Author: dr.rezbaulhasanroyal@gmail.com

  • মনুষত্ববোধের অবক্ষয়…

    যতোই দিন যাচ্ছে, মানুষের মাঝে অদ্ভূত কিছু পরিবর্তন আসতেছে।

    মানুষ কেনো যেনো মানুষের মতো থাকছে না…..

    এভাবে মনুষত্ববোধের অবক্ষয় চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে কি হবে জানি না….!

    অনেক বড় বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার যোগত্যা অর্জন হয়নি, তাই ছোটো ছোটো কিছু উদাহরণ দেখে আসি….

    রাস্তায় মানুষের ভিড় দেখে…কিছু মানুষ বলবে…

    “” কি হয়েছে, কি হয়েছে??””

    কেউ বললো “ভাই এ্যক্সিডেন্ট হয়েছে”

    এর পরের প্রশ্নটা হবে… “” কেউ কি মারা গেছে??””

    যদি উত্তর হয় না, তবে নিজের অজান্তেই বলবে… ও….

    গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগেছে তেমন কিছু হয়নি।

    আর যদি, মারা যায়….?

    তবে, আফসোস করবে ঠিকই…কিন্তু রাস্তায় যার সাথেই দেখা হোক্ বাড়িয়ে বাড়িয়ে বলে বেড়াবে…

    আর সবাই যখন খুব মনোযোগ দিয়ে বিষয়টা শুনবে, সে বলতে আরো মজা পাবে।

    হয়তোবা, কখনো স্কুলের বন্ধুদের জোক্স্ বলতে গিয়ে খেয়াল করেছিলেন যে সবাই যখন আপনার জোক্স মন দিয়ে শুনে হাসে ঠিক্ একিরকম আনন্দ আপনারও হয়…..

    এরকম হাজারো উদাহরণ আছে…..

    হসপিটালে ডাক্টার টেস্ট করতে দিলে, টেস্টের রিপোর্ট নর্মাল হলে, রোগীর লোকদের মনটা খারাপ হয়ে যায়….

    কন্সিকুয়েন্স না বুঝে…নিজের অজান্তেই বিড় বিড় করে বলে….এতোগুলো টেস্ট করালাম কিন্তু কই কিছুই তো হলো না?

    মানে কি? বড়ো কোন রোগ হলে কি তবে খুশি হতেন?

    যাইহোক এই ব্যাপারগুলো
    Sadistic personality disorder…অর্থাৎ
    অন্যকে কষ্ট দিয়ে, কিংবা অন্যকে কষ্টের মধ্যে দেখে উদ্বেলিত হওয়া, আনন্দ উপভোগ করা……..এর অন্তর্ভূক্ত হবে কিনা জানি না…..

    তবে, মানুষের মাঝে মনুষত্ববোধ ও মানবতা ফিরে আসুক এই কামনা করি…..

    Dr. Rezbaul Hasan

  • ধূমপান করেন?…

    ধূমপান করেন?…

    স্যার চেস্ট এক্স-রে দেখতে দেখতে রোগীকে জিজ্ঞেস করলেন……

    ->ধূমপান করেন?

    -> আগে করতাম স্যার। এখন বাদ দিছি।

    -> কবে বাদ দিয়েছেন?

    -> বহুদিন হলো সার……..

    -> বহুদিন?

    -> হ! সার, অনেক আগে খাইতাম। ম্যালাদিন হলো বাদ দিছি।

    -> ভেরিগুড্….! কতো বছর আগে বাদ দিছেন, আইডিয়া করতে পারবেন?

    রোগী খুব চিন্তামগ্ন হয়ে হিসেব করছে………অনেক হিসেব করে মাথা নেড়ে বললো……

    -> তাও তিন-চার মাস তো হবেই সার……

    স্যার চোখ বড় বড় করে চশমার ফাঁক দিয়ে আমাদের দিকে তাকালেন……..

