোষ দিয়ে তৈরি, প্রতিটি কোষে DNA থাকে যা একটি Nucleic Acid (নিউক্লিক এসিড) Nitrogenous base দিয়ে তৈরি।

    এই DNA তে পিউরিন এবং পাইরিমিডিন থাকে।

    পিউরিন যেমন…. এডেনিন (Adenine), গুয়ানিন (Guanine)

    পাইরিমিডিন যেমন…. Cytosine, Thymine and Uracil

    এগুলো Nitrogen containing Organic molecules যা Building blocks of DNA হিসেবে কাজ করে।

    Normally আমাদের কোন কোষ নষ্ট হলে DNA ও ভেঙে যায়, তখন পিউরিন এবং পাইরিমিডিন বের হয়।

    এই পিউরিন গুলো তখন Convert হয়ে Uric acid তৈরি করে। এই Uric acid, নরমাল PH (7.4) এ প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয় যায়।

    যদি Uric acid বেড়ে যায় তখন শরীরের PH কিছুটা কমে যায় এবং Uric acid একটি প্রোটন ছেড়ে দিয়ে নেগেটিভ Urate আয়নে পরিণত হয় (কারন,

    Uric acid একটি Diprotic weak acid যা সহজেই proton donate করে) ।

    তখন নেগেটিভ Urate আয়ন পজিটিভ Na+ আয়নের সাথে যুক্ত হয়ে Monosodium urate crystals তৈরি করে এবং জয়েন্ট এ, জয়েন্ট বসে গেঁটে বাত তথা Gout তৈরি করে।

    Uric Acid কখন বাড়ে?

    ১। Uric acid জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহণ করলে….

    যেমন, লাল মাংস(গরু, খাসি, শূকর), Shelfish, চিংড়ি, কলিজা, কিডনি, বাঁধা কপি, ফুলকপি, মটর দানা, কাঁকড়া,

    চিংড়ি এবং কিছু ডাল ইত্যাদি উচ্চ প্রোটিন ও পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি গ্রহণ করলে Uric acid বাড়ে।

    ২। প্রস্রাবের মাধ্যমে Uric acid শরীর থেকে Clear না হলে….

    যেমন, Dehydration (পানিশূন্যতা)

    ডায়রিয়া, পানি কম খাওয়া ইত্যাদি

    – কিডনি রোগ (CKD)

    ৩। শরীরে Uric acid productions বেড়ে যাওয়া….

    ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ জুস খাওয়া, Obesity, Diabetes, Psoriasis, Genetic cause,

    Chemotherapy (Cancer রোগীদের দেয়া হয়, এতে Cell damage হয় এবং DNA Breakdown হয়ে পিউরিন বেশি তৈরি হয়)

    কিছু ওষুধের সাইড ইফেক্ট…. যেমন, Thiazide (Diuretics), Aspirin

    এগুলো Uric acid বাড়ায়।

    Symptoms বা এই রোগের লক্ষণ গুলো কি কি?

    Acute এবং Chronic দুটি ভাবে আলোচনা করি…

    Acute:

    পায়ের বুড়ো আঙুলে Joint (1st metatarsophalangeal joint) এ বেশি হয়।

    প্রচন্ড ব্যাথা, সূচালো কিছু জয়েন্ট এর ভেতর খোঁচা দিচ্ছে এমন, হাটতে পারবে না,

    ২-৬ ঘন্টার মতো সময়ের মধ্যে এরকম প্রচন্ড ব্যাথা হলে Acute Gout হিসেবে পরীক্ষা নীরিক্ষা ও চিকিৎসা চালু করতে হয়।

    রোগীর ভাষায়…. জীবনে কখনো তার এতো ব্যাথা হয়নি।

    Chronic:

    Acute থেকে Chronicity develop করে….

    Chronic হলে, Arthritis এমনকি টিস্যু Damage ও করতে পারে।

    Chronic Gout এ Tophi তৈরি হয় যা Hard Visible deposition of Uric Acid Crystals টিস্যু বা জয়েন্ট এ বসে যায় ও Damage করে।

    এছাড়াও, Renal stone (কিডনীতে পাথর), Urate Nephropathy (কিডনির নেফ্রন এ Uric acid জমে রোগ সৃষ্টি করে)

    Investigation (পরীক্ষা নীরিক্ষা) ….

    CBC with ESR

    (ESR বেড়ে যাবে)

    CRP (বেড়ে যাবে)

    S. uric acid (বেড়ে যাবে, Acute attack এ Normal ও থাকতে পারে)

    S. Creatinine (কিডনির রোগ দেখার জন্য)

    Confirmation Test

    Joint fluid aspiration and study

    জয়েন্ট থেকে ফ্লুইড বের করে পরীক্ষা করলে Needle like shape crystals পাওয়া গেলে কনফার্ম করা যায়।

    Treatment(চিকিৎসা)

    Must be…. MBBS ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।

    Acute এ ব্যাথা নাশক ওষুধ দিতে হবে, যাদের পেটে Ulcer আছে তাদের ব্যাথা নাশক ওষুধ দেয়া যাবে না তখন Colchicine দিতে হবে।

    যাদের কিডনি তে সমস্যা আছে তাদের ব্যাথা নাশক ওষুধ বা Colchicine দেয়া যাবে না…. তাদের Steroid দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।

    এই Steroid আবার ওজন, বয়স ভেদে বিভিন্ন মাত্রার বিভিন্ন ডোজে দিতে হয়। সাইড ইফেক্ট চিন্তা করে কতোদিন চালবে,  কবে বন্ধ করবে এটা একজন ডাক্তার নির্ধারণ করবেন।

    Chronic এর ক্ষেত্রে……

    Allopurinol or Febuxostat দেয়া হয়….

    উপদেশ…. যেসব খাবার Uric acid বাড়ায় সেগুলো কম খেতে হবে। উপরে উল্লেখ্য অনুযায়ী……

    ধন্যবাদ

    Dr. Rezbaul Hasan (Royal)

    MBBS (RU), MPH(Epidemiology),

    MCGP, PGT(Medicine),

     DOC(Skin and VD)

  • Ichthyosis Vulgaris..খসখসে,শুষ্ক ত্বক..

    Ichthyosis Vulgaris..খসখসে,শুষ্ক ত্বক..

    ……. Ichthyosis Vulgaris……..

    এটি একটি Genetic স্কিন ডিজঅর্ডার, যেখানে… শুষ্ক ও খসখসে মাছের আঁশের মতো ত্বক দেখা যায়।

    ছবিটি খেয়াল করলেই দেখবেন, এইরকম সমস্যার মানুষ নেহায়েত কম নয়। অনুমান করা হয় প্রতি ২৫০ জনে ১ জনের এই সমস্যা টি আছে।

    এটি একটি জেনেটিক রোগ। মানে, বংশগত।

    গ্রীক শব্দ Ichthys and Vulgaris দুটি শব্দে গঠিত যার গ্রীক অর্থ যথাক্রমে হলো Fish and সাধারণ।
    রোগটি যেহেতু জেনেটিক তাই ছোট বেলাতেই প্রকাশ পায়।

    আপনারা হয়তো খেয়াল করে দেখবেন…..মসজিদ কিংবা বাজারে এই রকম কিছু রোগী ভিক্ষা করে….
    আসলে এটি কোনো বড় রোগ নয় বা এটি ডিজেবল ও করে না।

    কারণ…..কি?

