Author: dr.rezbaulhasanroyal@gmail.com

  • অটো ওলা মামার চালাকি….🤪

    অটো ওলা মামার চালাকি….🤪

    একজন অটোচালক কিভাবে তিন থেকে চারগুণ ভাড়া আদায় করে………


    ১। এক ছেলে গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে দিনাজপুর রামসাগর ঘুরতে যাবে! সে যেখান থেকে যাবে সেখান থেকে ভাড়া সবোর্চ্চ ৩০/-।

    -> মামা যাবেন?

    -> হ! যামু! কই যাবেন?

    -> রামসাগর দুইজন! কতো ভাড়া?

    -> ১০০ টাকা

    -> কি কন মিয়া? ৩০ টাকা ভাড়া ১০০ টাকা চাচ্ছেন কেনো?

    -> ঠিক আছে! ওঠেন! তয় রাস্তায় লোক্ পাইলে তুইলা নিমু!

    -> না, না, লোক তোলা যাবে না!

    চলেন ১০০ টাকাই নিয়েন!

    অটোঅলার মুচকি হাসি………

    ২। এক মেয়ের প্রইভেট শেষ হওয়ার কথা ৫ টায়। সে প্রাইভেট শেষ করে অটো নিলো।

    মাঝপথে অটো থামিয়ে বয়ফ্রেন্ডের সাথে চা-কফি খেয়ে আড্ডা দিলো ১ ঘন্টা।

    অটোঅলা চুপ করে বসেছিলো।

    বাসার সবাই অস্থির হয়ে নিচে নেমে ফোন দিচ্ছে বার বার।

    এদিকে মেয়ে অটোতে উঠে বলছে….”””মামা তাড়াতাড়ি যান্””…এমনিতে সামনে জ্যাম।

    মামার মেজাজ গরম হয়ে গেলো!

    অটোথামিয়ে বললো….”””তুমি প্লেইন ভাড়া করে যাও!”””

    অগত্যা সরি বলে মেয়ে চুপ মেরে বসে আছে। বাসার কাছে যাওয়া মাত্র মেয়ের মা, বোন, ভাই ছুটে এসেছে! দেরি হলো কেনো তোর?

    অটোচালককে বললো ভাড়া কতো??

    -> ১৫০ টাকা

    মেয়ের ভাই ঝাড়ি দিলো! মিয়া ৩০ টাকার ভাড়া ১৫০ টাকা চান কেনো?

    “””আপনার বোন অটো থামিয়ে কলো করে লম্বা, চশমা পড়া একটা ছেলের সাথে দেড় ঘন্টা আড্ডা দিয়েছে! তাই অপেক্ষা করার জন্য ভাড়া ১৫০ টাকা!”””

    ভাই ক্ষেপে গিয়ে ১৫০ টাকা বের করে দিয়ে মেয়ের দিকে ঘুরে বলছে ”’চল্ বাসায় তোর খবর আছে”””
    …….. 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • “””এই যে! চোখে দেখেন না?”””

    “””এই যে! চোখে দেখেন না?”””

    রংপুর মেডিকেল মোড়,
    বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, দিনাজপুর যাবো!

    একটা মেইল সার্ভিস (সিটিং বাস) আসল।

    বেশি ভিড় নেই তবুও বাসে ওঠার জন্য একটা ন্যাচারেল তাড়া সবারই থাকে।

    ঠিক যখন আমি উঠবো, হাই হিল পড়া এক মেয়ে ফোনে বাবু, শোনা, বাসে উঠবো বাই,বাই,টা,টা….করে দৌড়ে এসে ধাক্কা দিয়ে উঠে গেলো।

    পিছনে হেল্পারের গায়ে না লগলে পড়েই যেতাম। সরি তো দুরের কথা সেই মেয়ে ঘুরে বলছে….

    “””এই যে! চোখে দেখেন না?”””

