শীতের রাতে ঘরের আর্দ্রতা বাড়িয়ে, ঠোঁট ফাটার হাত থেকে মুক্তির উপায়
শীতের সকাল আজ একটি আতঙ্কের নাম! ঠোঁট ফেটে একাকার! খসখসে চামড়া!
ইচ্ছে মতো আমরা যারা লিপজেল, মেরিল, ভ্যাসলিন মাখছি তাদের জন্য এর বিকল্প একটা পথ বাতলে দিচ্ছি আমি! কেননা, এসব মেরিল বা পেট্রোলিয়াম জাতীয় জিনিসগুলো ঠোঁট থেকে পেটের মধ্যে যাচ্ছে, যেটা অনেকটাই ক্ষতিকর! বিকল্প পথ টা ভালো করে বোঝার জন্য, একটা উদাহরণ দিচ্ছি…….
আপনি যদি ফ্রিজের মধ্যে ফল-মূল রাখেন কিংবা রান্না করা খাবার রেখে দেন তবে দেখবেন যে, পাকা ও তাজা ফলগুলো শুকিয়ে গেছে! কিংবা রান্না করা খাবার শুকিয়ে গেছে! কারণ, ফ্রিজের মধ্যে আর্দ্রতা কম থাকে তাই ফলের রস কিংবা তরকারির ঝোল থেকে পানি বের হয়ে যায় এবং তা শুকিয়ে যায়!
এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একটা পদ্ধতি আছে আর তা হলো, তাজা ফল ও রান্না করা খাবার, পিজ্জা, ও অন্যান্য কিছু ফ্রিজে রাখলে অবশ্যই সাথে একটা বাটিতে করে কিছু পানি রেখে দিবেন ফ্রিজের ভেতর! এতে করে আর্দ্রতা ঠিক থাকবে ঐ সব খাবারের! আর ফ্রিজের অার্দ্রতা ঠিক রাখার জন্য বাটির পানি শুকিয়ে যাবে!!!!
একইভাবে,
শীতকালে পরিবেশে আর্দ্রতা কম থাকে তাই, আমাদের ঠোঁট থেকে পানি বের হয়ে যায় এবং ঠোট ফেটে যায়, চামড়া খসখসে হয়ে যায়!
এবার আসুন আমরা ঐ ফ্রিজের ঘটনার মতো একটা বুদ্ধি করি! রাতে ঘুমানোর সময় ঘরে টেবিলের ওপর এক বাটি পারি রেখে দেই, যাতে ঘরের আর্দ্রতা ঠিক থাকে এবং আমাদের শরীর থেকে পানি বের হয়ে না যায়!
এতে করে রাতের বেলা আমাদের ঠোঁট ফাটবে না, স্কিন খসখসে হবে না, গলা শুকিয়ে আসবে না! সবচেয়ে বড়ো কথা আপনি এতোসব উপকার পাবেন কোনরকম পেট্রোলিয়াম জাতীয় জিনিসের ক্ষতি ছাড়া শুধুমাত্র পরিস্কার একবাটি পানি দ্বারা!
বিদ্রঃ বাটির পানি প্রতিদিন চেন্জ করবেন এবং বাটি পরিস্কার রাখবেন! নয়তো ক্ষতিকর মশা ডিম পারতে পারে!
সবসময় সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, হাসিখুশি থাকুন সবসময়!….. 🙂
পোস্ট টি শেয়ার করে অন্য সুস্থ থাকতে সাহায্য করুন!
…..ধন্যবাদান্তে….Dr.Rezbaul Hasan Royal