Author: dr.rezbaulhasanroyal@gmail.com

  • ডাঃ ->:দেখুন আপনার রোগীর মুখ পুড়ে গেছে!

    ডাঃ ->:দেখুন আপনার রোগীর মুখ পুড়ে গেছে! আগের মতো চেহারা ফিরে পেতে চাইলে অতিসত্বর প্লাস্টিক সার্জারি করাতে হবে….

    রোগীর লোক->: সার্ কেমন খরচ হবে সার্????

    ডাঃ ->: দেখুন এখানে ঐ অপারেশন হয় না! তবু যতোদুর সম্ভব ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা লাগতে পারে..

    রোগীর লোকজন অবাক হয়ে….মুখ চাওয়াচায়ি করছে! নিজেদের মধ্যে গুন্জন তুললো! অারএফএল বালতির দাম তো অনেক কম! তাহলে প্লাস্টিক সার্জারি তে এতো টাকা নিবে কেনো???? শেষে উশখুশ্ করতে করতে কাচুমাচু করে বলেই ফেললো……..

    ->: সার প্লাস্টিক যদি আমরা দেই? তারপরও কি এতো টাকা লাগবে??????

    ……………. Rezbaul Hasan Royal

  • সামনে পরীক্ষা থাকলে মেডিকেলীয় প্রেম অনেকটা ফিকে হয়ে যায়…….

    সামনে পরীক্ষা থাকলে মেডিকেলীয় প্রেম অনেকটা ফিকে হয়ে যায়…….

    পরের দিন পরীক্ষা, বিকেল বেলা প্রেমিকার ফোন….

    -> হুম….বলো?

    -> এই কি করো?

    -> পড়তেছি….তুমি?

    -> বারান্দায় বসে আছি….

    -> ও…..

    -> আজ আকাশটা অনেক সুন্দর, তাই না? গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, মৃদু হাওয়া…..উফ্…কেমন যেনো মন মাতানো আবহাওয়া!

    -> ও…..আচ্ছা!

    -> খালি আচ্ছা? কিছু তো বলো?

    -> কি বলবো?

    -> তুমি একদম রোমান্টিক না! রোমান্টিক কিছু বলো…..

    -> Sudden onset of central chest pain with severe breathlessness…. নিয়ে আসলে may be left heart failure হতে পারে! sign পাবো Orthopnoea, Gallop rhythm, pulsus alternus, আর Bilateral basal crepitation পাবো! সাথে সাথে অক্সিজেন দিবো, তারপর ইসিজি করাবো, তারপর….সিউর হয়ে সিসিইউ তে পাঠাবো…..

    -> ইমা! কি সব বলছো আবল তাবল….ধূর….

    -> দেখো, এরচেয়ে রোমান্টিক হতে পারছি না এই মুহূর্তে! কারণ, একজন রোগী মারা যাচ্ছে তাকে বাঁচানোর মতো রোমান্টিক বিষয় আর কি হতে পারে বলো??

    -> এই, বক্ বক্ বন্ধ করবে তুমি? মেজাজটা গরম করো না…..শোনো না…. বৃষ্টিতে ভিজবে???

    -> না! কোন শখ্ নেই আমার জ্বর বাধানোর! পরীক্ষা চলছে…..

    -> চলো না, প্লিজ….একটু ভিজলে কিছুই হবে না…..

    -> শোনো, তুমি বৃষ্টিতে ভেজো, ইচ্ছে মতো….. জ্বর হলে ফোন দিও ওষুধ লিখে দিবো এনে খেয়ে নিও….এখন দয়া করে ফোন রাখো…..!

    -> তুই একটা…..বিপ্ বিপ্….যা তোর পরীক্ষার সাথে প্রেম কর! আমাকে আর ফোন দিবি না! ব্রেকআপ…. টুত্ টুত্….

    -> হ্যালো… ধুর…পরীক্ষা শেষ হতে হতে যদি অন্য কাউকে বিয়ে না করে….তবে সরি বলে ঠিক করে নিবো….

    ………… 😛

    Dr. Rezbaul hasan royal

  • Melasma বা মেসতা হলো একটি Hyperpigmentation রোগ..

    Melasma বা মেসতা হলো একটি Hyperpigmentation রোগ..

    Melasma বা মেসতা হলো একটি Hyperpigmentation রোগ। এটি ত্বকের একটি নির্দিষ্ট অংশে বাদামি, ধূসর-বাদামি বা কালচে দাগ তৈরি করে। (hyperpigmentation that develops and progresses slowly)

    এটি সাধারণত Facial area তে cheeks(গাল), nose(নাক) forehead (কপাল) and Extensor Surface of the arms…. ইত্যাদি তে বেশি হয়। নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই এটি হতে পারে….তবে Melasma নারীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় এবং যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল বা হরমোন থেরাপি গ্রহণ করেন।

    দুই ধরনের হয়ে থাকে…..

    • Epidermal (It is light brown to dark)
    • Dermal (Usually dark -gray)

    কারণ…..
    ১. সূর্যের আলো থেকে আগত….Ultraviolet (UV-rays) রশ্মি Melanocyte কে (Melanin তৈরি করে যা আমাদের স্কিনের রং এর জন্য দায়ী) Stimulate করে অতিরিক্ত Melanin তৈরি করে….

    ২. হরমোনজনিত পরিবর্তন Pregnancy, Birth control pill Use, Hormone therapy ইত্যাদি করানে Melasma দেখা দিতে পারে।

    (High level of estrogen and progesteron play a vital role.especially in pregnancy and oral contraceptive users and PCOS)

    ৩. জিনগত কারণ…..Family History থাকলে।

    ৪. কিছু প্রসাধনী ত্বকে সংবেদনশীলতা সৃষ্টি করে যা Melasma বাড়াতে পারে…..

