Serotonin কে সুখের হরমোন নামে অভিহিত করা হয় বা Happy chemical ও বলা হয়।আসলে, এটি একটি Neurotransmitter যা Intestinal Gut (পেটের মধ্যে) থেকে তৈরি হয়।
(Enterochromaffin Cell (EC) of Gut.
আমরা যেই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাই যেমন, ডিম, দুধ, মাছ, মাংস ইত্যাদি। এ গুলোতে অত্যাবশকীয় এমাইনো এসিড থাকে, যেমন…..Tryptophan, valine, Lysine Etc….
এদের মধ্যে ডিম, মাংস, মাছ, ডাল এ প্রচুর পরিমান Tryptophan পাওয়া যায়। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুলো পেটের মধ্য Intestinal Gut এ গিয়ে Breakdown হয়ে Tryptophan তৈরি করে।
এই Tryptophan ->Vitamin B1, Vitamin B12, Thiamin, Folic acid, Zinc ইত্যাদির উপস্থিতিতে Serotonin তৈরি হবে। শরীরের মোট serotonin এর ৯০% তৈরি হয় Intestinal Gut এ।
Serotonin এর উপকারিতা……..
-> Digestion control করা। Serotonin, Gut wall এর Contraction এর মাধ্যমে স্বাভাবিক peristaltic movement of Gut ঠিক রেখে Bowel habit স্বাভাবিক রাখে।
-> Serotonin, Nerve signal periphery থেকে Central এ Transmission করে। Brain এর Hypothalamus কে Stimulate করে Serotonin আমাদের শরীরে Mood Stabilizer Chemical হিসাবে কাজ করে এবং আমাদের মানসিক প্রশান্তি নিয়ন্ত্রণ করে। আবেগ অনুভূতিগুলো নিয়ন্ত্রন করে। এর ফলে আমাদের দুঃখ-কষ্টের সময় ভারসাম্যপূর্ণ মানসিক অবস্থা বজায় রাখতে Serotonin, Dopamine এর সাথে মিলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের শরীরে, বাহ্যিক বা সমাজের, পরিবারের, পরিবেশের কারনে…. মানসিক চাপ, মানসিক অবস্থা, ডিপ্রেশন, হতাশা, ইত্যাদি থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য Serotonin অতন্ত্য গুরুত্ব বহন করে।
Serotonin level কমে গেলে Digestion ভালো হয় না। কারণ serotonin এর প্রধান কাজ সমূহের একটি হচ্ছে Digestion এ হেল্প করা, তাই সেরোটোনিন এর পরিমান কমে গেলে ঠিকমত Digestion হবে না এবং IBS (Irritable bowel Syndrome) দেখা দিবে। এর ফলে ডায়েরিয়া, কোষ্টকাঠিন্ন , পেটে ব্যাথা, পেট মোচড়ানো, এসিডিটির সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। তাই IBS এর চিকিৎসায় Anti depressant medicine ব্যবহার করা হয়, যা মূলত serotonin level বৃদ্ধি করে।
আমাদের শরীরে আর একটি Hormone আছে যাকে Stress Hormone (Cortisol)বলে। এটি Stressful Condition এ রিলিজ হয়। এই Cortisol হলো স্টেরয়েড হরমোন এবং এর প্রভাবে Serotonin তৈরি কম হয়। ফলে মানসিক অবসাদ, বিষন্নতা, ইত্যাদি দেখা যায়। তাই Depression, Mood disorder বা মানুসিক রোগীদের Circulatory serotonin বৃদ্ধি করার জন্য মেডিসিন দেয়া হয়। যেহেতু Serotonin স্বাভাবিক পরিমান থাকলে মানসিক সুখ, শান্তি, অনুভূত হয় এবং একটি মানুসিক ভারসাম্যতা বজায় থাকে সে জন্য এই Serotonin কে Happy chemical বা সুখের হরমোন বলা হয়।