    আমরা সবাই হো হো করে হেসে দিলাম……. 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • Untitled post 30002

    দোমুখো মানুষগুলো মস্তিষ্ক বিকৃতজনিত রোগে ভূগে থাকেন।

    প্রত্যেকটা মানুষ তার আসেপাশে থাকা মানুষগুলোর মনোযোগ আকর্ষণ করতে চায় কিংবা সবার মধ্যমণী হতে চায়।

    কেউ বেশি চায় আবার কেউ কম চয়। যারা বেশি চায় তাদের থেকেই বেশিরভাগ মানুষ দোমুখো স্বভাবের হয়।

    আবার অনেকে নিজের অজান্তে অসুস্থতার ভান করে মনোযোগ আকর্ষণ করে…..

    এরকম আরো অনেক আছে যেমন, কেউ হয়তো কোন মজলিস এ হঠাৎ করে উদ্ভট কিছু করে বসে, কেউ বা চুপচাপ কোনায় বসে আছে….

    আর এমনও হয় যার সাথে প্রতিদিন দেখা হয় হঠাৎ করে দুই-তিন দিন তার সাথে আর দেখা নাই, কথা নাই।

    এভাবে, মানুষ মানুষের মনোযোগ আকর্ষন করে কিংবা সে নিজেই কোন মজলিস এর একচ্ছত্র অধীকারী কিংবা মধ্যমণী হতে চায়……

    এমনকি সে যেকোন একজন মানুষকে টার্গেট করে তার ভেতর আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে……

    আমি সর্বোশেষ যে উদাহরন টা দিয়েছি….

    প্রতিদিন কথা হয়, দেখা হয়।

    সাডেনলি দুইতিনদিন দেখা নেই, কথা নেই……এই মানুষ গুলো একজনকে টার্গেট করে তার অন্তরে নাড়া দেয়….

    আর বেশির ভাগ মেয়ে এই ফাঁদে পা দেয় এবং ছেলেটির হাতের পুতুল হয়ে যেদিকে নাচায় সেদিকে নাচে।

    সবগুলোর মধ্যে গীবত করা কিংবা দোমুখো গিরি করাটা হলো সবচেয়ে বড় মানুসিক রোগ।

    এটা করে সে খুব মজা পায় এবং তার এই স্বভাব জনসম্মুখে উন্মোচন না হওয়া পর্যন্ত সে মোটামুটি সবার প্রিয় মানুষ হয়ে যায়…..

    তখন তার কছে সবার অনেক গোপন তথ্য থাকে। তাই বাধ্য হয়েও কেউ তার কিছুই করতে পারে না…..বরং তাকেই কিছুটা সমীহ করে চলে …

    ……এই রোগটা বেশিরভাগ মেয়েদের মধ্যে দেখা যায়।

    Dr. Rezbaul Hasan

  • এতোকিছুর পর কেনো এখনোনি মরে যাও…

    এতোকিছুর পর কেনো এখনোনি মরে যাও…

    MBBS ফাইনাল পরীক্ষার্থীকে এক ময়দা সুন্দরী মেসেজ দিয়েছে……

    তাদের মধ্যে কথোপোকথন…….

    -> hi…..

    -> hlw…….

    -> be a friend??

    -> তারপর?

    -> উমমমমম….খুব ভাল বন্ধু…..

    -> তারপর?

    -> একে অপরকে জানবো….

    -> তারপর?

    -> ভালো লাগলে প্রেম করবো?

    -> গুড। তারপর?

    -> বিয়ে করবো….

    -> ভেরি গুড। তারপর?

    -> সংসার করবো….বাচ্চাকাচ্চা হবে….

    -> বাহ্…সুন্দর। তারপর?

    -> তারপর….সন্তানদের পড়াশুনা করাবো…তারা বড় হবে….তাদের বিয়ে হবে….

    -> অসাম। তারপর?

    -> তুমি-আমি বুড়োবুড়ি হবো…..

    -> সো স্যাড….! তারপর?

    -> তারপর আর কি? মরে যাবো…..

    -> এতোকিছুর পর কেনো এখনোনি মরে যাও…..আমাকে পড়তে দাও সামনে এক্সাম আছে….. bye…..