    ৫. Heat exposure…

    Young and middle aged women are affected mostly

    ক্লিনিক্যালি ডায়াগনোসিস করা যায়, তবে চিকিৎসার সুবিধার জন্য……

    woods lamp দিয়ে পরীক্ষা করা হয় epidermal নাকি dermal melasma বোঝার জন্য। Epidermal হলে pigmentation is accentuated কিন্তু Dermal melasma is not accentuated.

    Facial Melasma types……


    ->Centro facial- 80% cases(The melasma appears on your forehead, cheeks, nose and upper lip)

    ->Malar area- 20% cases

    ->Mandibular area-16% cases

    চিকিৎসা ও প্রতিকার…….

    ১) সুর্য্য রশ্মি বা Sun exposure পরিহার করা বাধ্যতামূলক। রোদে গেলে অবশ্যই Sunscreen ব্যাবহার করতে হবে।

    (Mild to moderate or severe melasma তে UVA and UVB protection mandetory through sunblock containing spf 30 for oily complexions & spf 50 for others.Reapply every 2 hours ( 9 am to 4 pm)

    ২) melanocyte এর activity affected area তে কমাতে হবে।

    ৩) Chronic and adjuvant therapy চালিয়ে যেতে হবে।

    ৪) রোদে গেলে ( 10 am to 4pm) 6 inch rim hat পরতে হবে সবসময়।

    ৫) ক্রিম…. হাইড্রোকুইনোন, ট্রেটিনয়েন, কোজিক এসিড ইত্যাদি।

    ৬) পিলিং থেরাপি….
    – কেমিক্যাল পিল (যেমন গ্লাইকোলিক অ্যাসিড পিল)।

    ৭) লেজার থেরাপি….
    – Q-switched Nd:YAG

    ৮) Microdermabrasion

    এছাড়া……
    সানস্ক্রিন, ছাতা, ক্যাপ..চলবে….
    স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন।হরমোন সংক্রান্ত ওষুধ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ‌ ইত্যাদি।

    • Melasma-এর ধরন এবং কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।
    • বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত ও standard set up ব্যতিরেকে Chemical peeling কিংবা Laser চিকিৎসা হিতে বিপরীত হতে পারে।

    -Social media ও তথাকথিত Influencer-দের মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে বাজারে বিক্রি হওয়া Melasma-এর বিভিন্ন ধরনের অবৈজ্ঞানিক ঔষধ ও টোটকা স্থায়ী Melasma তৈরি করতে পারে।

    স্কিন বিশেষজ্ঞ (Dermatologist) এর পরামর্শে চিকিৎসা নেয়া উত্তম।

    ধন্যবাদ

    Dr. Rezbaul Hasan royal

  • সানস্ক্রিন বর্তমান সময়ে একটি বহুল আলোচিত ও ব্যবহৃত প্রোডাক্ট….

    সানস্ক্রিন বর্তমান সময়ে একটি বহুল আলোচিত ও ব্যবহৃত প্রোডাক্ট….

    সানস্ক্রিন বর্তমান সময়ে একটি বহুল আলোচিত ও ব্যবহৃত প্রোডাক্ট….

    নারী,পুরুষ, তরুন,যুবকসহ মধ্যবয়স্ক থেকে শুরু করে সকল বয়সের সচেতন মানুষই এখন সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন….

    সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর রে সম্পর্কে জেনে নিই প্রথমে……সূর্য থেকে বিকিরণ পদ্ধতিতে পৃথিবীতে আগত রে গুলো হলো…..

    Ultraviolet (UV) Ray (200-400 nm)
    Visible Light (400-760 nm)
    Infrared Ray ( >760 nm)

    এর মধ্যে UV Ray আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর….

    UV Ray গুলো হলো…..

    1. UV A (320-400 nm)
    2. UV B (280-320 nm)
    3. UV C (200-280 nm)

    UV- B ray মূলত সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা এই সময়ে বেশি কাজ করে এবং এর স্কিনে Erythema বা Tanning করার ক্ষমতা UV A থেকে ১০০০ গুন বেশি।

    অপর দিকে…. UV A যদিও UV B থেকে কম কাজ করে,কিন্তু দিনের বেশিরভাগ সময়ে আমরা UV A এর সরাসরি সংস্পর্শে থাকি, তাই এটি বেশি সময় পায় স্কিনের ক্ষতি করার…

    ফলে….. UV A প্রায় UV B এর সমান ক্ষতি করার সামর্থ্য রাখে…..

    আচ্ছা UV ray গুলো কি শুধুমাত্র সূর্য থেকেই আসে?…না!

    আমাদের বাসাবাড়ির লাইট, চুলার আঁচথেকেও
    UV Ray এর সমান wave এর Rays বের হয়…এবং এগুলোও আমাদের স্কিনের ক্ষতি করে….

    UV- Ray আমাদের শরীরে কী কী ক্ষতি করে….

    Erythema ( স্কিন লালচে করা)
    Tanning (রোদে পুড়ে তামাটে বর্ণ)
    premature aging called photo aging (বয়সের ছাপ)
    Skin cancer
    Cataracts (চোখে ছানি পড়া) and other eye damage
    Immune system supressor (শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা কমিয়ে দেয়া)

    **UV ray আমাদের স্কিন এর DNA change করে premature aging and Skin cancer করে…..মানে স্কিনে বয়সের ছাপ তৈরি করে…..

    মূলত DNA Damage, melanocyte (Melanocyte থেকে Melanin তৈরি হয় যা আমাদের স্কিন এর রং এর জন্য দায়ী) redistribution বা synthesis এবং cytokine production এর মাধ্যমে তারা স্কিনের এই ক্ষতিগুলো করে থাকে….