    আমাদের শরীরে Filaggrin (FLG) নামক একটি gene থাকে।

    এই জীনের কোডিং থেকে Filaggrin protein তৈরি হয় যা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিন ব্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে বা একটি সুরক্ষা স্তর গঠন করে।

    এটি Dehydration Prevent করে। ফলে ত্বকের কোষ গুলো কে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

    যাদের এই Filaggrin gene এর মিউটেশন ঘটে তাদের Filaggrin প্রোটিন এর অভাব দেখা দেয়, ফলে ত্বক শুষ্ক, খসখসে ও আঁশযুক্ত ও ভঙ্গুর হয়ে যায়।

    Filaggrin কমে গেলে Skin Barrier Function কমে যায় ফলে Water retention কমে গিয়ে শুষ্ক ত্বক শীতকালে,

    যেমন পুকুর বা নদীর তলদেশে পানি শুকিয়ে যায়ার পর ফাটল ধরে সেইরকম হয়।

    এতে খুসকির মতো Scale তৈরি হতে পারে, চুলকানি ও Eczema হওয়ার ও চান্স থাকে। পাশাপাশি স্কিন Infection এর চান্স বেড়ে যায়।

    এই রোগটি Autosomal Dominant pattern এর মানে হলো, মা কিংবা বাবা র যেকোনো একজনের এই রোগটি থাকলে সন্তানের হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% থাকে।

    লক্ষণ……..

    শুষ্ক, সাদা-ধূসর মাছের আঁশের মতো স্কিন বাহু বা পা এর সামনের অংশে বেশি দেখা যায়। পেটে দিকেও দেখা যায়।

    হাতের তালু পায়ের তালু ও মুখে সাধারণত দেখা দেয় না। শীতের সময় সাধারণ মানুষের স্কিন খসখসে হয়ে যায়,

    তাহলে Ichthyosis Vulgaris রোগীর ত্বকের অবস্থা কেমন হবে, সহজেই অনুমেয়।

    শীতের মৌসুমে বাতাসে আদ্রতা কম থাকে, ফলে আমাদের স্কিন, ঠোঁট থেকে পানি বের হয় জন্য ত্বক শুষ্ক হয়।

    গরমকালে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম অস্বস্তিকর থাকে এই রোগী।

    মনে রাখা জরুরী…. এটি Contagious বা ছোঁয়াচে রোগ নয়। তাই….একজনের থেকে আর একজনের হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।

    Treatment (চিকিৎসা)……

    যেহেতু রোগটি জেনেটিক, তাই এটি কখনোই ভালো হবে না। ত্বক কে হাইড্রেড করে রাখতে বেশি বেশি পানি পান করা।

    Moisturizer ব্যবহার করতে হবে। যেমন, যেকোন, লোশন, পেট্রোলিয়াম জেলি, ইউরিয়া, ল্যাক্টিক এসিড।

    Salicylic acid সমৃদ্ধ লোশন গুলো ত্বকের আঁশ ভাব দূর করতে সাহায্য করে…..

    এছাড়াও Dermatologist এর পরামর্শে থাকা উচিত।

    ধন্যবাদ……..

    Dr. Rezbaul Hasan Royal
    MBBD, MPH(Epidemiology)
    MCGP, PGT(Medicine)
    DOC (Skin and VD)

  • আজ ভালোবাসার এক অতুলনীয় গল্প শোনাবো….

    আজ ভালোবাসার এক অতুলনীয় গল্প শোনাবো….

    আজ ভালোবাসার এক অতুলনীয় গল্প শোনাবো….

    ওয়াইফ অসুস্থ দীর্ঘদিন ধরে।

    দুটো কিডনী তার বিকল হয়েছে।

    প্রায় দৌড়ান হাসপাতালে। ৭/৮ বছর পর যখন আর
    কোনোভাবেই কাজ হচ্ছিলো না, তখন, নিজের একটা কিডনী দিয়ে দিলেন স্ত্রী কে…….।

    জীবনের শুরুটা করেছিলেন অনেক কষ্টে, সারাজীবন তাঁর স্ত্রী তাঁকে সহযোগিতা করেছেন পাশে থেকে….। খুব ছোট বেলায় তাদের বিয়ে হয়। চার সন্তানের জনক-জননী তারা।

    বিবাহিত জীবনের ৪৫ বছর হতে চলেছে, তাঁদের। এই দীর্ঘ সময়, কখনো খেয়ে, কখনো বা না খেয়ে কেটেছে দিনগুলো। কিন্তু, ভালোবাসার কমতি ছিলো না, কখনো।

    বৃদ্ধ চাচা-চাচী ফোকলা দাঁতে, হেসে দিয়ে বলেন…..মানুষ, খেয়ে মরে, না খেয়ে মনে না!

    আর ভালোবাসা না থাকলে তো, জীবনটাই বৃথা। তাঁরা ভালোবাসার স্বাদ পেয়েছেন।

    ক’জনে বা পায়?

    আজকাল তো, বিয়ের পর ৪/৫ বছরও একিছাদের নিচে থাকে না, মানুষ। ঝগড়াঝাঁটি, মারামারি, কাটাকাটি করে…..জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্তটি নিয়ে আলাদা হয়ে যায়…।

    তারপর শুরু হয় জীবনের নতুন অধ্যায়…. তখন, বুঝতে পারে, কি ভুলটাই না করেছেন তারা!

    এই চাচা-চাচী ৪৫ বছর কাটিয়েছেন একসাথে, একটাবারের জন্যও স্বামীকে অবজ্ঞা, অবহেলা করেন নি, একদিনের জন্যও কষ্ট দিয়ে কথা বলেন নি। আজ তাইতো, তাঁর জীবনের কঠিন মুহূর্তে স্বামী নিজের সবচেয়ে মূল্যবান অর্গান দিয়ে স্ত্রী কে সুস্থ করলেন।

    একটি কিডনি দান করলেন। বাঁচলে দুজন একসাথে, মরলে দুজন একসাথে।

    এইরকম স্ত্রীর জন্য এইটুকু তো অবশ্যই প্রাপ্য তাই না বলেন?

    তাঁদের ভালোবাসার গল্প আজ পুরো হসপিটালের মুখে মুখে।

    এরকম আরো অনেক গল্পের স্বাক্ষী হয়ে যাই আমরা।

    চাচীর কিছু হলেই, চাচা হাতদুটো ধরে সান্ত্বনা দেয়, মাথা টিপে দেয়, সারাজীবন পাশে থাকার অঙ্গীকার করে বার বার…..ওদের মা-বাবা, দাদা-দাদী, দু বংসের কেউ বেঁচে নেই। সন্তানরাও যে যাকে নিয়ে ব্যাস্ত। কিন্তু ওরা দুজন দুজনের।

    জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ওরা উপভোগ করেছে। ভালোবাসার স্বাদ নিয়েছে।

    শুনেছি, স্বামী সন্তুষ্ট থাকলে নাকি স্ত্রী জান্নাতি হয়। আর মহানবী (স:) বলেছেন, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম সেই উত্তম পুরুষ।

    ……….আল্লাহ তাদের দুজন কে এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের শেষে, আখিরাতে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান করুন। আমিন।

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • শান্তিমতো ঘুমানোর একটা টিপস্ দিচ্ছি….