    আশেপাশে যারা ছিলেন ক্ষেপে গেলেন। আমি তাদের থামিয়ে দিলাম।

    কিন্তু মেজাজটা এতোটাই গরম হয়েছিলো যে, প্রতিঙ্গা করে ফেললাম “””তুমি যে-ই হও, আজ তোমাকে সাইজ করবো!”””

    বাসে উঠে দেখি, মহিলাদের জন্য বরাদ্দ ৯ টা সিটের মধ্যে খালি থাকলে সেই মেয়েটি মাঝের সিটে বসেছে। সামনে সিট খালি না থাকায়, বাধ্য হয়ে মেয়েটির পাশে বসে পড়লাম।

    ইয়া মোটা সান গ্লাসের ভেতর দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি একটা শুকনো হাসি দিলাম।

    দেখে মনে হয় না কোন অভদ্র ঘরের মেয়ে। হয়তো পরিবারের ছোট্ট মেয়ে না হয় কোন ধনীর একমাত্র দুলালী। সুন্দরীও বটে!

    পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ছেকড়া তাকাচ্ছে বার বার। বাসের ছোট্ট সিটগুলোতে পায়ের ওপর পা দিয়ে অতি কষ্টে বসে আছে মেয়েটি। হঠাৎ মনে হলো, হতে পারে প্রাইভেট কার নষ্ট হয়েছে তাই জীবনের প্রথম বাসে উঠেছে!

    বুঝতে পারছি না……
    এসব ভাবতেছিলাম। সাডেনলি মেয়েঠি চশমা খুলে আমাকে জিজ্ঞেস করছে, “”আপনি কোথায় যাবেন???””

    আমি অবাক হওয়ার ভান করে, চিল্লায়ে বললাম, কি ১০০০টাকা?

    আশেপাশের সবাই চমকে উঠলো আর মেয়েটার দিকে তাকালো।

    কে কি বুঝলো জানি না! হ্যাংলা একটা ছেলে পকেটে হাত দিলো। টাকা গুনছে মনে হয় ১০০০ হবে কিনা। আমি চুপচাপ বসে আছি।

    মেয়েটি লজ্জায় লাল্ হয়ে গেলো! একটা ছাল ওঠানো পাকা কমলা, এই বুঝি ফেটে যাবে।

    গায়ের চাদরটি মাথায় দিয়ে মাথা নীচু করে বসে রইলো।

    ঠিক্ দশমিনিট পর, আমার গায়ে বমি করে দিলো! না ঠিক্ বমি নয়, বমি করার আগে উকি আসলে যে লালামিশ্রিত মিউকাস বের হয় সেটা। লাফ দিয়ে উঠে বাস স্টাফের কাছে পলিথিন নিয়ে দিলাম এবং পকেট থেকে টিশ্যু পেপার বের করে আমার শার্ট ও প্যান্টে লাগা মিউকাসগুলো মুছে ফেললাম।

    আগের চেয়ে অনেক বেশি ঘৃণা জিনিসটা কমে গেছে আমার বুঝতে পারলাম। একদিন বড়ো ভাইয়ের সাথে সিসিইউ তে নাইটে ছিলাম। তিনটা সিরিয়াস রোগীর ২০ মিনিট পরপর বিপি নিতে হয়েছে সেদিন।

    তারমধ্যে এক রোগী বাথরুম করেছিলো আর ঐ রোগীর আশেপাশে দুর্গন্ধ শুরু হয়েছিলো। ভাইয়া বিষয়টা জানতেন না, তাই আমাকে বিপি নিতে বলে একটা নতুন রোগী রিসিভ করছিলেন। আমি বিপি নিতে গিয়ে গড়গড় করে বমি করে দিলাম। রোগী ও সাথে তাদের লোকজন কাচুমাচু করে তাকালেন।

    লজ্জায় আমার কান্না চলে এসেছিলো। ভাইয়া হেসে দিয়ে বলেছিলেন সব রোগী কিংবা রোগীনী তোমার বাবা-মা’য়ের মতো ভাববা।

    যাইহোক্ মেয়েটিকে কিছু বললাম না বরং ব্যাগ থেকে পানি বের করে দিলাম। সে কুলি করে ফ্রেশ হলো। একটা হায়োসাইন হাইড্রো ব্রোমাইড (Joytrip) দিয়ে চুষে ক্ষেতে বললাম।

    একটু হেসে বললাম কি ব্যাপার?