    হয়তো কিছু টা বুঝতে পারছেন….. সানস্ক্রিনের প্রয়োজনীয়তা কতখানি।

    Sunscreen গুলো.. ২ টি ফর্মে বাজারে পাওয়া যায়….
    ->Physical
    ->Chemical

    Physical Sunscreen গুলো সরাসরি UV Ray গুলোকে reflect করে ফেরত পাঠায় এবং শরীর বা স্কিনের ক্ষতি রোধ করে। এগুলো Inorganic component দিয়ে তৈরি। তাই এক ধরনের সাদা পেস্টের মতো হয়। এবং মুখে বা স্কিনে সাদা দাগের মতো হয়ে থাকে। আপনারা হয়তো ক্রিকেট বা ফুটবল খেলোয়ারদের মুখে হাতে সাদা দাগ দেখে থাকবেন যা Physical Suncreen মাখার জন্য হয়। যদিও এটি খুব দ্রুত কাজ করে….তবুও অনেকেই কসমেটিক কারণে ব্যবহার করতে চান না….

    অনেক সময় Physical Suncreen এ Allergic reaction হতে পারে এবং অনেকেরই ব্যাবহারের পর স্কিনে দাগ পড়ে যেতে পারে…তাই এগুলোর ব্যবহার কিছুটা কম।

    **** Chemical Sunscreen গুলোই বেশিরভাগ মানুষ ব্যবহার করে…

    এগুলো মূলত স্কিনে আগত UV Ray গুলো শোষণ করে নেয় এবং সেগুলোকে তাপ এ রুপান্তর করে এবং শরীর থেকে বের করে দেয়।

    এগুলো কাজ করতে ২০-৩০ মিনিট সময় লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার ৩০মিনিট পূর্বে সান এক্সপোজ এরিয়াতে মাখতে হয়।

    এগুলোতে…. স্কিনে কোন দাগ হয় না, চামড়ার সাথে মিশে যায়…Chemical sunscreen গুলো water & sweat resistant হয়। তাই সাধারণ ঘাম,পানিতে মুছে যায় না।

    এখন আসি, SPF কি?

    SPF হলো…..Sun protective factor (SPF).

    এটি মূলত একটি সানস্ক্রিনের কার্যক্ষমতা নির্ধারন করে।

    যেমন কোন সানস্ক্রিনের SPF ৩৫+ এর অর্থ হলো কোন স্কিনে Suncreen লাগানো থাকলে তা যে পরিমান Erythema (লালচে স্কিন) করে, ঐ সানস্ক্রিন লাগানো না থাকলে তার থেকে ৩৫ গুন বেশি Erythema করে, মানে ৩৫ গুন বেশি সুরক্ষা দেয়।

    আচ্ছা কতো SPF এর Suncreen Use করবেন? এটা জানতে হলে Skin types সম্পর্কে জানতে হবে……

    চলুন দেখে আসি স্কিন টাইপ কতো প্রকার ও কি কি? আর কোন ধরনের স্কিন কেমন হয়….?

    Fitzgerald Skin types….

    Type 1: Color Ivory white
    Burns very easily in the sun. This type of Skin extremely susceptible to sun damage and skin cancer. Need…..SPF 35+ to 50+ Sunscreen.

    Type 2: skin color white and Easily Burns in the sun. Susceptible to sun damage and skin cancer. 30+ to 50 SPF

    Type 3: Color Olive brown which is moderately burn in the sun. 30+ SPF

    Type 4: Light brown and Burns minimally in the sun.

    Type 5: Always Brown and Rarely burn in the sun.

    Type 6: Always Dark brown and do not burn in the Sun.

    আমাদের দেশের জন্য কত SPF দরকার?

    সাধারণত আমাদের দেশের মানুষের Skin Type 4,5 এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই আমাদের জন্য SPF 15+ ই যথেষ্ট এবং এটা আমাদের ৯৩% UV Ray Protection দিতে সক্ষম। তাই রেগুলার ব্যাবহারের জন্য SPF 15+ এবং যারা দীর্ঘসময় রোদের সংস্পর্শে থাকেন তাদের জন্য SPF 30+ যথেষ্ট।

    তাহলে সানস্ক্রিন কেন ব্যাবহার করবেন?

    ১. Skin Tanning বা কালো দাগ থেকে বাঁচতে
    ২. Erythema বা চামড়া লাল হওয়া থেকে বাঁচতে
    ৩. Premature Aging থেকে বাঁচতে
    ৪. Skin Cancer প্রতিরোধ করতে

    কখন সানস্ক্রিন ব্যাবহার করবেন….

    ১. বাইরে রোদে যাবার ৩০ মিনিট আগে লাগাতে হবে
    ২. মুখ,কপাল,ঘাড়,গলা, হাত সকল যায়গায় লাগাতে হবে….
    ৩. ২-৩ ঘন্টা পর পর লাগাতে হবে….
    ৪. শুধু রোদে না, উজ্জ্বল আলো,চুলার পাশে গেলেও লাগাতে হবে….

    কীভাবে সানস্ক্রিন লাগাবেন?

    এক্ষেত্রে ২ টি নিয়ম বলা হয়….

    ১. Tea Spoon Rules :
    পুরো মুখের জন্য 1 Tea spoon পরিমান নিয়ে পুরো মুখ, গলা, ঘাড় কভার করে লাগাতে হবে….
    একইভাবে Hand,Feet,Trunk এর জন্য 1 Tea spoon করে লাগাতে হবে….