    শান্তিমতো ঘুমানোর একটা টিপস্ দিচ্ছি….

    যার চ্যাট্ লিস্টে যতোবেশি সবুজ বাতি তার কথা বলার মানুষ ততোই কম থাকে………

    ঘুমানোই ভালো।

    শান্তিমতো ঘুমানোর একটা টিপস্ দিচ্ছি….

    আপনার সেন্সরি নার্ভ গুলোকে স্থির রাখুন! বিশেষ করে যে গুলো স্পেশাল সেন্স ব্রেইন এ ক্যারি করে।

    বুঝলেন না????

    ওকে! বলছি!

    স্বাদ, শব্দ, ঘ্রাণ ও দর্শন থেকে বিরতো থাকুন।

    আর দোয়া পড়ে ডান কাত্ হয়ে শুয়ে পড়ুন।

    বাম পাশে হার্ট থাকে তাই বাম কাত হয়ে শুয়ে পড়লে হার্ট এ প্রেশার পড়ে ফলে হার্টের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

    সুন্নাহ্ মেনে সুস্থ থাকুন প্রতিদিন। শুভ রাত্রি…

    Dr. Rezbaul Hasan

  • ডেঙ্গু নাকি চিকনগুনিয়া? কোনটি বেশি খারাপ? কি কি করনীয়?

    ডেঙ্গু নাকি চিকনগুনিয়া? কোনটি বেশি খারাপ? কি কি করনীয়?

    বর্তমানে হাইগ্রেড জ্বর সাথে শরীর ব্যাথা ও জয়েন্ট ব্যাথা হচ্ছে। আর শরীরে Rash দেখা দিচ্ছে।

    আচ্ছা একটা কি Dengue জ্বর নাকি Chikungunya?

    তার আগে জেনে নিই…..

    Dengue এবং Chikungunya দুটোই ভাইরাস দিয়ে হয়। আর এই ভাইরাসটির একমাত্র বাহক বা ভেক্টর হলো… এডিস মশা।

    এডিস মশা মূলত একটি অভিজাত শ্রেনীর মশা। এটি নতুন ও পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়তে পছন্দ করে। আজকাল প্রায়ই, বৃষ্টি হচ্ছে আবার কিছুদিন খরা হচ্ছে আবার বৃষ্টি হচ্ছে।

    এই রকম বৃষ্টির ধরণ খুবই খারাপ। কেননা এতে করে এডিস মশা বেশি বেশি বিস্তার লাভ করে। একটানা বৃষ্টি হলে এডিস মশা ডিম পাড়লেও সব ধুয়ে চলে যেতো, কিন্তু ব্রেক দিয়ে বৃষ্টির জন্য…

    এডিস মশা সুন্দর করে বেশি বেশি বংশের বাতি জ্বালিয়ে বিস্তার লাভ করছে আর Dengue এবং Chikungunya ছড়িয়ে দিচ্ছে।

    Chikungunya
    জ্বর, শরীর ব্যাথা, জয়েন্ট পেইন, বিশেষ করে Knee joint pain এবং জ্বর কমে গেলেই শরীরে Rash দেখা দিচ্ছে এটা Chikungunya র লক্ষণ।

    বর্তমানে ঢাকা শহরে Viral Fever বিশেষ করে Degue এবং Chikungunya মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে।

    কারণ, Dengue এবং Chikungunya একসাথে একি মশা থেকে ছাড়ায়।

    এর মানে হলো…..ঢাকাসহ যেসব জায়গায় Dengue র প্রবণতা আছে, সেখানে Chikungunya র ও প্রবনতা আছে।

    Dengue তে ১ম ১-৩ দিন High grade Fever থাকে। Fever এর সাথে Severe Headache( তীব্র মাথা ব্যাথা), Anorexia (খাবারের অরুচি), বমি থাকে।

    অপরদিকে, Chikungunya তেও High grade Fever থাকে, কিন্তু
    Dengue র মতো Severe Headache থাকে না।
    Dengue তে Vomiting থাকে। Chikungunya তে বেশি একটা Vomiting Tendency থাকে না।

    আবার, ডেঙ্গু জ্বর… এ
    ৪র্থ দিন CBC( Complete Blood Count) করলে platelet কমে যায়, তীব্র বমি বমি ভাব থাকে। জ্বর এর ৪র্থ দিন পর থেকে Blood pressure কমে যায়, শরীর দূর্বল হয়ে যায় (Generalised Weakness).

    তবে Knee joint ( হাটু) ব্যাথা তেমন থাকে না। Dengue তে প্ল্যাটিলেট কমে যায় কিন্তু চিকুনগুনিয়াতে platelet তেমন কমে না।

    আবার চিকুনগুনিয়াতে তীব্র জয়েন্ট ব্যাথা যথা হাঁটু (Knee joint pain) ব্যাথা, সব জয়েন্টে ব্যাথা থাকে, তেমন টা Dengue তে তেমন থাকে না।

    তবে কারো, কারো একই সাথে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হতে পারে।

    Chikungunya সন্দেহ হলেও Dengue test করে নিতে হবে। কারণ, Chikungunya অপেক্ষা Dengue বেশি খারাপ।

    ডেঙ্গু exclude করার জন্য
    জ্বরের হিস্ট্রি খুব জরুরী। ৪র্থ দিন পর্যন্ত
    CBC
    Dengue Ns1Ag

    ৫ম দিন থেকে Dengue IgM, IgG পজিটিভ হতে শুরু করে।

    ডেঙ্গু exclude করে, নেগেটিভ আসলে, Chikungunya সন্দেহ হলে, চিকিৎসা শুধু Symptoms অনুযায়ী।

    যেমন, জ্বর ও ব্যাথার জন্য Tab. Napa one দিনে ৩ বার। Rash এ চুলকানী থাকলে, Tab. Fexomin 120mg (1+0+1) সাথে প্রচুর রসালো ফল-মূল, ডাবের পানি, কলা, ডিম, দুধ…প্রয়োজনে, ORS প্রতি প্যাকেট ১/২ লিটার পানিতে গুলিয়ে খেতে হবে। এছাড়া Immunity বুস্টিং করার জন্য Tab. Xinc-B/Bicozin, Multivitamins, Vitamin-D capsule ও নিতে পারেন।
    তীব্র জ্বর কমানোর জন্য নরমাল তাপমাত্রার ট্যাপের পানি দিয়ে গা মুছে ফ্যানের নিচে থাকলে শরীরের তাপ বাষ্পাকারে বের হয়ে যাবে।

    চিকুনগুনিয়া Confirm হওয়ার জন্য সব জায়গায় Investigation available নেই। তাই Dengue exclude করে Chikungunia ডায়াগনোসিস করা হয়।