    আপনি মা হতে চলেছেন নাকি?

    মুখে হাত দিয়ে খিল্ খিল্ করে হেসে উঠলো!………

    কিচ্ছুক্ষণ পর সে সুস্থ হলো এবং কানে চিমটি দিয়ে সরি বললো আর অনেকগুলো ধন্যবাদ দিলো…….

    তারপর, পুরো দুই ঘন্টা জার্নি তে অনেক কথা হলো……

    তারমধ্যে আমার প্রেডিকশনের সাথে কমন পড়েছে যেটা সেটা হলো……সে বাড়ির ছোট্ট এবং একমাত্র মেয়ে!

    ওহ্ ভালো কথা, ওর বিয়ে আমাগী মাসে ঐ যে ফোনের শোনা বাবু টার সাথে , আমাকে স্পেশালি দাওয়াত দিয়েছে।

    জিহ্বা দিয়ে ঠোঁটদুটো ভিজিয়ে বলেছিলাম “আসবো!”……..

    Dr. Rezbaul Hasan

  • সার্জারি ওয়ার্ড….

    সার্জারি ওয়ার্ড….

    সার্জারি ওয়ার্ড:

    লেপারোস্কোপি করার আগে রোগীর পেটের মধ্যে কার্বনডাইঅক্সাইড দিয়ে পেট ফুলিয়ে নেয়া হয়।

    যাতে ভিতরের অর্গানগুলো ঠিকমত বোঝা য়ায়।

    তারপর শরীরে চারটা ফুটো করে পাইপের মতো যন্ত্র দিয়ে অপারেশন করা হয়। (সাধারণ ভাষায়)

    ভালো কথা।

    পিছন থেকে কে যেনো প্রশ্ন করলো….

    স্যার, অপারেশন এর পর পেটের মধ্যেকার কার্বনডাইঅক্সাইড গ্যাসটা কি হয়?

    ঠিক্ তারপর পিছন থেকেই উত্তর টা আসলো…..

    “””অপারেশনের পর গ্যাসটা, নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেইনটেইন করে বের হয় এবং রোগী, রকেটের গতিতে অপারেশন থীয়েটার থেকে বাড়িতে চলে যায়”””

    সবাই হো হো হো…. হেসে দিলো।

    যে বলেছিলো সে ভাবলো এই বুঝি স্যার রাগ করবেন।

    না! তা হলো না!

    স্যার, বললেন,
    “””অপারেশন শেষ হলে রোগীকে ফায়ার সার্ভিস এ জব্ দেয়া হয়, যাতে সে পেটের মধ্যে থাকা কার্বনডাইঅক্সাইড গুলো দিয়ে আগুন নেভাতে পারে!”””

    আবার সবাই হো হো হো করে হেসে উঠলো…….

    পরে অবশ্য, স্যার উত্তরটা বলে দিয়েছেন… 🙂

    Dr. Rezbaul Hasan

  • মেয়ে : আমি চোখ বন্ধ করলে আপনি কিস্ করবেন…

    মেয়ে : আমি চোখ বন্ধ করলে আপনি কিস্ করবেন…

    এক মেয়ে জ্যোতিষীর কাছে গিয়ে বললো….

    -> বাবা আমি ভবিষ্যৎ দেখতে চাই!

    জ্যোতিষী : বৎস! কাছে আসো…..

    মেয়েটি কাছে আসলো….

    জ্যোতিষী : আরো কাছে….

    মেয়েটি আরো কাছে গেলো….

    জ্যোতিষী : আরো কাছে…..

    মেয়েটি আরো কাছে গেলো…

    জ্যোতিষী : এবার চোখ বন্ধ করো….