    ২. House Paint Rules :
    এক্ষত্রে একবার পুরো মুখে লাগানোর পর পুনরায় একই নিয়মে পুরো মুখে আবার লাগাতে হবে যাতে করে কোন যায়গা বাদ না পরে….

    কোন সানস্ক্রিন ব্যাবহার করবেন?
    বাজারে বিভিন্ন ব্র‍্যান্ডের বিভিন্ন Composition এর সানস্ক্রিন পাওয়া যায়….

    যাদের Oily skin তারা Oil Free Acne Protective সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন….

    যাদের মেছতার (Melasma) সমস্যা আছে তারা Anti Melasma Sunscreen ব্যাবহার করবেন…

    যাদের স্কিন শুষ্ক থাকে তারা Aquaphilic Sunscreen ব্যাবহার করবেন….

    যারা দীর্ঘ সময় বাইরে বা উজ্জ্বল আলোতে থাকেন তারা এমন সানস্ক্রিন ব্যাবহার করবেন যেটা…….
    UV- A+UV -B (Broad spectrum)দুটো থেকেই সুরক্ষা দেয়….

    ধন্যবাদ….

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • করোনা আবার বাড়ছে। নতুন রূপে,নতুন ভাবে..

    করোনা আবার বাড়ছে। নতুন রূপে,নতুন ভাবে..

    করোনা আবার বাড়ছে। নতুন রূপে,নতুন ভাবে..

    NB.1.8.1 (এন বি ১.৮.১)

    World Health Organisation একে “Variant Under Monitoring” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

    এটি Omicron‑এর JN.1‑লাইনেজের একটা সাব-ভ্যারিয়েন্ট ।

    ২০২৫ সালের জানুয়ারীতেই এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম সনাক্ত করা হয়..এখন, চীন, হংকং, তাইওয়ান, ইউরোপ, আমেরিকা বিভিন্ন দেশে ছড়িয়েছে।

    প্রাথমিকভাবে Omicron‑এর মত — গলা ব্যথা, কাশি, হালকা জ্বর, ক্লান্তি,শরীর ব্যাথা, স্বাদহীনতা, লস অব স্মেল…সহ মাঝে মাঝে পেটের সমস্যা….যেমন..বমি বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দা, ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে।

    এটি মানুষের কোষে “বেশি সহজে সংযুক্ত হতে পারে”, অর্থাৎ transmissibility বেশি; কিন্তু গুরুতর অসুস্থতার প্রমাণ তেমন নেই।

    World health Organisation(WHO) and Centers for Disease Control and Prevention (CDC) এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন—টিকা (বুস্টার), মাস্ক, ভালো হাইজিন ও বয়স, ঝুঁকিপ্রাপ্তদের (Co-morbidity and Risk factors such as…. Diabetes Mellitus, Asthma, COPD, HTN, Obesity, Kidney or Liver Transplantation) জন্য বাড়তি সতর্কতা খুবই জরুরি।

    অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট গুলো হলো….

    LF.7, XEC… যার সংক্রমণ বাড়াচ্ছে এবং JN.1‑এর মতো সাইন সিম্পটম দেখা দিচ্ছে….

    HKU5‑CoV‑2 এটি মূলত একটি MERS ভাইরাস, মানুষের সংক্রমণ এখনও হয়নি, তবে গবেষকরা এটিকে “potentially pandemic threat” হিসেবে বিবেচনা করছেন।

    ** বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতি…..

    ভারতে NB.1.8.1 ও LF.7 শনাক্ত হয়েছে। কিছু রাজ্যে সংক্রমণ বেড়েছে ।চীন, হংকং, তাইওয়ান ও থাইল্যান্ডে রুগীর সংখ্যা এবং হসপিটাল এডমিশন সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে…..।

    ভারতে সাম্প্রতিক কেস ও মৃত্যু এনবিসি, লোকাল মিডিয়া সংক্রান্ত তথ্য থেকে জানা গেছে ভারতে প্রতিদিন… ৪০০–৬০০…..মৃত্যুর খবর…..

    *** করণীয়……

    ১। মাস্ক ব্যবহার করুন – বিশেষ করে ভিড় বা ঘন বসতি স্থানে…

    ২। হাত পরিষ্কার রাখুন – সাবান বা স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন।

    ৩। লক্ষণ দেখুন – গলা ব্যথা, হালকা জ্বর, ক্লান্তি ইত্যাদি থাকলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।

    ৪। পরীক্ষা করান – RT‑PCR বা দ্রুত অ্যানটিজেন টেস্ট ব্যবহার করতে পারেন।

    ৫। আবদ্ধ থাকলে নিজেকে আলাদা রাখুন (Isolation) – অন্যদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে।

    Dr. Rezbaul Hasan royal

  • সাপের কামড়ে করণীয়…..

    সাপের কামড়ে করণীয়…..

    সাপের কামড়ে করণীয়…..