    ………………. 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • বন্ধুত্বের সম্পর্ক গুলো হয়তো এমনি হয়…

    বন্ধুত্বের সম্পর্ক গুলো হয়তো এমনি হয়…

    হসপিটাল এ অন্য রোগী দেখতে এসেছেন এক মধ্যবয়সী লোক।

    পাশের বেড এ হঠাৎ করে এক পুরোনো বন্ধুকে দেখলেন স্যালাইন লাগানো।

    দেখেই লোকটি চমকে উঠে জিজ্ঞেস করলেন, আরে বন্ধু তুই অসুস্থ হয়েছিস?

    ঐ অসুস্থ বন্ধুটিও কম যান না, তিনিও সাথে সাথে উত্তর দিলেন..

    “” নাহ্! মুখে খেতে খেতে বরিং লাগছিলো তাই স্যালাইন লাগিয়ে খাচ্ছি!””

    আশেপাশে মুহূর্তেই একটি হাসির রোল পড়ে গেলো…..

    হাহাহা…..

    ……….বন্ধুত্বের সম্পর্ক গুলো হয়তো এমনি হয়………

    Dr. Rezbaul Hasan

  • “” ইউরেকা””….

    “” ইউরেকা””….

    বাংলাদেশের এক সাংবাদিক সারাজীবন হলুদ সাংবাদিকতা করে, শেষ বয়সে তার ইচ্ছা হলো বিজ্ঞানী হবেন।

    অনেকদিন ধরে গবেষণা করলেন এবং শেষ বয়সে এসে ডায়রিয়া হয়ে মারা গেলেন।

    দাফন শেষে, সবাই উন্মুখ হয়ে ঐ সাংবাদিক কাম বিজ্ঞানীর রুমে খুঁজতে লাগলো কোন সূত্র কিংবা কিছু আবিষ্কার করেছে কি না।

    টেবিলের ওপরই একটা খাম পাওয়া গেলে….যার উপরে লেখা ……….

    “” ইউরেকা””

    এই আধুনিক স্যাটালাইটের যুগে সারা বাংলাদেশ এমন কি মুহূর্তের মধ্যে সারা বিশ্বে নিউজ হয়ে গেলো….

    বিশিষ্ট সাংবাদিক ওরফে বিজ্ঞানী একটি সূত্র আবিষ্কার করেছেন।

    এতো ভালোমানুষ ছিলেন যে, নাম ডাক হওয়ার জন্য বেঁচে থাকতে তা প্রকাশ করেন নি।

    তার মৃত্যুর পর তার গবেষণার রুমে একটি খাম পাওয়া যায়,

    খামের ওপর লেখা….

    “”” ইউরেকা”””

    অর্থাৎ তিনি পেয়ে গেছেন।

    কি পেয়েছেন তিনি?

    এবার সবার সামনে সেই মূল্যবান খাম টি খুলে…সূত্রটি পড়া হবে….

    সারা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে আছে….

    পিনপতন নিরবতা….কারো মুখে কথা নেই….মিডিয়া এমন সব ইয়া বড় বড় গল্পের নায়ক বানিয়েছে যে মানুষ হ্যাঁ করে মিডিয়ার দিকে চেয়ে আছে সেই বিখ্যাত সূত্রটি দেখার জন্য…….

    অবশেষে খামটি খোলা হলো।
    সেখানে লেখা ছিলো……

    …গতির চতুর্থ সূত্র…

    “”” লুজ মোশন ক্যান নেভার বি ডান ইন স্লো মোশন!”””

    …………….. 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ ডাক্টারের চ্যাম্বারে গেলো..

    ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ ডাক্টারের চ্যাম্বারে গেলো..

    ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ ডাক্টারের চ্যাম্বারে গেলো।

    ডাক্টার সাহেব পরীক্ষা নীরিক্ষা করে কিছু উপদেশ দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন।

    কয়েক দিন পর, ডাক্টার সাহেব ঐ লোকটিকে রাস্তায় একজন কম বয়সী সুন্দরী মহিলার হাত ধরে হাঁটতে দেখলেন।

    এবং তারা দুজনেই খুব হাসিখুশি ছিলো।

    আরো, কিছুদিনপর, ঐ লোকের সাথে দেখা হলে, ডাক্টার সাহেব বললেন….