    মেয়ে : না!

    জ্যোতিষী : কেনো?

    মেয়ে : আমি চোখ বন্ধ করলে আপনি কিস্ করবেন…

    জ্যোতিষী : এই তো তুমি ভবিষ্যৎ দেখতে শুরু করেছ! এবার ভিজিট দিয়ে বিদায় হও……
    ……………. 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • হাত টা ছেড়ে দে, মেডিকেল কলেজের মেয়ে দেখতে পাবি..

    হাত টা ছেড়ে দে, মেডিকেল কলেজের মেয়ে দেখতে পাবি..

    এক ছেলে অনেক কষ্ট করে একটা বড়ো গাছে ঝুলে, দূরে কি যেনো দেখছে………

    গাছের নিচে এক দাদু অনেক ক্ষণ ব্যাপারটা লক্ষ্য করে কিছু বুঝতে না পেরে ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করলো..

    -> এতো কষ্ট করে ওখানে ঝুলে আছিস কেনো?

    ছেলে : দাদু তুমি ওসব বুঝবা না! এখন থেকে ঐ যে ইন্জিনিয়ারিং কলেজের মেয়ে দেখা যায়…..

    দাদু : হতোচ্ছাড়া হাত টা ছেড়ে দে, মেডিকেল কলেজের মেয়ে দেখতে পাবি……..
    ……………. 😛 …………….

    Dr. Rezbaul Hasan

  • জাস্ট্ একটা টান দিয়ে দাঁত টা তুলে দিন তাড়াতাড়ি..

    জাস্ট্ একটা টান দিয়ে দাঁত টা তুলে দিন তাড়াতাড়ি..

    এক লোক হন্তদন্ত হয়ে দাঁতের ডাক্টারের চ্যাম্বারে ঢুকলেন।

    ডাঃ : কি সমস্যা বলুন…..

    লোক : ডাক্টার সাহেব, আমার খুব তাড়া আছে! এনেস্থেসিয়া, ইন্জেকশান কোন কিছুর দরকার নাই! জাস্ট্ একটা টান দিয়ে দাঁত টা তুলে দিন তাড়াতাড়ি প্লিজ…

    ডাঃ সাহেব অবাক হয়ে ঐ লোকের সাহসের খুব প্রশংসা করলেন!বাহ্, বাহ্……আপনি তো খুব সহসী লোক্…. তা কোন দাঁতটা তুলতে হবে বলুন…?

    হঠাৎ ঐ লোক্ চ্যাম্বারের বাইরে বসা ওনার ওয়াইফ কে ডেকে এনে বলছেন….

    “””তোমার কোন দাঁতটা তুলতে হবে দেখিয়ে দাও, ডাক্টার সাহেব কে….!”””
    …………. 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • আমরা জাতি হিসেবে বড়োই অদ্ভূত…

    আমরা জাতি হিসেবে বড়োই অদ্ভূত…

    আমরা জাতি হিসেবে বড়োই অদ্ভূত। মুখদিয়ে যে কথাটা বের হয়ে যায় তাকে আর ফেরানো সম্ভব নয়, সেটা কথা বলা শেষ করে ভাবতে বসি।

    পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী খাবারে মুখ লাগিয়ে খায়। খাবারে মাথা নতো করে খাবার খায়।একমাত্র প্রাণী আশরাফুল মাখলুকাতকে মহান আল্লাহ্ এমনভাবে সৃষ্টি করলেন যাতে মানুষ খাবার হাতদিয়ে তুলে মুখে দেয়। মাথা নতো হবে তা যেনো রিযিকের সামনে না হয়।

    মানুষের মাথাটা নতো হোক রাজ্জাকের( রিজিকদাতা) সামনে……মহান আল্লাহর সামনে।

    মায়ের পেটে ফিটাস অবস্থায় থাকা কালেও মহান আল্লাহ্ মানুষের মুখটাকে পবিত্র রেখে প্লাসেন্টার মাধ্যমে নাভীর সাহায্যে আহার করিয়েছেন। যাতে মানুষের মুখটা পবিত্র থাকে।

    কেনো জানেন?