    বর্ষাকাল চলছে।বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ছে সাপের কামড়ের প্রকোপ।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) এর ২০১৮ সালের হিসেব অনু্যায়ী বাংলাদেশে এখনো বছরে প্রায় ৭ লাখ মানুষ সাপের কামড়ে আক্রান্ত হয় তার মধ্যে প্রায় ৬০০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করে।

    বন্যাপ্লাবিত অঞ্চলে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এই সাপের কামড়।

    যার বড় একটা অংশ মৃত্যুবরণ করে অপচিকিৎসা,ওঁঝা বৈদ্যের ঝাড় ফুঁক,সাপ কম বিষধর হওয়া সত্ত্বেও ব্লেড বা অন্যকিছু দিয়ে কেটে বিষ নামানোর ভ্রান্ত ধারণা যেটার পরবর্তী রক্তে ইনফেকশন এর কারণে মানুষ মৃত্যুবরণ করে।

    তবে বেশীর ভাগ মানুষ যাদের সাপে কাটে সেখানে বিষধর সাপের সংখ্যা কম।আবার অনেকসময় সাপ কামড় দিলেও তাদের লালা(saliva) যেটাকে আমরা বিষ বলি সেটা মানুষের দেহে প্রবেশ করেনা।

    বিষহীন সাপের কামড় কিভাবে বুঝবো….

    অনেকগুলো দাঁতের কামড় থাকবে

    বিষাক্ত সাপের কামড় চেনার উপায় হলো….

    দুটি ফ্যাং চিহ্ন বা ক্ষত পাওয়া যাবে, ক্ষত স্থান থেকে রক্ত পড়বে, কামড়ের আশেপাশে প্রদাহ, জ্বলন, ব্যাথা ও ত্বকের রং পরিবর্তন হবে….

    যাই হোক,বিষধর সাপে কামড়ের বিপদজনক লক্ষণ গুলি হলো….

    ১.ঘাড় সোজা করে রাখতে না পারা(Broken neck sign)

    ২.চোখের পাতা পড়ে যাওয়া(ptosis)

    ৩.নাকে নাকে কথা বলা (nasal voice)

    ৪.মুখের কথা জড়িয়ে আসা (verbal difficulty)

    ৫.ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকা (Respiratory distress)

    ৬। বমি বমি ভাব (Nausea)

    ৭। চোখে ঝাপসা দেখা, অসাড়তা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, মুখমন্ডল এবং চোখেররপাতা ঝুলে পড়া।

    ৮। ক্লান্তি ও পেশী দুর্বলতা, তৃষ্ণা এমন কি এলার্জিক প্রতিক্রিয়া হতে পারে…

    এছাড়াও আরো কিছু লক্ষণ সাপের কামড়ে দেখা যায়….

    ১.আক্রান্ত স্থান ফুলে ফেঁপে যাওয়া।

    ২. মুখ দিয়ে, দাতের মাড়ি থেকে কিংবা শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তপাত

    ৩.প্রস্রাব না হওয়া কিংবা কমে যাওয়া ইত্যাদি।

    আমাদের দেশে কিছু কুসংস্কার কিছু ভ্রান্ত ধারণা বিজ্ঞান বর্জিত ধারণা এখনো প্রবল ভাবে মানুষের বিশ্বাস দখল করে আছে।

    ওঁঝা বৈদ্যের চিকিৎসায় বিষ নেমে যায় তেমনি একটা মিথ্যাদৃষ্টি।

    অনেক সময় যেটা হয় সাপে কাটার পর তীব্র ভয়ের কারণে vasovagal inhibition হয়।অতিমাত্রায় ভয় পাওয়ার কারণে ব্রেইন এ রক্ত সরবরাহ কমে গিয়ে কেউ অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

    এর কিছুক্ষণ পর যখন রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয় এমনিতেই জ্ঞান ফিরে আসে কিন্তু মানুষ মনে করে ওঝার চিকিৎসা তেই বোধ হয় জ্ঞান ফিরে আসলো।

    এটা একটা co-incidence।

    সুতরাং সাপে কাটলে কোনভাবেই এক সেকেন্ড সময় দেরী না করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যাবস্থা করবেন।

    এক্ষেত্রে খুব সাবধান থাকতে হবে, যে জায়গায় কামড় দিয়েছে যেমন পায়ে যদি কামড় দেয় তাহলে গাছের পট্টি কিংবা শক্ত লম্বা কোন লাঠি পায়ের সাথে বেধে দিন যাতে পা এর কোনরকম নড়াচড়া না হয়।

    মনে রাখবেন নড়াচড়া যত কম হবে বিষ তত আস্তে ছড়াবে।৩-৪ টা বাঁধ দেয়ার দরকার নেই।

    রশি দিয়ে শক্ত করে বাঁধার দরকার নেই, এতে রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে আক্রান্ত অংশে পঁচন ধরতে পারে। এমনভাবে বাঁধুন যেনো এক বা দুটো আঙুল বাঁধনের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করানো যায়।

    হাসপাতালে যাওয়ার পর, ডাক্তার এক সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে বিষাক্ত সাপের কামড় নাকি বিষহীন সাপের কামড় বুঝতে পারবেন।

    এটাকে Whole blood clotting test বলে। একটি টেস্টটিউব এ কিছু পরিমাণ রক্ত নিয়ে রেখে দিলে যদি তা স্বাভাবিক নিয়মে জমে যায় তবে, এটি বিষহীন সাপের কামড়। আর যদি না জমে যায় তবে, বিষাক্ত সাপের কামড়। এবং বিষটি হেমাটোটক্সিক। আর যদি নিউরোটক্সিক হয় তবে, Broken neck sign, Salivation, Ptosi, Verbal difficulty ইত্যাদি সাইন সিম্পটম পাওয়া যাবে…..

    বিষাক্ত সাপের কামড় হলে…. Polyvenom snake antivenom ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা করবেন। উল্লেখ্য যে, এই ইনজেকশন এর কারনে এলার্জিক রিয়েকশন হতে পারে….

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • Scabies (বাংলায় খোশ,পাচড়া)

    Scabies (বাংলায় খোশ,পাচড়া)

    Scabies (বাংলায় খোশ,পাচড়া) বর্তমানে বাংলাদেশে একটি ভয়াবহ সংক্রামক ব্যাধি হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে……..