    আর যদি টেস্ট করার সুযোগ থাকে, তাহলে জ্বরের প্রথম
    ৫ম দিনের মধ্যে

    RT-PCR for Chikungunya

    আর ৫ম দিন পর থেকে
    Chikungunya IgM, IgG টেস্ট করা হয়।

    উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম…..
    Chikungunya তে জ্বরের ৩-৫ দিনের মধ্যে Severe joint পেইন হবে(বিশেষ করে হাটু ব্যাথা) পরে Rash হবে।

    Chikungunya তে যেহেতু প্লেটলেট তেমন কমে না তাই….
    চিকনগুনিয়া তে ব্লিডিং হয় না। কমপ্লিকেশন কম। তবে, জয়েন্টে ব্যাথা টা খুবই Severe হতে পারে।

    বেড রেস্ট ও লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা নিলেই ৭-১০ দিনের মধ্যেই রোগী সুস্থ হয়ে যায়। তবে, ব্যাথা ৩-৪ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।

    এরপর, জ্বর ভালো হয়ে গেলে post viral fatigue syndrome Develop করবে, শরীর অনেক দূর্বল লাগা থাকতে পারে।

    Dengue জ্বরের শুরুতেই চোখের পিছনে ব্যাথা দিয়ে(Retro-Orbital pain), অরুচি, বমি থাকে,
    সাথে ৫ম দিন থেকে রক্তে প্লেটলেট কমতে থাকে। প্রেসার কমতে থাকে। CBC প্রতিদিন করে রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হয়।

    তাই অবশ্যই MBBS ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, ডেঙ্গু রোগী যেকোন সময় খারাপ হতে পারে এমনকি মারাও যেতে পারে।

    ধন্যবাদ

    Dr. Rezbaul Hasan
    MBBS, MPH, MCGP, PGT(Medicine)

  • বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন..

    বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন..

    বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।


    সর্দি-জ্বর, শরীর ম্যাজম্যাজ করা, অরুচি, কাশি, গায়ে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা….বাচ্চা, যুবক, বৃদ্ধ সবাই আক্রান্ত হচ্ছেন। এমন কি একি পরিবারে সবাই আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন প্রায় ২০-২৫ জন রোগী পাচ্ছি যাদের উপরের সমস্যা গুলো আছে। এমনকি নিজেও কিছুদিন ভুগেছি। জুলাই মাসে যার সর্দি-জ্বর, কাশি হয়নি তাকে একপ্রকার রোবট ই বলা চলে…….

    জুলাই আগষ্টে সারা বাংলাদেশে সর্দি জ্বর দেখা যায়, প্রথমে সর্দি, পরে জ্বর…শরীর ব্যাথা তারপর কাশি শুরু….

    এইসব জ্বরের মূল কারণ হচ্ছে ভাইরাস। যেমন Influenza virus, Respiratory synsytial virus ইত্যাদি দিয়ে infection. অর্থাৎ সর্দি যুক্ত জ্বর গুলি সব ভাইরাস জ্বনিত রোগ।

    এছাড়াও প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে, আবার খরা দেখা দিচ্ছে। এতে করে ডেঙ্গু বিস্তার লাভ করছে। উল্লেখ্য যে, এডিস মশা নতুন পানিতে ডিম পাড়তে পছন্দ করে। এই এডিস মশা দিয়ে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, জিকা ভাইরাসের মতো রোগ ছড়ায়…..

    জ্বর আসা মানেই হলো শরীরে জীবাণুর সংক্রমণ। যা ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হচ্ছে। এখন কোনটা ভাইরাল কোনটা ব্যাকটেরিয়াল জ্বর বুঝবো কিভাবে

    ভাইরাস জনিত জ্বর শুরু হয় সর্দি দিয়ে, সাথে শরীর ব্যাথা, অরুচি, স্বাদ ও গন্ধহীনতা থাকে এবং জ্বর অনেক বেশি হয়। ১০২-১০৪° ফারেনহাইট পর্যন্ত হতে পারে।

    অপর দিকে ব্যাকটেরিয়া জনিত জ্বরে সাধারণত সর্দি থাকেনা, ব্যাকটেরিয়া জনিত জ্বরের মধ্যে যেমন, টাইফয়েড, গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস, টিবি, প্রস্রাবের ইনফেকশন…. ইত্যাদি।

    ব্যাকটেরিয়া দিয়ে, জ্বর হলে চিকিৎসার জন্য Antibiotics প্রয়োজন হয়। ভাইরাস দিয়ে জ্বর হলে এন্টিবায়োটিক এর কোন কাজ নাই।

    যে জ্বর সর্দি দিয়ে শুরু হয়, কিংবা জ্বরের সাথে সর্দি থাকে, শরীর ব্যাথা থাকে তা ভাইরাস জ্বর।

    ভাইরাস জ্বর হলে বুঝে নিতে হবে, এইটা ভালো জ্বর। মানে কোন এন্টিবায়োটিক লাগবেনা, জ্বর ৪-৭ দিন থাকতে পারে। ভাইরাস জ্বরে এন্টিবায়োটিক দরকার নেই। এই জ্বর ১০১-২ ডিগ্রি দিয়ে শুরু হয়, এবং বাচ্চাদের ১০৪-৬ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে, ৩-৪ দিন এইভাবে জ্বর উঠানামা করে। এখানে ভয়ের কিছু নাই। এই জ্বর হাজার মেডিসিন দিলেও ৪-৭ দিন থাকবেই।

    এই জ্বর ৪-৭ দিনে ভালো হয়ে গেলে শুরু হয় কাশি, শুকনা কাশী, কাশিতে অনেক কষ্ট হয়, কারো ১৫ দিন, কারো ১ মাস, কারো ২ মাস ও থাকতে পারে।

    ভয়ের কিছু নেই।

    কেবল মনে রাখুন, যে জ্বরে সর্দি কিংবা নাকের পানি পড়ার হিস্ট্রি থাকে, সেই জ্বরে এন্টিবায়োটিক লাগেনা।

    বয়স্করা Tab. Napa one, ৮ ঘন্টা পরপর খাবেন।
    জ্বর ১০২ ডিগ্রির বেশি থাকে, তাহলে সাথে Napa 500 suppository দিবেন, যে বেলায় সাপোজিটরি দিবেন, ওই বেলায় Napa one Tablet বন্ধ থাকবে।

    এছাড়া, নরমাল তাপমাত্রায় ট্যাপের পানি দিয়ে গা মুছে দিয়ে ফ্যানের বাতাসে শুকাতে পারেন। এভাবে বাষ্পাকারে শরীরের তাপমাত্রা কমে যাবে।

    ****মনে রাখবেন, কখনোই ফ্রিজের ঠান্ডা পানি দিয়ে গা মুছে দিবেন না। এসি রুমেও শরীরের তাপমাত্রা কমে না।

    রুম টেম্পারেচা এ নরমাল পানি দিয়ে গা মুছে দিলে তা শরীরের তাপমাত্রা কমায়।

    জ্বরের সাথে প্রচন্ড নাক বন্ধ হয়ে থাকে, যাদের নাক বন্ধ হয়ে থাকে, তারা নাকে Antazol nasal drop দিবেন ১ ফোটা ২ নাকে দিন ২ বার ৫ দিন।