    যাতে মানুষ পবিত্র মুখে মহান আল্লাহর পবিত্রতম নাম ধরে ডাকে…..

    আমরা, জন্মেরপর সেই পবিত্রমুখটাকে কথা বলে অপবিত্র করে থাকি।

    প্রথমত আপনি মানুষকে কিভাবে চিনবেন? তার ড্রেসআপ দেখে?

    না! হ্যাঁ, ড্রেসআপ কিংবা গেটআপ দেখেও চিনবেন কিছুটা। কিন্তু মানুষটাকে ভালো করে চিনতে হলে তার কথা শুনতে হবে আপনাকে। যে মানুষগুলো বেশি বেশি আমি, আমি করে তারা বেশিরভাগ সময় স্বার্থপর ও প্রচারমুখী হয়।

    ছোটবেলা থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও জাতির ব্যাপারে জানার আগ্রহ ছিলো। সম্পুর্ণ অপ্রত্যাশিত একটি কারনে আজ পৃথিবীর একটি দেশ ও জাতির কথা মনে পড়ে গেলো……যারা কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী।

    উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে বাল্টিক সাগরের উপকূলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড।

    বছরের বেশিরভাগ সময় বরফে আচ্ছাদিত থাকে দেশটি। তাই তারা ঠান্ডায় জ্যাকেটের ভেতর থেকে হাত বের করে কখনোই হ্যান্ডশেক করে না।

    এমনকি চায়ের দোকানে বসে ঘন্টারপর ঘন্টা আড্ডাও দেয় না।

    বাকী ৩/৪ মাস গ্রীষ্ম থাকে তখনও তাদের ঐ অভ্যাসটাই থেকে যায়।

    এক বড়োভাই একটা ঘটনা বলেছিলেন,

    ফিনিশ এক রুমমেট নাকি তার অপর রুমমেট কে টানা ৬ মাস পর একটা কথা বলেছিলো……..
    “”””I think it’s your turn to buy a toilet paper””””

    বুঝুন ব্যাপারটা।

    যাইহোক্ আসল কথায় আসি……

    এই ফিনিশীয়রা চুপচাপ সৎ ও পরিশ্রমি একটি জাতি। অনেক কয়েকবার তারা দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তবুও কোনদিন গর্ব করে বুক ফুলে বলে বেড়ান নাই।

    তারচেয়েও বড়ো ব্যাপার কি জানেন?

    এই ফিনল্যান্ডকে বলায় ইউরোপের উচ্চশিক্ষার স্বর্গরাজ্য……

    কারণ কি?

    শিক্ষা একটি জাতির জন্মগত অধিকার ও রাষ্ট্রকর্তৃক প্রদত্ত সেবা হিসেবে বিবেচিত হয় ফিনল্যান্ডে।

    ফিনল্যান্ডে ৭ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা বিনামূল্যে শিক্ষা লাভ করে।

    প্রাথমিক স্কুলে ৬ বছর এবং মাধ্যমিক স্কুলে ৩ বছর লেখাপড়া করা সবার জন্য বাধ্যতামূলক।

    গবেষণায় ফিনল্যান্ডের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিশ্বের শিক্ষাছকের শীর্ষে অবস্থান করছে।

    উচ্চশিক্ষার জন্য ফিনল্যান্ডে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়, অসংখ্য কলেজ এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ স্কুল রয়েছে।

    ইউরোপের যে দেশেগুলোতে টিউশন ফি ছাড়া উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা যায় তাদের একটি ফিনল্যান্ড।

    তাই এদেশে বিভিন্ন ভাষা শিক্ষার বিশেষ সুযোগ রয়েছে । এখানে অভিবাসীদের ছেলেমেয়েদের জন্য তাদের নিজেদের ভাষা শিক্ষার সুযোগও রয়েছে, যেটা যুক্তরাজ্যের মতো বহু বর্ণ ও সংস্কৃতির দেশেও অনুপস্থিত।

    আর আমরা এখনো টিউশন ফ্রি বাড়াতে ব্যাস্ত!

