যে ছেলে রান্না করতে পারে তার বউ এর জন্য দিন-রাত ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে ক্রিটিকেল টাইম হলো তিন বেলা তার হাসবেন্ড কে খাবার খেতে দেয়া…..
বিয়ের প্রথম ৬ মাস…..
বউ খাবার দিয়ে বসে আছে….
হাসবেন্ড : বাহ্ খুব সুন্দর হয়েছে রান্না…তবে কাঁচা মরিচটা একটু পিষে দিলে ভালো হতো….সাথে একটু ধনে পাতা….
বউ : ইমা….আপনার তো বহুমুখী প্রতিভা! রান্নাও পারেন….
বিয়ের ১বছর পর……
বউ রান্না করে টেবিলের ওপর খুব জোরে জোরে বাটি রাখছে আর বিড় বিড় করছে….
হাসবেন্ড : উঁহু এটা রান্না হয়নি! মাংসের মধ্যে লবণ ঢোকেনি। এরপর থেকে এক কাজ করবা…আগে সবকিছু দিয়ে ভালো করে মাখবা। তারপর আগে ভাল করে কসাতে হবে, তারপর পানি দিবা।লবন যদি কম হয় তবে পানি দেয়ার আগে সেটা দিবা। পানি দেয়ার পর মাংসতে লবণ দিলে সেটা ঝোলের মধ্যে থেকে যায় মাংসের ভেতর ঢোকে না…..
বউ : বিরক্ত হয়ে, উফ্ এবার খাও তো! ঠিক আছে এরপর তাই করবো।
বিয়ের ২য় এমনকি ৩য়, ৪র্থ বছরও খুব ধর্য্য ধরে চলে গেলো……..
এরপর, বউ খাবার রেডি করে দিয়ে শাড়ির আঁচল দিয়ে কোমড় বাঁধতে বাঁধতে রান্না ঘরে ঢুকলো…..
হাসবেন্ড : খাবার মুখে দিয়ে। কি সব যে তিন বেলা রান্না করে। সারাদিন তোমার কাজটা কি শুনি? গাঁজা খেয়ে রান্না করো?
বউ ঐ দিকে দাঁত চিবাতে চিবাতে বটী হাতে রান্নাঘর থেকে বের হয়ে বললো……
->”””মুখ বন্ধ করে খাবি কিনা বল্????””””
হাসবেন্ড বেচারা কাচুমাচু করে…..না মানে বলছিলাম….
“””ওয়াও ফার্স্টক্লাস হয়েছে…..বাহ্ বাহ্ চমৎকার হয়েছে….””””
………. 🙂
Dr. Rezbaul Hasan

Leave a Reply