    আর যাদের নাক দিয়ে পানি পড়ে, তারা Fexofenadine 120 mg প্রতিদিন একটা করে খাবেন। নাকের পানি পড়া বন্ধ হওয়া পর্যন্ত।

    বাচ্চদের জন্য Norsol / Nosomist nasal drop ইউজ করবেন। Napa syrup প্রতি কেজিতে ১৫ মিলিগ্রাম করে হিসেব করে দিতে হবে।

    উল্লেখ্য যে, এক চামুচ নাপা সিরাপ এ 120mg থাকে। একচামুচ মানে ৫মিলিগ্রাম। অর্থাৎ ৫মিলি নাপা সিরাপ মানে ১২০মিলিগ্রাম নাপা সিরাপ।

    তাহলে বাচ্চার ওজন ১০ কেজি ওজনের বাবুর জন্য

    ১০×১৫= ১৫০মিলিগ্রাম নাপা সিরাপ পাবে দিনে তিনবার।

    ৫ মিলি তে থাকে ১২০মিলিগ্রাম তাহলে ১০ কেজি ওজনের বাচ্চা পাবে ৬মিলির একটু বেশি মিলি নাপা সিরাপ।

    ৫মিলিতে থাকে ১২০mg
    ১মিলিতে থাকে ২৪mg

    ৬মিলি তে থাকে ১৪৪mg

    বাচ্চা পাবে ১৫০mg

    তার মানে ৬মিলির একটু বেশি দিলেই হবে দিনে ৩ বার।

    আর নরমাল তাপমাত্রার পানি দিয়ে গা মুছে দিতে হবে। (Tapid sponging)

    কাশির জন্য….
    এই ধরণের সর্দিজ্বরের পর প্রচন্ড কাশি শুরু হয়, কাশির বাজারে অনেক সিরাপ পাওয়া যায়, তবে এই ধরণের শুকনো কাশিতে Bukof ভালো কাজ কর।
    সাথে Fexofenadine 120mg।

    সাথে পর্যাপ্ত বেড রেস্ট, রসালো ফলমূল, ORS, ডাবের পানি, কলা, চিড়া পানি ইত্যাদি প্রচুর খেতে হবে।

    আর যদি কোন পেশেন্টের ভাইরাস জ্বর পরবর্তী productive cough শুরু হয়, তাহলে হলে সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়ার infection suspect করা যেতে পারে, তখন prophylactic antibiotics প্রয়োজন হতে পারে। সাথে Smoking হিস্ট্রি, ডায়াবেটিস, প্রেসার, এ্যাজমা থাকলে অবশ্যই MBBS ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

    আবার গলা ব্যাথা হলেও সেকেন্ডারি ইনফেকশন সাসপেক্ট করা হয়। MBBS ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

    এই জ্বরে আরেকটা সমস্যা হচ্ছে জ্বর ভালো হবার পরে পুরো শরীর দূর্বল হয়ে যাওয়া, তাই জ্বর শুরু হবার পরে কিছু ভিটামিন সাপ্লিমেন্টারী শুরু করুন

    Cap.D-rise 40,000IU সপ্তাহে একটা করে৪ সপ্তাহ।
    Tab. Xinc- B ( দূর্বলতা কাটাবে, খাবারের রুচি বাড়াবে)
    1+0+1…..১৫দিন থেকে ১মাস।

    এসবের পাশাপাশি, ডেঙ্গু বা চিকনগুনিয়া এক্সক্লুড করার জন্য……

    জ্বর শুরু প্রথম ৩দিনের মধ্যে

    Dengue NS1Ag
    CBC

    টেস্ট অবশ্যই করে নেয়া উচিত।

    এবং রিস্ক ফ্যাক্টর যেমন…..ডায়াবেটিস, প্রেসার, এ্যাজমা, COPD, Stroke, Heart attack এর হিস্ট্রি সহ অন্যান্য রোগ থাকলে অবশ্যই MBBS ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরী।

    ……ধন্যবাদ

    Dr. Rezbaul Hasan
    MBBS(RU), MPH, MCGP(Medicine &Surgery)
    PGT (Medicine), DOC(Skin & VD)

  • প্রস্রাবের ইনফেকশন (Urinary Tract Infection (UTI)

    প্রস্রাবের ইনফেকশন (Urinary Tract Infection (UTI)

    Urinary Tract Infection (UTI)
    মহিলাদের সবচেয়ে কমন একটি সমস্যা..

    Female দের এই সমস্যা ছেলেদের থেকে বেশি হয়। কারন Female দের urethra ছোট হয় এবং এর অবস্থান vagina ও Anal কাছে থাকে। যেখান থেকে সহজেই জীবানু মুএনালীতে প্রবেশ করতে পারে ও Infection করে।

    UTI এর কারণ….


    -প্রস্রাব আটকে রাখার জন্য।

    -প্রয়োজনে চেয়ে পানি কম খাওয়ার জন্য।

    -রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে যেমনঃ ডায়াবেটিস।

    -অপরিষ্কার পানি ব্যবহার করা।

    -Intercourse এর আগে ও পরে প্রস্রাব না করা।

    -কিডনিতে পাথর।

    -প্রস্রাবের পর ঐস্থান ভালোভাবে ও নিয়মমত পরিস্কার না করা।

    -কোনো কারনে ক্যাথেটার ব্যবহার করলে।

    -পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব।

    -যৌনবাহিত কোনো রোগ থাকলে।

    -আগে একবার হয়েছিল কিন্তুু ঔষধের কোর্স ঠিকমতো
    কম্পিলিট করা হয় নাই। ইত্যাদি…

    Symptoms……


    -প্রসাব এর সময় ; প্রশ্বাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া (Dysuria)

    -প্রসাবের বেগ আসলে; ধরে রাখতে না পারা(Urgency)

    -ঘন ঘন প্রসাব এর চাপ আসা(Urine Frequency)

    -কোমড় থেকে তলপেটে ও ২ পাশে ব্যথা(Lion to grion pain)

    -Urine আটকে থাকা

    -বাজে তিক্ত গন্ধ থাকে অনেক সময়

    -প্রসাবের colur Change হয়ে যায়

    -Nausea & Vomiting

    UTI এর লক্ষন গুলোর মধ্যে এগুলাই most Common….

    এই লক্ষন গুলো দিয়েই মোটামুটি অনেক সময় UTI Diagnosis করা যায়।

    পরীক্ষা….

    -URINE R/M/E করে আমরা Confirm হতে পারি।

    Urine R/M/E তে Pus cell
    Epithelial cell Present থাকে more than Normal.

    প্রতিকার….

    -বেশি বেশি পানি পান করা

    -সহবাসের আগে ও পরে প্রস্রাব করে নেয়া

    -পানি খরচ করার সময় টিস্যু সামনে থেকে পিছনের ডিরেকশন ফলো করা

    -পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা…

    -প্রস্রাব আটকে না রাখা..

    সিম্পটম দেখা দিলে অবশ্যই MBBS ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া

    …..Dr. Rezbaul Hasan

  • সুখের হরমোন সেরোটোনিন……..

    সুখের হরমোন সেরোটোনিন……..

    Serotonin কে সুখের হরমোন নামে অভিহিত করা হয় বা Happy chemical ও বলা হয়।আসলে, এটি একটি Neurotransmitter যা Intestinal Gut (পেটের মধ্যে) থেকে তৈরি হয়।
    (Enterochromaffin Cell (EC) of Gut.