    সামান্য কিছু করলে তা মিডিয়ায় প্রচার করতে ব্যাস্ত।

    হয়তো দেখে থাকবেন!

    বন্যাদুর্গতের মাঝে এক মগ ডাল ঢেলে দিতে নয়জন মানুষ ভীর করেছে……..শুধুমাত্র প্রচারের জন্য।

    আমাদের কাজে কর্মে সংযত হওয়া দরকার। বিশেষ করে মুখটাকে বেশি সংযত করে চালোনা করা দরকার…….

    Dr. Rezbaul Hasan

  • স্যার বললেন না যে, হুসাইন কার জামাই ছিলো?

    স্যার বললেন না যে, হুসাইন কার জামাই ছিলো?

    এক বড় ভাইসহ আজিজ সুপার মার্কেট থেকে শাহবাগ মোড় মাত্র ২০০মিটার রাস্তা রিক্সায় যাওয়ার জন্য… ভাই রিক্সা ডাকলেন।

    -> এই মামা যাবেন?

    -> কই যাইবেন?

    -> সামনের মোড় এ….

    -> ৩০ টাকা লাগবো।

    বড় ভাই, আঁতকে উঠে বললেন….এই মিয়া জানো, উসাইন বোল্টের সামনের মোড়ে যাইতে মাত্র ১২ সেকেন্ড লাগবে।

    -> সাইনবোর্ড তো, অনেকদূর। কি বলেন এসব?

    -> আরে গাধা। সাইনবোর্ড না, উসাইন বোল্ট! জ্যামাইকার অধিবাসী।

    -> এইটা আবার কে?

    -> ১০ টাকায় যদি যাও, তাহলে বলবো উসাইন বোল্ট কে!

    -> হেহেহে…..হাসাইলেন স্যার। হুসাইন কে ছিলো জাইনা কি করুম?

    আমি হাসতে হাসতে বললাম, বাদ দেন ভাই। চলেন হেঁটে যাই।

    না হলে ২০ টাকা দিলে মনে হয় যাবে। রিক্সা নেন।

    পরে….২০ টাকা ঠিক করে, মোড়ে নামার পর, ভাড়া দিয়ে দিলে, রিক্সাওলা মামা টাকা গুণতে গুনতে বললো…..””স্যার বললেন না যে, হুসাইন কার জামাই ছিলো?””

    …..এবার আমরা দুজনেই হাসতে হাসতে দৌড় দিলাম……. 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • আজ ভালোবাসার এক অতুলনীয় গল্প শোনাবো….

    আজ ভালোবাসার এক অতুলনীয় গল্প শোনাবো….

    আজ ভালোবাসার এক অতুলনীয় গল্প শোনাবো….

    ওয়াইফ অসুস্থ দীর্ঘদিন ধরে।

    দুটো কিডনী তার বিকল হয়েছে।

    প্রায় দৌড়ান হাসপাতালে। ৭/৮ বছর পর যখন আর
    কোনোভাবেই কাজ হচ্ছিলো না, তখন, নিজের একটা কিডনী দিয়ে দিলেন স্ত্রী কে…….।

    জীবনের শুরুটা করেছিলেন অনেক কষ্টে, সারাজীবন তাঁর স্ত্রী তাঁকে সহযোগিতা করেছেন পাশে থেকে….। খুব ছোট বেলায় তাদের বিয়ে হয়। চার সন্তানের জনক-জননী তারা।

    বিবাহিত জীবনের ৪৫ বছর হতে চলেছে, তাঁদের। এই দীর্ঘ সময়, কখনো খেয়ে, কখনো বা না খেয়ে কেটেছে দিনগুলো। কিন্তু, ভালোবাসার কমতি ছিলো না, কখনো।

    বৃদ্ধ চাচা-চাচী ফোকলা দাঁতে, হেসে দিয়ে বলেন…..মানুষ, খেয়ে মরে, না খেয়ে মনে না!