    “”আমার সত্যিই খুব ভালো লাগছে এটা জেনে যে, আপনি খুব ভালো আছেন””

    বৃদ্ধ লোকটি ডাক্টার কে দেখে খুব খুশি হলো এবং ধন্যবাদ জানালো আর বললো,

    ডাক্টার সাহেব আপনি সেদিন বললেন না যে…..

    “”Get a hot mamma and be cheerful…””

    আমি আপনার উপদেশমত চলেছি আর সেজন্যই আমি ভালো আছি।

    এই কথা শুনে ডাক্টার সাহেব চোখ বড় বড় করে তাকালেন আর মাথায় হাত দিয়ে চেয়ার এ বসে পড়লেন আর বিড় বিড় করে বললেন, ওরে গাধারে গাধা……

    আমি বলেছিলাম…..

    “””you have got a heart murmur and be careful “””

    ……… 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • ডাক্তার বড় ভাইয়ের মিডিয়ায় কাজ করার খুব শখ ছিলো..

    ডাক্তার বড় ভাইয়ের মিডিয়ায় কাজ করার খুব শখ ছিলো..

    ডাক্তার বড় ভাইয়ের মিডিয়ায় কাজ করার খুব শখ ছিলো।

    সমস্যাটা হলো, পড়তে পড়তে ভাইয়ার মাথায় কোন চুল ছিলো না। ভাইয়া তো স্টেডিয়াম টাইপ মাথা নিয়ে খুব বিপদে পড়লেন।

    অনেকদিনপর, খুব খুশি হয়ে জানালেন….তিনি খুব ভালো একটা তেল কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার অফার পেয়েছেন।

    আর আজকে কোম্পানির ডিরেক্টরের কাছে যাবেন ডিল সাইন করতে।

    আমিও খুব খুশি হলাম।

    কিন্তু পরে শুনলাম তিনি ডিলটা সাইন করেন নাই।

    ব্যাপারটা খুব অবাক করলো আমাকে।

    জিজ্ঞেস করলাম ঘটনা কি? সাইন করলেন না কেনো?

    ->আর বলিশ না। ওরা বললো আমাকে দিয়ে এ্যাড এবং বিলবোর্ড তৈরি করবে…

    -> হ্যাঁ ভালো কথা তাতে কি হয়েছে?

    -> আরে শোন্ আগে। বিল বোর্ডে কি লেখা থাকবে জানিস?

    -> কি?

    -> প্রথমে আমার বড় একটা ছবি আর তার নিচে বড় বড় করে লেখা থাকবে
    “‘” নকল তেল হতে সাবধান!!!!””

    ………………….. 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান..

    ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান..

    এক লোক অনেক পেরেশান হয়ে, একজন মেডিসিন স্পেশালিস্ট ডাক্তারের কাছে ছুটে গেলেন।

    সবকিছু শুনে তিনি ঐ লোককে Referred করলেন একজন psychiatrist এর কাছে।

    লোকটি psychiatrist এর চ্যাম্বারে ঢুকে……

    -> ডাক্তার সাহেব আমাকে বাঁচান।

    -> কি হয়েছে আপনার?

    -> রাতে ঠিকমত ঘুমাতে পারি না। শুয়ে পড়লে মনে হয় খাটের নিচে কেউ লুকিয়ে আছে। আবার খাটের নিচে শুয়ে পড়লে মনে হয় খাটের ওপর কেউ শুয়ে আছে।

    কি যে বলবো ডাক্তার সাহেব।

    খাটের ওপর- নীচে করতেই সারা রাত কেটে যায়। একদম ঘুমাতে পারি না। আমি মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছি।

    -> হুমমম……। এই সমস্যাটা কি আপনি একা থাকলে হয় নাকি আশে- পাশে মানুষজন থাকলেও হয়।

    -> একা থাকলে হয় স্যার….!