    আমরা যেই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাই যেমন, ডিম, দুধ, মাছ, মাংস ইত্যাদি। এ গুলোতে অত্যাবশকীয় এমাইনো এসিড থাকে, যেমন…..Tryptophan, valine, Lysine Etc….

    এদের মধ্যে ডিম, মাংস, মাছ, ডাল এ প্রচুর পরিমান Tryptophan পাওয়া যায়। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো পেটের মধ্য Intestinal Gut এ গিয়ে Breakdown হয়ে Tryptophan তৈরি করে।

    এই Tryptophan ->Vitamin B1, Vitamin B12, Thiamin, Folic acid, Zinc ইত্যাদির উপস্থিতিতে Serotonin তৈরি হবে। শরীরের মোট serotonin এর ৯০% তৈরি হয় Intestinal Gut এ।

    Serotonin এর উপকারিতা……..

    -> Digestion control করা। Serotonin, Gut wall এর Contraction এর মাধ্যমে স্বাভাবিক peristaltic movement of Gut ঠিক রেখে Bowel habit স্বাভাবিক রাখে।

    -> Serotonin, Nerve signal periphery থেকে Central এ Transmission করে। Brain এর Hypothalamus কে Stimulate করে Serotonin আমাদের শরীরে Mood Stabilizer Chemical হিসাবে কাজ করে এবং আমাদের মানসিক প্রশান্তি নিয়ন্ত্রণ করে। আবেগ অনুভূতিগুলো নিয়ন্ত্রন করে। এর ফলে আমাদের দুঃখ-কষ্টের সময় ভারসাম্যপূর্ণ মানসিক অবস্থা বজায় রাখতে Serotonin, Dopamine এর সাথে মিলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের শরীরে, বাহ্যিক বা সমাজের, পরিবারের, পরিবেশের কারনে…. মানসিক চাপ, মানসিক অবস্থা, ডিপ্রেশন, হতাশা, ইত্যাদি থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য Serotonin অতন্ত্য গুরুত্ব বহন করে।

    Serotonin level কমে গেলে Digestion ভালো হয় না। কারণ serotonin এর প্রধান কাজ সমূহের একটি হচ্ছে Digestion এ হেল্প করা, তাই সেরোটোনিন এর পরিমান কমে গেলে ঠিকমত Digestion হবে না এবং IBS (Irritable bowel Syndrome) দেখা দিবে। এর ফলে ডায়েরিয়া, কোষ্টকাঠিন্ন , পেটে ব্যাথা, পেট মোচড়ানো, এসিডিটির সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই IBS এর চিকিৎসায় Anti depressant medicine ব্যবহার করা হয়, যা মূলত serotonin level বৃদ্ধি করে।

    আমাদের শরীরে আর একটি Hormone আছে যাকে Stress Hormone (Cortisol)বলে। এটি Stressful Condition এ রিলিজ হয়। এই Cortisol হলো স্টেরয়েড হরমোন এবং এর প্রভাবে Serotonin তৈরি কম হয়। ফলে মানসিক অবসাদ, বিষন্নতা, ইত্যাদি দেখা যায়। তাই Depression, Mood disorder বা মানুসিক রোগীদের Circulatory serotonin বৃদ্ধি করার জন্য মেডিসিন দেয়া হয়। যেহেতু Serotonin স্বাভাবিক পরিমান থাকলে মানসিক সুখ, শান্তি, অনুভূত হয় এবং একটি মানুসিক ভারসাম্যতা বজায় থাকে সে জন্য এই Serotonin কে Happy chemical বা সুখের হরমোন বলা হয়।

    আবার এটি Digestion এ হেল্প করে, আর ডিপ্রেশনের সময় যেহেতু Serotonin এর পরিমান কমে যায়, তাই ডিপ্রেশন এর সময় Digestion ভালো হয়না, bowel habit পরিবর্তন হয়ে যায়, ডায়রিয়া, ক্ষুধা মন্দা, কোষ্টকাঠিন্ন দেখা দেয়। কথায় বলে পেট ভালো তো সব ভালো। আর এই পেটে তথা Gut থেকেই Serotonin তৈরি হয়, ডিপ্রেশনে যেনো মরার ওপর খারার ঘা।

    সেরোটোনিন এর আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, পর্যাপ্ত পরিমান সেরোটোনিন স্বাভাবিক Sleeping pattern বা Normal Circadian cycle নিয়ন্ত্রন করে। আর সকাল বেলায় জেগে উঠতে হেল্প করে। আর সেরোটোনিন লেভেল কমে গেলে insomnia (ঘুমের সমস্যা) দেখা দেয়। আর সকাল বেলায় জাগ্রত
    হতে সমস্যা হয়। ডিপ্রেশনের পেশেন্ট দের যেহেতু সেরোটোনিন এর পরিমাণ কম থাকে, তাই তাদের রাত্রে ঘুম হয়না, insomnia থাকে, আর সকাল বেলায় তাদের ঘুম বেড়ে যায়। তাই insomnia পেশেন্টদের
    ম্যানেজমেন্ট এর জন্য Serotonin বৃদ্ধির ওষুধ দেয়া হয়।

    Normally শরীরে Serotonin level balanced রাখার জন্য যা যা করনীয়……

    ->Morning exercise সকাল বেলা ব্যায়াম করার মাধ্যমে অথবা দিনের যে কোনো সময় ব্যায়াম করলে একটা ভারসাম্য পূর্ণ সেরোটোনিন লেভেল বজায় থাকে, তাই ডিপ্রেশন এর সময় বেশি বেশি ব্যায়াম করুন, হাঁটাহাঁটি করুন, এতে সেরোটোনিন লেভেল বাড়বে, ডিপ্রেশন কমবে, এই কারণে ডিপ্রেশন এর মানুষ দের কে কাউন্সেলিং করা হয়, দূরে কোথাও ঘুরে আসতে, সকাল সন্ধ্যা হাঁটাহাঁটি করতে।

    -> সকাল বেলার সূর্যের আলো সেরোটোনিন উৎপাদনে হেল্প করে।

    -> হাসি খুশি থাকলে Stress hormone Cortisol কম release হয়, সেরোটোনিন উৎপাদন বাড়ে।

    ->প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যথা প্রতদিন ডিম, মাছ মাংস, ছোলা, ডাল, ইত্যাদি সেরোটোনিন এর মাত্রা বাড়ায়, এবং ডিপ্রেশন কমায়, তাই ডিপ্রেশন এর সময় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খান।

    ->শরীর ম্যাসাজ করালেও সেরোটোনিন বাড়ে, তাই স্বামী টেনশনে থাকলে স্ত্রীদের উচিৎ, হালকা করে মাথা ম্যাসাজ করে দেওয়া, আর স্ত্রীরা টেনশনে থাকলে স্বামীর উচিৎ, তার মাথা ম্যাসাজ করে দেওয়া।

    একটি চমৎকার তথ্য দিয়ে শেষ করছি……

    সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দুরুদ পাঠ করে, মহান আল্লাহ তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করেন।”(মেশকাত শরীফ)

    কেউ যদি একাগ্রচিত্তে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরুদ পাঠ করেন, তবে তার শরীরে Serotonin Level pick এ চলে আসে।

    গবেষণায় দেখা গেছে…….১ মিনিট দরুদ পাঠ করলে ১০ মিনিট সুখের হরমোন সেরোটোনিন শরীরে পিক লেভেলে থাকে এবং সেই সময় টেনশন, Anxiety, ডিপ্রেশন কমে যায়……. সুবহানাল্লাহ।

    Dr. Rezbaul Hasan royal

  • Melasma বা মেসতা হলো একটি Hyperpigmentation রোগ..