আবার এটি Digestion এ হেল্প করে, আর ডিপ্রেশনের সময় যেহেতু Serotonin এর পরিমান কমে যায়, তাই ডিপ্রেশন এর সময় Digestion ভালো হয়না, bowel habit পরিবর্তন হয়ে যায়, ডায়রিয়া, ক্ষুধা মন্দা, কোষ্টকাঠিন্ন দেখা দেয়। কথায় বলে পেট ভালো তো সব ভালো। আর এই পেটে তথা Gut থেকেই Serotonin তৈরি হয়, ডিপ্রেশনে যেনো মরার ওপর খারার ঘা।
সেরোটোনিন এর আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, পর্যাপ্ত পরিমান সেরোটোনিন স্বাভাবিক Sleeping pattern বা Normal Circadian cycle নিয়ন্ত্রন করে। আর সকাল বেলায় জেগে উঠতে হেল্প করে। আর সেরোটোনিন লেভেল কমে গেলে insomnia (ঘুমের সমস্যা) দেখা দেয়। আর সকাল বেলায় জাগ্রত
হতে সমস্যা হয়। ডিপ্রেশনের পেশেন্ট দের যেহেতু সেরোটোনিন এর পরিমাণ কম থাকে, তাই তাদের রাত্রে ঘুম হয়না, insomnia থাকে, আর সকাল বেলায় তাদের ঘুম বেড়ে যায়। তাই insomnia পেশেন্টদের
ম্যানেজমেন্ট এর জন্য Serotonin বৃদ্ধির ওষুধ দেয়া হয়।
Normally শরীরে Serotonin level balanced রাখার জন্য যা যা করনীয়……
->Morning exercise সকাল বেলা ব্যায়াম করার মাধ্যমে অথবা দিনের যে কোনো সময় ব্যায়াম করলে একটা ভারসাম্য পূর্ণ সেরোটোনিন লেভেল বজায় থাকে, তাই ডিপ্রেশন এর সময় বেশি বেশি ব্যায়াম করুন, হাঁটাহাঁটি করুন, এতে সেরোটোনিন লেভেল বাড়বে, ডিপ্রেশন কমবে, এই কারণে ডিপ্রেশন এর মানুষ দের কে কাউন্সেলিং করা হয়, দূরে কোথাও ঘুরে আসতে, সকাল সন্ধ্যা হাঁটাহাঁটি করতে।
-> সকাল বেলার সূর্যের আলো সেরোটোনিন উৎপাদনে হেল্প করে।
-> হাসি খুশি থাকলে Stress hormone Cortisol কম release হয়, সেরোটোনিন উৎপাদন বাড়ে।
->প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যথা প্রতদিন ডিম, মাছ মাংস, ছোলা, ডাল, ইত্যাদি সেরোটোনিন এর মাত্রা বাড়ায়, এবং ডিপ্রেশন কমায়, তাই ডিপ্রেশন এর সময় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খান।
->শরীর ম্যাসাজ করালেও সেরোটোনিন বাড়ে, তাই স্বামী টেনশনে থাকলে স্ত্রীদের উচিৎ, হালকা করে মাথা ম্যাসাজ করে দেওয়া, আর স্ত্রীরা টেনশনে থাকলে স্বামীর উচিৎ, তার মাথা ম্যাসাজ করে দেওয়া।
একটি চমৎকার তথ্য দিয়ে শেষ করছি……
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দুরুদ পাঠ করে, মহান আল্লাহ তার ওপর ১০ বার রহমত বর্ষণ করেন।”(মেশকাত শরীফ)
কেউ যদি একাগ্রচিত্তে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরুদ পাঠ করেন, তবে তার শরীরে Serotonin Level pick এ চলে আসে।
গবেষণায় দেখা গেছে…….১ মিনিট দরুদ পাঠ করলে ১০ মিনিট সুখের হরমোন সেরোটোনিন শরীরে পিক লেভেলে থাকে এবং সেই সময় টেনশন, Anxiety, ডিপ্রেশন কমে যায়……. সুবহানাল্লাহ।
Dr. Rezbaul Hasan royal