    পাশে কেউ থকলে হয় না।

    -> আচ্ছা শুনেন, আপনার closed phobia আছে। এটা একটা Anxiety Disorder. এটা একবারে ভালো হবে না। Gradually ভালো হবে। এর জন্য Self-exposure থেরাপি নিতে হবে। সাথে আমি কিছু ওষুধ দিচ্ছি, সেগুলো চালিয়ে যাবেন।

    আর প্রতি সপ্তাহে দুইদিন ভিজিট করবেন।

    -> লোকটি চলে যাওয়ার পরে আর কোনদিন আসেনি……

    হঠাৎ একদিন ডাক্তার সাহেব এর সাথে দেখা হলে…লোকটি বললো….স্যার আমাকে চিনতে পারছেন?

    -> আপনি তো আর চ্যাম্বারে আসলেন না। সুস্থ হয়েছেন?

    -> জ্বি স্যার। মাত্র ৫০ টাকা খরচ করেছি। এখন রাতে ভালো ঘুম হয়।

    ডাক্তার সাহেব অবাক হয়ে….

    -> বলেন কি? সেটা কি করে সম্ভব হলো?

    -> স্যার, আমার বাসার ওপর তলায় একজন অর্থপেডিক সার্জন থাকেন। তাঁর পরামর্শে একজন কাঠ মিস্ত্রী ডেকে খাটের পায়া চারখানা কেটে ফেলে দিয়েছি…….

    এখন আর ভুতের হয় নাই স্যার…

    ………… 😛

    Dr. Rezbaul Hasan

  • “””মুখ বন্ধ করে খাবি কিনা বল্????””””

    “””মুখ বন্ধ করে খাবি কিনা বল্????””””

    যে ছেলে রান্না করতে পারে তার বউ এর জন্য দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে ক্রিটিকেল টাইম হলো তিন বেলা তার হাসবেন্ড কে খাবার খেতে দেয়া…..

    বিয়ের প্রথম ৬ মাস…..

    বউ খাবার দিয়ে বসে আছে….

    হাসবেন্ড : বাহ্ খুব সুন্দর হয়েছে রান্না…তবে কাঁচা মরিচটা একটু পিষে দিলে ভালো হতো….সাথে একটু ধনে পাতা….

    বউ : ইমা….আপনার তো বহুমুখী প্রতিভা! রান্নাও পারেন….

    বিয়ের ১বছর পর……

    বউ রান্না করে টেবিলের ওপর খুব জোরে জোরে বাটি রাখছে আর বিড় বিড় করছে….

    হাসবেন্ড : উঁহু এটা রান্না হয়নি! মাংসের মধ্যে লবণ ঢোকেনি। এরপর থেকে এক কাজ করবা…আগে সবকিছু দিয়ে ভালো করে মাখবা। তারপর আগে ভাল করে কসাতে হবে, তারপর পানি দিবা।লবন যদি কম হয় তবে পানি দেয়ার আগে সেটা দিবা। পানি দেয়ার পর মাংসতে লবণ দিলে সেটা ঝোলের মধ্যে থেকে যায় মাংসের ভেতর ঢোকে না…..

    বউ : বিরক্ত হয়ে, উফ্ এবার খাও তো! ঠিক আছে এরপর তাই করবো।

    বিয়ের ২য় এমনকি ৩য়, ৪র্থ বছরও খুব ধর্য্য ধরে চলে গেলো……..

    এরপর, বউ খাবার রেডি করে দিয়ে শাড়ির আঁচল দিয়ে কোমড় বাঁধতে বাঁধতে রান্না ঘরে ঢুকলো…..

    হাসবেন্ড : খাবার মুখে দিয়ে। কি সব যে তিন বেলা রান্না করে। সারাদিন তোমার কাজটা কি শুনি? গাঁজা খেয়ে রান্না করো?

    বউ ঐ দিকে দাঁত চিবাতে চিবাতে বটী হাতে রান্নাঘর থেকে বের হয়ে বললো……

    ->”””মুখ বন্ধ করে খাবি কিনা বল্????””””

    হাসবেন্ড বেচারা কাচুমাচু করে…..না মানে বলছিলাম….

    “””ওয়াও ফার্স্টক্লাস হয়েছে…..বাহ্ বাহ্ চমৎকার হয়েছে….””””
    ………. 🙂

    Dr. Rezbaul Hasan

Verified by MonsterInsights