    এটি Sarcoptes scabiei নামক ক্ষুদ্র পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট, যা শরীরের তীব্র চুলকানি, জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি, এবং রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়..

    স্ক্যাবিস একটি ছোঁয়াচে রোগ Sarcoptes scabiei নামক ক্ষুদ্র পরজীবীর সংক্রমণের মাধ্যমে এ রোগটি ছড়ায়। পরজীবীটি মানুুষের চামড়ার নীচে ডিম পাড়ে, বাচ্চাফুটায় এবং বিশেষ করে রাতে ঘুমের সময় চামড়ার নিচে চলাচল করে, সেজন্য তীব্র চুলকানি হয়। চুলকানি সাধারণত রাতের বলা তীব্রতর হয়।

    কোথায় হয়…….

    কনুইয়ের উপর, পেটের পাশে, এমনকি কোমরের নিচে, আঙুলের ফাঁকে, কনুইয়ে, বগলে, কোমরে, বুকের নিচে ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা যায়।

    একই বিছানায় শুইলে অন্যের দেহেও এই চুলকানি ছড়িয়ে পড়ে।

    ***চুলকাতে চুলকাতে ঘুম হারাম হয়ে যায়, রাত যতো বাড়ে চুলকানীও ততোই বাড়তে থাকে।

    বাচ্চাদের স্কুল, মাদ্রাসা, থেকে সংক্রমিত হয় এবং পরীবারের সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়াও ঘনবসতি, শীতকালে, গার্মেন্টস কর্মীদের মধ্যে এই রোগটির প্রাদুর্ভাব বেশি লক্ষণীয়।

    এ রোগটি নিরাময়যোগ্য…….

    ১। রোগ সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। যেমন, রোগটি ছোঁয়াচে এবং সবার চিকিৎসা একত্রে প্রয়োজন।

    ২। সারা শরীরে ওষুধ মাখতে হবে (যেমন: 5% permethrin যা বাজারে Scabex or Permisol cream নামে পাওয়া যায়) এবং 12 ঘন্টা রেখে সকালে গোসল করে ফেলতে হবে প্রতি সপ্তাহে ব্যবহার করতে হবে এভাবে মোট চার সপ্তাহ সর্বোচ্চ। এছাড়াও বাজারে Scabnil or E-scab বার নামক সাবান পাওয়া যায় যা দিয়ে পরিবারের সবাই গোসল করবে ১মাস।

    ৩। নখ কাটতে হবে এবং প্রতিদিন গোসল করতে হবে।

    ৪। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের একই চিকিৎসা একত্রে শুরু করতে হবে।

    ৫। জামা কাপড় বিছানার চাদর ভালোভাবে গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে এবং তারপর ইস্ত্রী করতে হবে।

    ৬। যেকোনো কাপড় পরার পূর্বে ইস্ত্রী করে পরতে হবে এভাবে দুই সপ্তাহ চলবে কাপড়ের চিকিৎসা।

    ৮. SCABIES চিকিৎসায় কোনরকম Steroid বা Steroid জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করা যাবে না। নয়তো পরবর্তীতে এটা ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে।

    ৯. Scabies এর চুলকানি যেতে সময় লাগতে পারে তাই এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ ছয় থেকে আট সপ্তাহ কন্টিনিউ করা লাগতে পারে।

    ১০.সকলের সহযোগিতা এবং সচেতনতাই Scabies থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব।

    ১১। সেকেন্ডারি ইনফেকশন এর ক্ষেত্রে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক নিতে হবে।

    ****রাস্তাঘাটে মলম বিক্রেতা বা ফার্মেসী ওলা বা ম্যাটস্, গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তারের পরামর্শ বা চিকিৎসা নিবেন না। ওষুধের দোকান থেকে যত্রতত্র এলার্জির কথা বলে ওষুধ কিনে খাবেন না।

    উল্লেখ্য যে, হাতুড়ে ও ফার্মেসী ওলা রা এটিকে করোনা ভ্যাক্সিন নেয়ার পর এলার্জি হচ্ছে বলে মুড়ির মতো নামি বেনামি মেডিসিন বিক্রি করছে এমনকি স্টেরয়েড ইনজেকশন ও দিচ্ছে যার কারনে রোগটি দিন দিন ভয়াবহ অবস্থা নিচ্ছে।

    রোগটি খুব দ্রুত একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র থেকেও সংক্রমিত হয়। যেমন, একসাথে থাকলে, আক্রান্ত ব্যাক্তির কাপড়, বেডশিট, চিরুনি, গামছা ইত্যাদি ব্যবহার করলে।

    করণীয়……
    ->ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন।

    ->আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত পোশাক, বিছানার চাদর ইত্যাদি আলাদা রাখুন।

    -> ডার্মাটোলোজিস্ট বা স্কিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং আশেপাশের মানুষদের সচেতন করুন।

    জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োজন:
    সরকারিভাবে জনগণকে সচেতন করা। আক্রান্ত পরিবারগুলোকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা।

    চিকিৎসা :
    5% Permithrin cream
    Permithrin soap

    10-25% Benzyl benzoate emulsion

    5-10% Sulfur ointment

    চুলকানী কমাতে Antihistamine (Fexofenadine, Rupatidine etc)

    সবচেয়ে ভালো হয় স্কিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিলে…..