    Melasma বা মেসতা হলো একটি Hyperpigmentation রোগ..

    Melasma বা মেসতা হলো একটি Hyperpigmentation রোগ। এটি ত্বকের একটি নির্দিষ্ট অংশে বাদামি, ধূসর-বাদামি বা কালচে দাগ তৈরি করে। (hyperpigmentation that develops and progresses slowly)

    এটি সাধারণত Facial area তে cheeks(গাল), nose(নাক) forehead (কপাল) and Extensor Surface of the arms…. ইত্যাদি তে বেশি হয়। নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই এটি হতে পারে….তবে Melasma নারীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় এবং যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বা হরমোন থেরাপি গ্রহণ করেন।

    দুই ধরনের হয়ে থাকে…..

    • Epidermal (It is light brown to dark)
    • Dermal (Usually dark -gray)

    কারণ…..
    ১. সূর্যের আলো থেকে আগত….Ultraviolet (UV-rays) রশ্মি Melanocyte কে (Melanin তৈরি করে যা আমাদের স্কিনের রং এর জন্য দায়ী) Stimulate করে অতিরিক্ত Melanin তৈরি করে….

    ২. হরমোনজনিত পরিবর্তন Pregnancy, Birth control pill Use, Hormone therapy ইত্যাদি করানে Melasma দেখা দিতে পারে।

    (High level of estrogen and progesteron play a vital role.especially in pregnancy and oral contraceptive users and PCOS)

    ৩. জিনগত কারণ…..Family History থাকলে।

    ৪. কিছু প্রসাধনী ত্বকে সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করে যা Melasma বাড়াতে পারে…..

    ৫. Heat exposure…

    Young and middle aged women are affected mostly

    ক্লিনিক্যালি ডায়াগনোসিস করা যায়, তবে চিকিৎসার সুবিধার জন্য……

    woods lamp দিয়ে পরীক্ষা করা হয় epidermal নাকি dermal melasma বোঝার জন্য। Epidermal হলে pigmentation is accentuated কিন্তু Dermal melasma is not accentuated.

    Facial Melasma types……


    ->Centro facial- 80% cases(The melasma appears on your forehead, cheeks, nose and upper lip)

    ->Malar area- 20% cases

    ->Mandibular area-16% cases

    চিকিৎসা ও প্রতিকার…….

    ১) সুর্য্য রশ্মি বা Sun exposure পরিহার করা বাধ্যতামূলক। রোদে গেলে অবশ্যই Sunscreen ব্যাবহার করতে হবে।

    (Mild to moderate or severe melasma তে UVA and UVB protection mandetory through sunblock containing spf 30 for oily complexions & spf 50 for others.Reapply every 2 hours ( 9 am to 4 pm)

    ২) melanocyte এর activity affected area তে কমাতে হবে।

    ৩) Chronic and adjuvant therapy চালিয়ে যেতে হবে।

    ৪) রোদে গেলে ( 10 am to 4pm) 6 inch rim hat পরতে হবে সবসময়।

    ৫) ক্রিম…. হাইড্রোকুইনোন, ট্রেটিনয়েন, কোজিক এসিড ইত্যাদি।

    ৬) পিলিং থেরাপি….
    – কেমিক্যাল পিল (যেমন গ্লাইকোলিক অ্যাসিড পিল)।

    ৭) লেজার থেরাপি….
    – Q-switched Nd:YAG

    ৮) Microdermabrasion

    এছাড়া……
    সানস্ক্রিন, ছাতা, ক্যাপ..চলবে….
    স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন।হরমোন সংক্রান্ত ওষুধ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ‌ ইত্যাদি।

    • Melasma-এর ধরন এবং কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।
    • বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ও standard set up ব্যতিরেকে Chemical peeling কিংবা Laser চিকিৎসা হিতে বিপরীত হতে পারে।

    -Social media ও তথাকথিত Influencer-দের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে বাজারে বিক্রি হওয়া Melasma-এর বিভিন্ন ধরনের অবৈজ্ঞানিক ঔষধ ও টোটকা স্থায়ী Melasma তৈরি করতে পারে।

    স্কিন বিশেষজ্ঞ (Dermatologist) এর পরামর্শে চিকিৎসা নেয়া উত্তম।

    ধন্যবাদ

    Dr. Rezbaul Hasan royal

  • সানস্ক্রিন বর্তমান সময়ে একটি বহুল আলোচিত ও ব্যবহৃত প্রোডাক্ট….

    সানস্ক্রিন বর্তমান সময়ে একটি বহুল আলোচিত ও ব্যবহৃত প্রোডাক্ট….

    সানস্ক্রিন বর্তমান সময়ে একটি বহুল আলোচিত ও ব্যবহৃত প্রোডাক্ট….

    নারী,পুরুষ, তরুন,যুবকসহ মধ্যবয়স্ক থেকে শুরু করে সকল বয়সের সচেতন মানুষই এখন সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন….

    সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর রে সম্পর্কে জেনে নিই প্রথমে……সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে পৃথিবীতে আগত রে গুলো হলো…..

    Ultraviolet (UV) Ray (200-400 nm)
    Visible Light (400-760 nm)
    Infrared Ray ( >760 nm)

    এর মধ্যে UV Ray আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর….

    UV Ray গুলো হলো…..

    1. UV A (320-400 nm)
    2. UV B (280-320 nm)
    3. UV C (200-280 nm)

    UV- B ray মূলত সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা এই সময়ে বেশি কাজ করে এবং এর স্কিনে Erythema বা Tanning করার ক্ষমতা UV A থেকে ১০০০ গুন বেশি।

    অপর দিকে…. UV A যদিও UV B থেকে কম কাজ করে,কিন্তু দিনের বেশিরভাগ সময়ে আমরা UV A এর সরাসরি সংস্পর্শে থাকি, তাই এটি বেশি সময় পায় স্কিনের ক্ষতি করার…

    ফলে….. UV A প্রায় UV B এর সমান ক্ষতি করার সামর্থ্য রাখে…..

    আচ্ছা UV ray গুলো কি শুধুমাত্র সূর্য থেকেই আসে?…না!

    আমাদের বাসাবাড়ির লাইট, চুলার আঁচথেকেও
    UV Ray এর সমান wave এর Rays বের হয়…এবং এগুলোও আমাদের স্কিনের ক্ষতি করে….

    UV- Ray আমাদের শরীরে কী কী ক্ষতি করে….