    আর ভালোবাসা না থাকলে তো, জীবনটাই বৃথা। তাঁরা ভালোবাসার স্বাদ পেয়েছেন।

    ক’জনে বা পায়?

    আজকাল তো, বিয়ের পর ৪/৫ বছরও একিছাদের নিচে থাকে না, মানুষ। ঝগড়াঝাঁটি, মারামারি, কাটাকাটি করে…..জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্তটি নিয়ে আলাদা হয়ে যায়…।

    তারপর শুরু হয় জীবনের নতুন অধ্যায়…. তখন, বুঝতে পারে, কি ভুলটাই না করেছেন তারা!

    এই চাচা-চাচী ৪৫ বছর কাটিয়েছেন একসাথে, একটাবারের জন্যও স্বামীকে অবজ্ঞা, অবহেলা করেন নি, একদিনের জন্যও কষ্ট দিয়ে কথা বলেন নি। আজ তাইতো, তাঁর জীবনের কঠিন মুহূর্তে স্বামী নিজের সবচেয়ে মূল্যবান অর্গান দিয়ে স্ত্রী কে সুস্থ করলেন।

    একটি কিডনি দান করলেন। বাঁচলে দুজন একসাথে, মরলে দুজন একসাথে।

    এইরকম স্ত্রীর জন্য এইটুকু তো অবশ্যই প্রাপ্য তাই না বলেন?

    তাঁদের ভালোবাসার গল্প আজ পুরো হসপিটালের মুখে মুখে।

    এরকম আরো অনেক গল্পের স্বাক্ষী হয়ে যাই আমরা।

    চাচীর কিছু হলেই, চাচা হাতদুটো ধরে সান্ত্বনা দেয়, মাথা টিপে দেয়, সারাজীবন পাশে থাকার অঙ্গীকার করে বার বার…..ওদের মা-বাবা, দাদা-দাদী, দু বংসের কেউ বেঁচে নেই। সন্তানরাও যে যাকে নিয়ে ব্যাস্ত। কিন্তু ওরা দুজন দুজনের।

    জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ওরা উপভোগ করেছে। ভালোবাসার স্বাদ নিয়েছে।

    শুনেছি, স্বামী সন্তুষ্ট থাকলে নাকি স্ত্রী জান্নাতি হয়। আর মহানবী (স:) বলেছেন, যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম সেই উত্তম পুরুষ।

    ……….আল্লাহ তাদের দুজন কে এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের শেষে, আখিরাতে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান করুন। আমিন।

    Dr. Rezbaul Hasan Royal

  • শান্তিমতো ঘুমানোর একটা টিপস্ দিচ্ছি….

    শান্তিমতো ঘুমানোর একটা টিপস্ দিচ্ছি….

    যার চ্যাট্ লিস্টে যতোবেশি সবুজ বাতি তার কথা বলার মানুষ ততোই কম থাকে………

    ঘুমানোই ভালো।

    শান্তিমতো ঘুমানোর একটা টিপস্ দিচ্ছি….

    আপনার সেন্সরি নার্ভ গুলোকে স্থির রাখুন! বিশেষ করে যে গুলো স্পেশাল সেন্স ব্রেইন এ ক্যারি করে।

    বুঝলেন না????

    ওকে! বলছি!

    স্বাদ, শব্দ, ঘ্রাণ ও দর্শন থেকে বিরতো থাকুন।

    আর দোয়া পড়ে ডান কাত্ হয়ে শুয়ে পড়ুন।

    বাম পাশে হার্ট থাকে তাই বাম কাত হয়ে শুয়ে পড়লে হার্ট এ প্রেশার পড়ে ফলে হার্টের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।

    সুন্নাহ্ মেনে সুস্থ থাকুন প্রতিদিন। শুভ রাত্রি…

    Dr. Rezbaul Hasan

Verified by MonsterInsights