    Scabies প্রতিরোধে আমরা সবাই একসাথে সচেতন হই এবং অন্যদের সহযোগিতা করি।

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • কার কার সাথে এমন হয়েছে……

    কার কার সাথে এমন হয়েছে……

    ফুটফুটে সুন্দর একটা বাবু। প্রস্রাব ক্লিয়ার হচ্ছে না, প্রিপিউস চিপকে পথ টা সরু হয়ে গেছে । ৪/৫ বছর বয়স হবে হয়তো। ভালো করে দেখে, Circumcision (মুসলমানি) করার জন্য কাউন্সেলিং করলাম। কারণ, খুব দ্রুত মুসলমানি করতে হবে নয়তো ইনফেকশন হয়ে যাবে…..

    জুম্মার নামাজের পর বাবু কে পাঞ্জাবি টুপি পড়িয়ে ওর মা বাবা নিয়ে আসলো।

    বাচ্চা কাছে এসে লম্বা করে সালাম দিলো, হাত মলাকাত করলো…..

    খুব খুশি হলাম, কি ভদ্র বাচ্চা! মাশাল্লাহ। মনে মনে ভাবলাম বাচ্চা সহসী আছে, বেশি চিল্লাপাল্লা করবে না…..

    ওটি তে নিয়ে প্যান্ট খুলে বেবি নিডেল দিয়ে যেই না লোকাল পুশ করলাম, ওমনি….শুরু হয়ে গেলো গালিগালাজ……

    এই ডাক্তারের বাচ্চা….তোকে দেখে নিবো! তোর পিছে কুত্তা লাগিয়ে দিবো…ও মাগো, ও বাবাগো আর সব কেটে নিয়ে গেলো…সবাই তো হোহো করে হেসে দিলো….আমি তো ভয় ই পাচ্ছিলাম না জানি রাস্তাঘাটে দেখে চিনতে পারলে আবার কপালে বল ছুড়ে মারে…..

    পকেট থেকে একটা ললিপপ বের করে বাচ্চার মুখে ঢুকিয়ে দিয়ে Alisklam device পড়িয়ে দিয়ে ঝটপট কাজ শেষ করে মলদ্বারে একটা ১২.৫ ভল্টালিন ঢুকিয়ে দিয়ে প্যান্ট পরিয়ে দিলাম….

    যাওয়ার সময় সালাম দিলাম, সালাম তো নিলোই না, উল্টো ভয়ংকর লুক দিলো……🤣

    Dr. Rezbaul Hasan royal

  • ডেঙ্গু জ্বর…..

    ডেঙ্গু জ্বর…..

    আসসালামু আলাইকুম,

    আমরা সকলেই জানি ডেঙ্গু একটি ভাইরাসজনিত রোগ। গতবছর ডেঙ্গু মহামারী আকারে দেখা দিয়েছিলো। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রতিদিন হাসপাতালে মানুষ মারা যাচ্ছে।

    আজকের এই প্রতিবেদন টি, ডেঙ্গু প্রতিকারে করনীয় কি কি? ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কি কি? কখন হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে? চিকিৎসা ও পরীক্ষা নীরিক্ষা সম্পর্কে আলোকপাত করছি……

    ডেঙ্গু ভাইরাস টি ছাড়ায় এডিস মশার কামড়ে। এডিস মশাটি মোটামুটি একটি অভিজাত প্রজাতির মশা, বড় বিল্ডিং দালান কোটাতে এদের বসবাস, এরা ফ্রেশ পানিতে ডিম পাড়ে আর বংশবৃদ্ধি করে। রাস্তায় ফেলে রাখা ডাবে খোসা, চিপস্ এর প্যাকেট, ফুলের টব ইত্যাদিতে বৃষ্টির ফলে পানি জমে থাকে সেই সব জায়গায় পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে ও বংস বিস্তার করে।বর্তমানে বৃষ্টি হচ্ছে প্রায় প্রতিদিন, এই সময়টি এডিস মশার বিস্তার লাভের উপযুক্ত সময়।

    মনে রাখতে হবে যে, এডিস মশা দিনের বেলা কামড়ায়, গভীর রাতে এই মশা কামড়ায় না। বিশেষ করে সন্ধ্যা বেলা ও ভোরের দিকে এই মশা বেশি কামড়ায়। হাত ও পা এ বেশি কামড়ায়।

    এমন কি একটি ডেঙ্গুবাহিত মশাও যদি কাউকে কেবল এক কামড় দেয়, তখনো মশার লালাতে অবস্থিত ডেঙ্গু ভাইরাস মশা থেকে মানুষের শরিরে চলে আসবে, এবং কামড় দেওয়ার ৩-১৪ দিনের মধ্যে জ্বর আসবে। বেশির ভাগ রোগীর, মশার কামড়ের ৫-৬ দিনের মধ্যে জ্বর দেখা যায়।

    ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ: প্রথম ৩-৪ দিন

    ১। জ্বরের সাথে সাথে সারা শরীর ব্যাথা করবে

    ২। চোখের পিছনে খুব ব্যাথা হবে

    ৩। পেটে ব্যাথা হবে

    ৪। শরীর চুলকাবে, Rash দেখা দিবে

    ৫। সর্দি কাশি তেমন একটা থাকেনা

    ৬। জয়েন্ট পেইন হবে, এবং মাংশপেশিতে ব্যাথা হবে

    ৭। পেটে ও বুকে পানি জমে যেতে পারে

    ৮। জ্বর হাই গ্রেড থাকবে

    এছাড়াও বমি বা বমি বমি ভাব থাকতে পারে, অরুচি থাকে।

    প্রথম ৩-৪ দিন পর ৮০-৯০% পেশেন্ট রিকভারি স্টেজে চলে যায়, ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকে। সুস্থ হবার আগে শরীরে Rash দেখা দিতে পারে।

    আর ১০-২০ % পেশেন্টে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার ডেভেলপ করতে পারে, জ্বর শুরু হওয়ার ৪-৫ দিন পর। তাই মনে রাখবেন, জ্বর কমে গেলে ডেঙ্গু রোগী আরো বেশি খারাপ হওয়ার ঝুঁকি থাকে….