    Erythema ( স্কিন লালচে করা)
    Tanning (রোদে পুড়ে তামাটে বর্ণ)
    premature aging called photo aging (বয়সের ছাপ)
    Skin cancer
    Cataracts (চোখে ছানি পড়া) and other eye damage
    Immune system supressor (শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা কমিয়ে দেয়া)

    **UV ray আমাদের স্কিন এর DNA change করে premature aging and Skin cancer করে…..মানে স্কিনে বয়সের ছাপ তৈরি করে…..

    মূলত DNA Damage, melanocyte (Melanocyte থেকে Melanin তৈরি হয় যা আমাদের স্কিন এর রং এর জন্য দায়ী) redistribution বা synthesis এবং cytokine production এর মাধ্যমে তারা স্কিনের এই ক্ষতিগুলো করে থাকে….

    হয়তো কিছু টা বুঝতে পারছেন….. সানস্ক্রিনের প্রয়োজনীয়তা কতখানি।

    Sunscreen গুলো.. ২ টি ফর্মে বাজারে পাওয়া যায়….
    ->Physical
    ->Chemical

    Physical Sunscreen গুলো সরাসরি UV Ray গুলোকে reflect করে ফেরত পাঠায় এবং শরীর বা স্কিনের ক্ষতি রোধ করে। এগুলো Inorganic component দিয়ে তৈরি। তাই এক ধরনের সাদা পেস্টের মতো হয়। এবং মুখে বা স্কিনে সাদা দাগের মতো হয়ে থাকে। আপনারা হয়তো ক্রিকেট বা ফুটবল খেলোয়ারদের মুখে হাতে সাদা দাগ দেখে থাকবেন যা Physical Suncreen মাখার জন্য হয়। যদিও এটি খুব দ্রুত কাজ করে….তবুও অনেকেই কসমেটিক কারণে ব্যবহার করতে চান না….

    অনেক সময় Physical Suncreen এ Allergic reaction হতে পারে এবং অনেকেরই ব্যাবহারের পর স্কিনে দাগ পড়ে যেতে পারে…তাই এগুলোর ব্যবহার কিছুটা কম।

    **** Chemical Sunscreen গুলোই বেশিরভাগ মানুষ ব্যবহার করে…

    এগুলো মূলত স্কিনে আগত UV Ray গুলো শোষণ করে নেয় এবং সেগুলোকে তাপ এ রুপান্তর করে এবং শরীর থেকে বের করে দেয়।

    এগুলো কাজ করতে ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার ৩০মিনিট পূর্বে সান এক্সপোজ এরিয়াতে মাখতে হয়।

    এগুলোতে…. স্কিনে কোন দাগ হয় না, চামড়ার সাথে মিশে যায়…Chemical sunscreen গুলো water & sweat resistant হয়। তাই সাধারণ ঘাম,পানিতে মুছে যায় না।

    এখন আসি, SPF কি?

    SPF হলো…..Sun protective factor (SPF).

    এটি মূলত একটি সানস্ক্রিনের কার্যক্ষমতা নির্ধারন করে।

    যেমন কোন সানস্ক্রিনের SPF ৩৫+ এর অর্থ হলো কোন স্কিনে Suncreen লাগানো থাকলে তা যে পরিমান Erythema (লালচে স্কিন) করে, ঐ সানস্ক্রিন লাগানো না থাকলে তার থেকে ৩৫ গুন বেশি Erythema করে, মানে ৩৫ গুন বেশি সুরক্ষা দেয়।

    আচ্ছা কতো SPF এর Suncreen Use করবেন? এটা জানতে হলে Skin types সম্পর্কে জানতে হবে……

    চলুন দেখে আসি স্কিন টাইপ কতো প্রকার ও কি কি? আর কোন ধরনের স্কিন কেমন হয়….?

    Fitzgerald Skin types….

    Type 1: Color Ivory white
    Burns very easily in the sun. This type of Skin extremely susceptible to sun damage and skin cancer. Need…..SPF 35+ to 50+ Sunscreen.

    Type 2: skin color white and Easily Burns in the sun. Susceptible to sun damage and skin cancer. 30+ to 50 SPF

    Type 3: Color Olive brown which is moderately burn in the sun. 30+ SPF

    Type 4: Light brown and Burns minimally in the sun.

    Type 5: Always Brown and Rarely burn in the sun.

    Type 6: Always Dark brown and do not burn in the Sun.

    আমাদের দেশের জন্য কত SPF দরকার?

    সাধারণত আমাদের দেশের মানুষের Skin Type 4,5 এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই আমাদের জন্য SPF 15+ ই যথেষ্ট এবং এটা আমাদের ৯৩% UV Ray Protection দিতে সক্ষম। তাই রেগুলার ব্যাবহারের জন্য SPF 15+ এবং যারা দীর্ঘসময় রোদের সংস্পর্শে থাকেন তাদের জন্য SPF 30+ যথেষ্ট।

    তাহলে সানস্ক্রিন কেন ব্যাবহার করবেন?

    ১. Skin Tanning বা কালো দাগ থেকে বাঁচতে
    ২. Erythema বা চামড়া লাল হওয়া থেকে বাঁচতে
    ৩. Premature Aging থেকে বাঁচতে
    ৪. Skin Cancer প্রতিরোধ করতে

    কখন সানস্ক্রিন ব্যাবহার করবেন….

    ১. বাইরে রোদে যাবার ৩০ মিনিট আগে লাগাতে হবে
    ২. মুখ,কপাল,ঘাড়,গলা, হাত সকল যায়গায় লাগাতে হবে….
    ৩. ২-৩ ঘন্টা পর পর লাগাতে হবে….
    ৪. শুধু রোদে না, উজ্জ্বল আলো,চুলার পাশে গেলেও লাগাতে হবে….

    কীভাবে সানস্ক্রিন লাগাবেন?

    এক্ষেত্রে ২ টি নিয়ম বলা হয়….

    ১. Tea Spoon Rules :
    পুরো মুখের জন্য 1 Tea spoon পরিমান নিয়ে পুরো মুখ, গলা, ঘাড় কভার করে লাগাতে হবে….
    একইভাবে Hand,Feet,Trunk এর জন্য 1 Tea spoon করে লাগাতে হবে….

    ২. House Paint Rules :
    এক্ষত্রে একবার পুরো মুখে লাগানোর পর পুনরায় একই নিয়মে পুরো মুখে আবার লাগাতে হবে যাতে করে কোন যায়গা বাদ না পরে….

    কোন সানস্ক্রিন ব্যাবহার করবেন?
    বাজারে বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডের বিভিন্ন Composition এর সানস্ক্রিন পাওয়া যায়….

    যাদের Oily skin তারা Oil Free Acne Protective সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন….

    যাদের মেছতার (Melasma) সমস্যা আছে তারা Anti Melasma Sunscreen ব্যাবহার করবেন…

    যাদের স্কিন শুষ্ক থাকে তারা Aquaphilic Sunscreen ব্যাবহার করবেন….

    যারা দীর্ঘ সময় বাইরে বা উজ্জ্বল আলোতে থাকেন তারা এমন সানস্ক্রিন ব্যাবহার করবেন যেটা…….
    UV- A+UV -B (Broad spectrum)দুটো থেকেই সুরক্ষা দেয়….

    ধন্যবাদ….

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

Verified by MonsterInsights