    তখন নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো পাওয়া যাবে:

    ১। বমির সাথে রক্ত যাবে

    ২। ডায়েরিয়ার সাথে রক্ত যাবে

    ৩। নাক দিয়ে রক্ত বের হতে পারে

    ৪। দাতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হবে

    ৫। মাসিকের রাস্তা দিয়ে রক্ত বের হতে পারে

    তখন সাথে সাথে পেশেন্ট কে হসপিটালে ভর্তি করাতে হবে। এই সময় রোগীর প্রেসার কমে যায়, হার্টবিট বেড়ে যায়, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। কিডনি বিকল হওয়াসহ রোগী শকে চলে যেতে পারে এবং তখন মৃত্যু ও হতে পারে।

    ডেঙ্গু কনর্ফাম হওয়ার জন্য, CBC করে Platelet count দেখা হয়। Platelet Count কমে যাবে, আর জ্বর শুর হবার প্রথম ৪ দিনের মধ্যে Dengue NS1 Antigen positive আসবে। প্রথম ৫ দিন পর…….

    Dengue IgM পজিটিভ =Active infection

    Dengue IgG পজিটিভ = রিকভারি (৮ম থেকে ৯ম দিনে পজিটিভ হয়) মানে রোগী ভালোর দিকে…..

    বর্তমানে ঢাকা ও এর আশে পাশের শহরে কেউ জ্বর, শরীর ব্যাথা, জয়েন্টে ব্যাথা, ক্ষুধা মন্দা, বমি বমি ভাব, নিয়ে আসলে ডেঙ্গু সন্দেহ করে নিচের পরীক্ষা গুলো করে নেয়া খুব জরুরি

    CBC

    Dengue NS1 antihigen (জ্বর শুরু হবার প্রথম ৪ দিনের মধ্যে আসলে)

    ৫ম দিনে আসলে

    CBC,

    NS1

    Dengue IgM

    ৫ দিন শেষ হবার পরে আসলে-

    CBC,

    Dengue IgM antibody

    এই গুলি ডেঙ্গু কনফার্ম করার জন্য।

    চিকিৎসা :

    জ্বর অনেক বেশি থাকে তাই paracetamol 500mg

    2+2+2 করে ভরা পেটে, বাচ্চাদের জন্য নয়।

    চুলকানি থাকলে Fexofenadin 120mg রাতে এক বেলা। সাথে প্রচুর পরিমানে তরল জাতীয় খাবার খাবেন। যেমন, ডাবের পানি, ORS(১/২লিটার পানিতে গুলিয়ে) রুম টেম্পারেচার ফ্যান ছেড়ে দিয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে গা মুছে দিবেন। আর যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব MBBS ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

    ছোট বাচ্চা, গর্ভবতী মা, হার্ট এর রোগী, কিডনির রোগী, ডায়বেটিস ও হাই প্রেসারের রোগী অবশ্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • মেডিকেল জোক্স

    মেন্টাল হট্ লাইন থেকে ফোন আসলে কেমন হবে… 😛
    -> আপনার যদি OCD থাকে তবে…বার বার শূন্য চাপুন…..
    -> আপনি যদি co-dependent হন….তবে, কাউকে বলুন ২ চাপতে….
    -> আপনার যদি Dissociative identity disorder (multiple personality disorder) থাকে তবে….২,৩,৪,৫,৬,৭…….চাপুন
    -> আপনি যদি paranoid হন তাহলে….আমরা জানি আপনি কে এবং কি বলতে চাইছেন। আমাদের সাথেই থাকুন যাতে আমরা আপনার কল্ ট্রেস করতে পারি……
    -> আপনি যদি Delusional হন তবে, ৩ চাপুন এবং আপনার কল্ আপনার কাঙ্ক্ষিত লোকের কাছে ট্রান্সফার করা হবে…..
    -> আপনার যদি Schizophrenia থাকে তবে, মন দিয়ে শুনুন আস্তে করে কেউ একজন আপনাকে বলে দিবে কোন নাম্বারটা চাপতে হবে…..
    -> আপনি যদি Manic-depressive হন তাহলে, যা ইচ্ছা চাপুন কেউ উত্তর দিবে না……
    -> আপনার যদি Amnesia থাকে তাহলে, ৪ চাপুন এবং আপনার নাম, ঠিকানা, ভোটার আইডি নাম্বার, ফোন নাম্বার, মায়ের নাম, বাবার নাম, শ্বশুর-শ্বাশুড়ির নাম, দাদি-নানী শ্বাশুড়ির সহ চোদ্দগুষ্টির নাম ঠিকানা বলুন…….
    -> আপনার যদি Bipolar disorder থাকে তবে, বিপ্ শোনার পরে অথবা বিপ্ শোনার আগে অথবা বিপ্ শোনার পরে আপনার মেসেজ রেকর্ড করুন এবং বিপ্ শোনার জন্য অপেক্ষা করুন…….
    -> আপনি যদি Low self-esteem হয়ে থাকেন, তাহলে বাদ দেন, আপনার সাথে আমাদের অপারেটরদের কথা বলার টাইম নাই…….
    -> আপনার যদি short-time memory loss সমস্যা থাকে তাহলে ৫ চাপুন, ৫ চাপুন, ৫ চাপুন, ৫ চাপুন, ৫ চাপুন………..
    ………… 😛

    Dr.royal

Verified by MonsterInsights